আগমন
হুমায়ূন ফরীদির জীবনাবসানে
ভীষণ ব্যথা ভর করেছে— যখন আমার ক্ষুদ্রপ্রাণে
তখন আমার আগমন হলো তোমাদের এই খানে।
বিরহ বাঁশি বাজিয়েছিলেম
সেই বাঁশিতেই বন্ধু পেলেম
গল্প কবিতা আর গানের মাঝে।
এমনি করে এক লগণে
কবিতা এলো হৃদয়পানে।
বটবৃক্ষের ছায়ার মতন সে যে এক অমূল্য রতন
শূন্যতা ভরা এই হৃদয়পানে।
চলেছি ছুটে তার মায়ার টানে।
কবিতাতো নয় যেন মায়ার সাগর
বাসন্তী ফুল চির যৌবনা এক সুখের আকড়
আকাশ থেকে বৃষ্টি যেমন অবনীর বুকে নেমে আসে
আকাশ হয়েই সে যে আমার শূন্যহৃদয়টাতে বসে।
ঝগড়া ঝাটি অনেক হলো
দিনে দিনে ভালোবাসা তাতে আরো প্রগাঢ় হলো।
রাগানুরাগের পালকি চড়ে দুজনাতেই পথ হারালো।
এই চলার শেষ ঠিকানা
স্রষ্টা ছাড়া কেউ জানে না ।
-------------------------------------------
জ্যোকস
কুরবানি
মুসলমান : গরু ,খাসি, উট ...
বৌদ্ধ ভিক্ষু : রোহিঙ্গা!!!!!
রবোট
বন্ধু: তুমি কি হতে চাও? প্রেমিকা না বউ।
বান্ধবী: কিছুনা। বছরে শুধু একবার জন্মদিনের রাতে কাছে পেলেই হলো।
বন্ধু: আমি তো বৃদ্ধ নই!!
সোনার হরিণ
অর্ক ৪৫ মিনিট দাঁড়িয়ে থেকে একটা টেক্সি পেলো। তার বাসা পাঁচতলায়। জিনিস পত্রসহ বাসা থেকে ফিরে দেখলো টেক্সি নেই। চলে গেছে। তখন অর্কের গা বেয়ে ঘাম ঝরছে। বেলা সাড়ে তিনটা বাজে। আর কিছুক্ষণ পর ট্রাফিক জ্যামের মহোৎসব শুরু হবে। এখন গাড়ি না পেলে কাঙ্খিত ঠিকানায় পৌছতে রাত ১টা বাজতে পারে।
স্বপ্ন: গল্প
অর্ক স্বপ্ন দেখছে। ঢাকা শহরে লোড শেডিং।সে ট্যাক্সিতে বসা। তার পাশের আসনে মায়াবতী বসা। ঘুম থেকেই চমকে ওঠার মত ব্যাপার।গাড়ী ট্রাফিক জ্যামে আটকে গেল। রুদ্রমূর্তী মায়াবতী ট্রাফিক জ্যামে পরে কিছুটা বিগলিত হলো। অর্কের মনেও আশার সঞ্চার হলো। ট্রাফিকজ্যাম আর লোড শেডিং একত্রে হওয়াতে আজ রক্ষা নইলে মায়াবতী আজ অর্কের মুন্ডপাত করতো। অর্কের দিকে তাকিয়ে অবশ্য কেউ রাগ করতে পারে না ।এটা আল্লাহ তায়ালার বিশেষ রহমত। না হলে এতদিনে অর্ক ভস্ম হয়ে যেত সেই কবে । সে একবার প্রেম পত্র লিখলো ।কড়া প্রেমপত্র! ধরার পড়ার আশংকা ছিলো।তাই তাতে প্রেমিকার নাম অনামিকা দিতে চেয়েছিলো। কিন্তু নাম লিখেছে আবার ধরাও খেয়েছে। বিবাদ দেখা গেলো প্রেমিকার নাম থাকলে কি হবে? তার প্রতিবেশি দূর সম্বর্কের আত্নীয়ের মাঝে ও নামে লোকের অভাব নেই। তার চাচাতো বোন বয়স দশ তার নাম মায়াবতী। নিকটতম প্রতিবেশির বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়ের নাম মায়াবতী। কলিগের ক্লাস থ্রিতে পড়া মেয়ের নাম মায়াবতী। সে এক লম্বা শালিশ। মনে মনে বাংলাদেশের বিশাল জনসংখ্যার দেশ হওয়াটাকে এই ক্ষেত্রে আশির্বাদ ভাবে অর্ক।পাত্রের সিভি ভালো। সব মায়াবতীর অভিভাবকের দাবী চিঠির প্রেমিকা মায়াবতী আর কেউ নয় তাদের মায়াবতী। ব্যাপক শোরগোল। এই শোরগোল থেকে রক্ষা করতে অর্কের বড় ভাবী সবাইকে শান্ত হত বলে বললেন এই মায়াবতী আমি নিজে। আমাকে নিয়েই তার প্রেমপত্র! স্কুলের শিক্ষকরা কোনদিনও তাকে শাস্তি দেয়নি। প্রাথমিক স্কুলের ফাস্ট বয়। প্রধান শিক্ষক পড়া না পারার জন্য সবাইকে শাস্তি দিচ্ছেন । অর্কের বেলায় ক্ষমা । অর্কের আশা তেমনটাই। মায়াবতী ভয়ানক কিছু করবে না। অতীতে কম ঝগড়া হয়নি। মায়াবতী আর অর্কের । কিন্তু ইদের দিন ঠিকই অর্কের জন্য বিশাল রান্নার আয়োজন নিয়ে হাজির হয়েছে মায়াবতী। অর্ক গল্প শুনতে চেয়েছে মায়াবতীর কাছে।মায়াবতী অর্ককে গল্প শুনিয়েছে। গান শুনিয়েছে।অর্কের সঙ্গে কথনো বেশিক্ষণ রাগ করে থাকতে পারেনি মায়াবতী । অর্ক তার শেষ বন্ধু! যার সঙ্গে রাতের পর রাত কত বিষয়ে শেয়ার করেছে।নদী যেমন সাগরে মিশে যায় অর্ক আর মায়াবতীর মনমালিন্য ঠিক তেমনি দূর হতে সময় লাগেনা । তবে এবার বেশ কড়া ঝগড়া হয়েছে। মায়াবতী মুখ খুলেছে। তবে অর্কের দিকে না তাকিয়ে। তাকালেই রুদ্রমূর্তি মায়াবতী পানি হয়ে যাবে।
মায়াবতী: অর্ক আমাকে আর কতকাল জ্বালাবে?
অর্ক: যতদিন সূর্য পূর্বদিকে ওঠে।
মায়াবতী: তুই একটা বদ্ধ উন্মাদ। তোকে খাঁচায় ভরার সময় হয়েছে।
অর্ক: ভর । আমাকে তোমার হৃদয় খাঁচায় ভরো।
মায়াবতী: চুপ।
অর্ক: আই লাভ ইউ।
মায়াবতী : চুপ কর। আমি কিন্তু রেগে যাচ্ছে।
অর্ক: আমার চোখে চেয়ে বল।
মায়াবতী: আমি তোমাকে অনেকবার বলেছি, আমার একটা বন্ধু আছে। আমরা কোনদিন বিয়ে করবো না বলে প্রতিশ্রতিবদ্ধ।
অর্ক: তাহলে সমস্যা কি? থাক সেই মাহনুভ লুল বন্ধু। বিয়ে না করে কি থাকা যায়।......
পাশের গাড়িতে দুই যুবকযুবতীর প্রনয় চলছে। ঠুটে ঠুটে কথা । তারা কি রাস্তায় না কি বেডরুমে বোঝার উপায় নেই। সামনেই এক রিকশাওয়ালা গাড়ীর ড্রাইভারের সঙ্গে ঝগড়া করছে। ড্রাইভার আচানক রিকশাওয়ালার মুখে শরীরে কয়েকটা ঘুষি দিলে, রিকশা ওয়ালা পায়ের স্যান্ডেল খুলে ড্রাইভারে দুইগালে একের পর এক চপ্পল মারতে থাকে। তাদের ঘিরে প্রচুর শোরগোল। আগ্রহী দর্শকে ভীড় লেগে গেছে। অর্ক ছবি তুলতে চাইলো তার মুঠোফোনের ক্যামেরায়। কাজ হলো না। নো স্পেস ফর এনি ইমেজ। আসলে স্পেস আছে। এটা একটা বিস্ময়কর মুঠোফোন। ঠিক কখনকার ছবি তুলবে তা বোধ হয় ঐ যন্ত্রের মর্জি মাফিক হবে। ঝগড়ার ছবি হয়তো মুঠোফোনটি তুলবে না। অনেক সময় অর্কের মনে হয় মানুষ গুলো রবোট হয়ে যাচ্ছে। যন্ত্রগুলো অনুভূতি সম্পন্ন হয়ে ওঠলে ব্যাপারটি বোধ হয় মন্দ হতো না ।
এমন সময় প্রচন্ড চর অর্কের গালে। মায়াবতীর চড় খেয়ে ঘুম ভেঙে গেলো অর্কের। স্বপ্নও শেষ। ইদানিং অর্কের স্বপ্ন কন্ট্রোল করার ক্ষমতা কমে যাওয়ার ব্যাপারটি বেশ লক্ষণীয় । অর্ক প্রেমে পড়ায় বোধ হয় ওই ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে ।নাহলে স্বপ্নে মায়াবতীর চুম্বন আদায় করে ছাড়তো ।
লিখতে পারছিনা কবিতা:
কবিতা লিখতে পারছিনা
গল্প রম্য উপন্যাস সব থমকে গেছে
ট্রাফিক জ্যামে ফসকে গেছে
দেহে ক্লান্তি ভর করেছে
হৃদয়মালতী কোথায় আছে?
কেমন আছে?
বসছে না মন কোন কাজে
ঈদের বাজার— গরুর হাটে
এই জীবনের কি মানে আছে?
ডানাভাঙা পাখিটা আজ
আছে ভীষণ যন্ত্রণাতে
আমার ভুলে অমন হলে
যাবোই যাবো রসাতলে।
সবশেষে : আমার বন্ধুর অভিনব ঈদ শুভেচ্ছা বার্তা
গোপন সূত্রে
এই মাত্র খবর পাওয়া গেছে যে,
আগামী মাসের দুই তারিখে
আমাদের পুরো দেশটা
রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে।
চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবে
শুধু রক্ত আর রক্ত!
কারো কোন সাধ্য থাকবেনা
এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার।
ঐদিন রাজপথে
মানুষের হাতে হাতে থাকবে
চাপাতি,ছুরি,তলোয়ারের মতো
অনেক ধরনের ধারালো অস্ত্র।
পুরো দেশটা ঐদিন
এক ভয়ানক রক্তাক্ত প্রান্তরে
পরিণত হবে।
রাজপথে সবাই প্রকাশ্যে
ছুরি,চাপাতি,তলোয়ারের মতো ধারালো অস্র নিয়ে হেটে যাবে বুক ফুলিয়ে!
পুরো প্রশাসন থাকবে নিশ্চুপ!!
কারণ, প্রশাসন জানে
ঐদিন তাদেরকে ঠেকানো
কারো পক্ষে সম্ভব হবেনা।
হিংস্র, ভয়ানক এক
পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে
সেদিন সকালে।
ছুরি, চাপাতি, তলোয়ার দিয়ে জবাই করা হবে
হাজার-হাজার,লক্ষ-লক্ষ
♥গরু,ছাগল,দুম্বা,ও উট♥
এভাবে কেউ ইদ মুবারক জানায়।!
বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক । সুপ্রিয় ব্লগার যারা আমার পাশে থেকে প্রেরণা দিয়েছেন ব্লগ জীবনকে সমৃদ্ধ করেছেন সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ।
♥
উৎসর্গঃ আমারো পরাণ যাহা চায়
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৪১