নৈবেদ্য কামনা দূরবর্তী কোন বেদনা দ্বীপে। হতাশার বিস্তীর্ণ আকাশে বিজলীর আলো আশার সঞ্চারণ করেনা। সে আলো আধারির খেলা সুশীতল বৃষ্টির পূর্বাভাস নাও হতে পারে। হয়তো বা প্রলয়ের আগমন ধ্বনি তা । তাতে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে সমুদ্রের উর্মিমালা স্নাত মনপুরা দ্বীপ।
জোনাকির আলোক জ্বলা রাত সে তো আধারের বিভীষিকা। নক্ষত্রের রাতে চন্দ্র লুকোয়। পৃথিবীর বুকে নক্ষত্রের আলো উদ্ভাসিত করে না রাতের আঁধার। তৃষিত হৃদয় খুঁজে ফেরে কেবল পূর্ণ শশি। প্রখর সূর্যে মানুষের কোলাহলে ঘুমিয়ে থাকে কাব্য সাধনা। তাকে খুঁজে পাবে ঘন সবুজে; নির্জনে। হোটেলে রেস্তোরায় রবীন্দ্রসারণীর সান্ধ্য আয়োজনে থাকে না নিখাদ প্রেম। প্রেম খুঁজে নির্জনতা। রাতের গহীনে শূণ্যতা নেমে আসে নিশি জেগে থাকা প্রজাপতির দু’চোখ জুড়ে। সে শূন্যতা পূরণ হয়না দূরে টিপ টিপ জ্বলতে থাকা প্রদীপের আলোক বিচ্ছুরণে। যে আলো আলেয়া সেজেছে মিথ্যে ছলনায় অধরা থেকে গেছে অলিক ভালোবাসায়, হৃদয়ের সব অর্ঘ্য পদদলিত করে কেবলি কুহেলিকা হয়েছে অযাচিত বেদনার সঞ্চারণ, যেহৃদয়ের সবটুকু নিয়ে গেছে সে, তা কিভাবে থাকবে টিকে সংসার সংগ্রামে? শত আঘাতে দমে যায়নি যে ভালোবাসা তাকে কেন মিথ্যে প্রহসনে দূরে ঠেলে দেয়া। নিখাদ ভালোবাসা কেবলই যেন উপেক্ষিত ছেড়া দ্বীপ সেন্টমার্টিন প্রবাল দ্বীপে।তাই কবির চোখে হতাশার আধার নেমে আসে। কলমের কালি পদ্ম হয়ে ফোটার ফুসরত পায় না। যারে ঠেলে দিয়েছো দূরে হৃদয়টা কেড়ে নিয়ে সে ভালো থাকে কারে নিয়ে? তারপরও মিথ্যে প্রহসন! বাংলা বিশেষণের অন্যায্য ব্যবহার! অক্ষত ভালোবাসা কি থাকতে নেই মর্তের অবনীতে?
হিসেব নিকেশে কি পেলে? আবারো মেতে উঠেছো গণিতের খেলায়। সব কিছু দিয়ে যে বেসেছে ভালো তাকে তবে অবজ্ঞাই দিবে ! ভালোবাসার তবে এই পরিণতি তোমার বিবেচনার কাঠগড়ায়! জেনে রেখো এই জীবনে নেই কোন পাপ। তবে কেন ভালোবাসা যাবে বিফলে?
২২টি পদ্য দিয়েছিগো তোমায় এক নিশীথে। পদ্য তো নয় যেন হৃদয় নিংরানো রক্তগোলাপ। সঙ্গে ৫টি নীল পদ্ম! ১২টি লাল! সকাল— সন্ধ্যা দিয়েছি উজাড় করে; দিয়েছি সুদীর্ঘ নিশীথ কাল। শরতের কাশফুল, বর্ষার মেঘ, শীত-গ্রীষ্ম সব দিয়েছি— গড়েছি কাব্যের মহা সমাবেশ। বিরহ কি তবে এর পরিণতি! কত বিকেল ধ্যানমগ্ন থেকে তবে এই প্রতিদান ! এটি হবার নয়!
আমি নই আর কবি, অন্য কারো। আমার নেই অন্য কোন কবিতা বুঝতে তো পারো। আমি না হয় এ দোষ করেছি। তোমার কাছে বার বার ফিরেছি। এবার তুমি ভাবতে পারো সব মস্তিষ্কের নিউরণ অথবা পদ্মা-মেঘনা-যমুনা; অথবা মানস সরোবর থেকে উৎসরিত তটিনী। গন্তব্য একটাই!
তবে কি তুমি নও বঙ্গোপসাগর ! রাশি রাশি উর্মিমালার হৃদস্পন্দন যেথা নিত্য আয়োজন।
কোন এক মেঘনা নদী— এক ইচ্ছে মোহনা — একটি সাগর, সুখের আকড়। নচেৎ নৈঃশব্দের শঙ্খনীল কারাগারে...
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:০৬