শীতকাল
দখিনের জানালায় রবির আলোকছটা—
দারুন মিষ্টি লাগে,
অবশেষে এসেছে শীতকাল—
জমেছে শিশির—
সবুজ ঘাসের ডাগে।
শীতের পিঠা, লেপ—নকশীকাঁথা’
ঘুমপুরী লাগে যে বেশ উষ্ণতা মাখা।
সব থেকে লাগে ভালো
চাঁদের আলো—পূর্ণিমা রাতে;
যেথা তুমি-আমি দু’জনাতে, একটি ছবি
ভালোবাসার পটে আঁকা।
এই শীতেও দুঃখ আছে যার ললাটে
কষ্টে যারা —মরছে যারা
নিদারুন শীতে।
তাদের তরে বাড়াবে যে কর
শীতোবস্ত্র দানে।
তাদের তরে মোর পুষ্পমঞ্জুরী
শ্রদ্ধামাখা ।
বিজয়ী বর্ণমালা
বিদ্রোহী বাংলা বর্ণমালা, তুমি অপরূপ ব্যঞ্জনা
তৃষ্ণা মেটাও প্রাণে সৃজিয়া মধুর দ্যুতনা।
সুপ্রিয় বাংলা বর্ণমালা—
মোরা আকন্ঠ করি পান— অ, আ, ক, খ;
মনের ভাব প্রকাশে তুমি যে অবিসংবাদিত।
তুমি অনন্য অসাধারণ,
তুমি যেন প্রিয়ংবদার সুমিষ্ট দু’ঠোঁট, দখিনের বাতায়ন।
তুমি মহান একুশের অমরগাঁথা গান,
সব ক’টা জানালা খুলার আহবান।
এক সাগর রক্ত পেরিয়ে তুমি ৭১’র বিজয় অভিযান।
তোমার সুধা পানে রবীন্দ্রনাথ হয়েছিলেন কবি,
লালন হয়েছিলেন ফকির, নজরুল বিদ্রোহী,
জীবনান্দ দু’দন্ড শান্তি পেয়েছেন— রূপসী বাংলায়
তোমার কাব্য সুধা অন্বেষণে রুপোলী জোছনায়
আমি পেয়েছি খুঁজে — আমারো পরাণো যাহা চায়।
সুপ্রিয় বাংলা বর্ণমালা!
তোমার সাধানায় আমি জিতেছি অপরাজিতা এক ফুল,
হৃদয়ে তার বাংলাদেশ—কন্ঠে বুলবুল।
সুপ্রিয় বর্ণমালা, তুমি লাল-সবুজ পাতাকা নীল আকাশের গায়;
পতপত করে উড়ো তুমি— দখিনের উতলা হাওয়ায়।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৬