কীরকম ভালোবাসা?
কীরূপে করছো তা?
কীভাবে প্রণয় হবে সখা?
ভেবে দেখেছো কি তা?
অ্যাসিড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সিংহোরিদয়
সকল প্রতিবন্ধকতা পদোপৃষ্ঠ করে আজো আবক্ষ অকুতোভয়,
এ তো তিতিক্ষা নয় কেবল সময়ের অবক্ষয়।
ঋতুরাজ বসন্ত আসিবে শীতের পরে
জ্যৈষ্ঠের কাঠফাটা রৌদ্র শেষেই শুরু আষাঢ়ের বর্ষণমুখরতা..
সুদৃঢ় আহবান নহে প্রহেলিকা
সতত যৌবনে মৌবন ঝর্ণাসম ব্যঞ্জণ
নিজেকে সুধাও প্রতিফলিত হও এ বক্ষে মম
আরশিতে অবলোকন করো ...
আর ভেবে দেখো
উত্থিত উর্মিমালা— সমুদ্রসমতট
তটিনী—রত্নাকর
সুখের আকড়..
প্রেরণা
কী আছে যা নেই আমার কাছে?
তোমার কিগো তা জানা আছে?
বটের ছায়ার মতন সুশীতল ছায়া
প্রখরো রৌদ্রে—
তোমায় দিতে পারি—
সংসার সংগ্রামেও তুমি হবে বিজয়ী নারি।
শুধু রেখো আমায় পাশে
চলার পথের যতো বাঁধা
কন্টকসম বিঁধে— তোমার নাঙা পায়ে
করে দেবো দূর— অসীমের সীমানায়।
যত যাতনা আছে—
আছে যতো বাঁধা,
বেদনার আরশিটাও করে দেবো চূর।
ললাটে ফেলোনা ভাঁজ
সঙ্গে নিও আমারে; দিলেম কথা আজ!
আমার আছে ভালোবাসা ঢের
দৃঢ় প্রতিজ্ঞার বর্মে সুরক্ষিত শক্তি— নিরবশেষ।
তোমার পদতলে বিছিয়ে দেবো মখমলের গালিচা
মাথায় দেবো তাজ ...
থাকবে তুমি মহাসুখে
আছে গো মোর বিশ্বাস।
“বীরভোগ্যা বসুন্ধরা” কয়েছেন গুণীজন
মুছে ফেলো সব জড়তা
হয়ে যাবে দূর তিমির আধার—অযাচিত প্রহসন ।