হৃদয়টা ছিল ক্ষত বিক্ষত অথবা মৃতপ্রায়—জড়,
অবিকল গ্রীষ্মের প্রখর রৌদ্রে ফাটা চৌচির মাঠের মত।
অতঃপর তুমি এসেছিলে ঝর্ণাধারার মতন
এক পশলা বৃষ্টি হয়ে যেন ভিজিয়ে দিলে মন!
প্রকৃতি মেতে ওঠলো অদ্ভুত সজীবতায়
প্রাণের জোয়ার জলে সে কী স্পন্দন!
তারপর দু’কূল ছাপিয়ে উঠেছিলো প্লাবন,
কিছুটা ক্ষণ ভেসেছিলাম হাওয়ায়;
শরতের সাদা মেঘের ভেলায়
সুনীল আকাশে—
নবান্নের উৎসবে মেতে উঠেছি হেমন্তের বিকেলে
তারপর হিম হয়ে আসে উত্তরে হাওয়া
কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকে দু’নয়ন;
এইতো সেদিন হয়ে গেলো পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ
তবু চন্দ্রিমা থেমে থাকেনি
আবারো নামবে জোছনা-চলছে তারই আয়োজন
ঠিকরে ঠিকরে পড়বে আলো— তৃষিত নয়ণে
আবারো ফাগুন আসবে ,
ফুলে ফুলে ভরে যাবে কানন
আবারো আলোড়িত হবে চাতক দু’নয়ন
পাখিদের কলরবে
তুমি ঠিকই আসবে— ফাগুনের হাওয়ায় ভাসবে
শীতের পাখিদের বিদায় দিতে ক্ষনিকের দূরে যাওয়া— শেষে
তুমি ঠিকই ফিরে আসবে ফাগুনের উতাল হাওয়ায়
জঞ্জাল ঘেরা যা কিছু আছে— নির্বাসনে দিয়ে তবেই আসবে,
মুক্ত বিহঙ্গের মতো,অতঃপর তুমি ফাগুনের হাওয়ায় ভাসবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:১৪