আলোকোজ্জ্বল এক ভোরে গাইবে বাসন্তী কোকিল। ফাল্গুনের উতাল হওয়ায় সুভাস ছড়াবে পলাশ— চাঁপা— সন্ধ্যামালতী। পৃথীবির বুক বিদীর্ণ করে গজাবে এক অচিন উদ্ভিদ। প্রতীক্ষার লাল গালিচা বিছিয়ে চাতক দু’চোখ তৃষিত হৃদয়ের কিংবদন্তীর এক কাব্য বিরচণে
যেন সুপাঠ্য নিপুণ চারুলিপি। সেই অচিন বৃক্ষের নাম প্রেম অথবা প্রিয়তমা।
ময়ূরীর মতন পেখম তুলে রূপজৌলুসে ফগুনের আগুন ছড়িয়ে দেবে। দিয়শলাইয়ের কাঠির মতো জ্বলিয়ে দাও, কামনার বহ্ণিশিখা। যেন
আধার রাতে জ্বলে থাকা ধ্রুবতারা। দিকভ্রান্ত প্রেমিক অনায়াসে চিনে নেবে তারে। শিশিরের মতো অনন্ত কালে জমে জমে সৃজিত এক
সরোবর প্রেম উছলিয়া উঠিবে প্রিয়ার ম্যাগনালিয়ায়। গ্লাডিউলাসের ব্যঞ্জনায় সুরভিত হবে চারিদিক।অনন্ত পিয়াসী ভ্রমর এক সাগর তৃষ্ণা
নিবারণে হয়ে ওঠবে ভালোবাসা নিপূন শিল্পী।লজ্জাবতী লতাটিও হয়ে ওঠুক মাতোয়ারা।
বসন্তে লুকোতে নেই । বসন্তে পালাতে নেই। বসন্ত প্রেমের; বসন্ত অনন্ত যৌবনের; ভালোবাসার জলপানের । বসন্ত কোকিলের,
ফুলের, ভ্রমরের— ফগুনের আগুনের । বসন্ত অবলোকনের, উদযাপনের, অবগাহনের— অনন্ত সুধা পানের। নক্ষত্রের আকাশের;
দারুচিনি বনের।
বসন্ত হংসমিথুনের;ঘাস ফড়িঙের, সবুজ দূর্বাবনের,অনন্ত আকাশের। বাংলা বর্ণমালার। রক্তের আল্পনার । মিছিলের।ভাষা আন্দোলনের । মাতৃভাষার উত্থানের। বসন্ত প্রকাশের। বসন্ত যেন ভোরে রবি; আলোবিকীরণের।
বসন্ত মিলনের সৃজনের রতিসুখে গা ভাসিয়ে অবশেষে একান্তই আমাদের দু’জনের; দুটি প্রানের—স্বপ্নোত্থিতার নিশি জাগরণের।
ওগো প্রাণের স্পন্দন হৃদয়ের উপাসনা জীবনে সবই বৃথা প্রেমের বিভীষিকা ছাড়া। চাতকোনয়ণে বৃষ্টি জল হয়ে এসো। অনবদ্য বিন্যাসে বিনুনি ঘন কেশে মায়াবন বিহারিনি মনোব্যঞ্জণ হয়ে এসো। স্বর্গসুখের স্বর্ণালি সুখের খনি হয়ে এসো। অনন্ত পিয়াসে সুশীতল জল হয়ে এসো। ভাসাও -ডুবাও- সজ্জ্বিত করো; এলোমেলো করো দলিত পদ্মফুল হও।
আকুল দরিয়া তুমি আজি— আমি নৌকোমাঝি; প্রচণ্ড ঝড়ে অশান্ত সগরের বুকে নৌকোর মাস্তুলে পাল তুলি।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:০৪