কোন প্রতীমার এতো রূপতার আগে কখনো দেখিনি
অবাক করা দুচোখ তার বিশ্বের বিস্ময়
তিনি ছিলেন নৃত্যপটিয়সী—রমনী।
প্রতীমার মতো করে
হাসিতে তার মুক্তো যেনো ঝরে পরে।
কন্ঠো তাঁর যেন তালপাতার মিহি বাঁশি
কাঁদালেন হাসালেন রঙ্গমঞ্চের তিনি রানী।
তার অপরূপ দেহ বল্লরী
প্রথম যৌবনে নিয়েছে হৃদয় কারী।
মনে মনে স্তুতি গাহিতাম তারি
অপরূপ দেহবল্লরী
কুয়াশার চাদরে ঢাকা যেন স্বর্গীয় উদ্যান
মনোহরিনী, স্বপ্নচারিনী, মরুর বুকে তুফান।
কল্পদেবী বোধ হয়;
এমনই রূপসী হয়
তোমারে দেখে তাহাই মনে হয়।
নশ্বর পৃথিবীর অমোঘ নিয়মে
অবেশেষে পৃথিবীর সব রূপ
যেনো শেষ হয় মরণে।
এভাবেই যেতে হয় চলে
থেকে যায় কেবল কাজ—
তবু তার প্রয়াণে,
গোটা পৃথিবীটা যেনো গভীর শোকার্ত আজ।
তাঁর জীবনের এখনেই স্বার্থকতা।
আমিও যাবো চলে, তুমিও;
তাই বলি সখি এই ক্ষণিকালয়ে,
যতটুকু পারো ভালোবাসা তুমি দিও।
আর বুক ভরে মোর ভালবাসা তুমি নিও।
চিরো বিদায় শ্রীদেবী!তোমার বিদায়ে যাবে না থেমে পৃথিবী
পৃথিবীর বুকে চলিবে আগেরই মতো সবই।নিষ্ঠুর পৃথিবী!
হঠাৎ করে শ্রীদেবী—আজ তুমিও গেলে চলে
জন্মিলে মরিতে হয় মরার সময় —নিরবে গেলে বলে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:০৪