এখনো পড়ছি,
আগেও পড়েছি—
আগামীতেও পড়বো..তা,
এ যে সুঘ্রান মাখা—
মৃগনাভীর মতো।
ব্যস্ততার পুরু দেয়াল ভেদ করে
ফুরসত বের করে
তারপরও করি পাঠ।
শিকারের নেশায় বুদ হয়ে থাকা
উন্মাতাল শঙ্খচিলের মতো; অবিরত প্রচেষ্টায়—
এভাবে কেটে যায় রাত,
দিনও হয় গত।—
একদিন তুমিও পড়িবে!
হয়তো ভালোবেসে একেবারে মরিবে!!
… প্রেমের মরা।
সেদিন থাকিবেনা তোমার কোন লাজ
হয়ে ভীষণ উদ্ধত।
আমরা দু’জনেই করিবো তরজমা
পাতালপুরির স্বর্গস্পর্শি দু’জনার দেহ;
হয়তো বুঝিবেনা কেহ—
অথবা বুঝিবে—
নক্ষত্রের দূর আকাশে
ভেসে থাকা, ধ্রুব তারার মতোন— সুস্পষ্ট ।
প্রজাপতি
তুমিতো স্থির নও
সারাদিন করছো হাঁটাহাঁটি;
নিকটে তোমার মন বসেনা।
রান্নাঘরে মন পড়ে থাকে
ঘরের বাইরে পারলে যেতে
হয়ে ওঠো তুমি
টগবগে অশ্বের মতো।
লুকোচুরি খেলাতেও তোমার নেই জুড়ি
আনন্দে তাতে করো গড়াগড়ি
তুমিতো আচরণে পেয়েছো সবটা তারি।
এক হাসিতেই হৃদয় কাড়ো,
তুমি যাদুকর, মস্ত বড়ো,
এখন তুমি থাটতে পারো।
আগামী কইবে কথা—হয়তো
ঝরবে মুখে মধু তারি মতো;
মোটেও অবাক হইনা আমি তাতে
তুমিতো মোর প্রিয়তমারই মতো ।
যাচ্ছিগো মা মরে
যাচ্ছিগো মা মরে—শ্বাস নিতে পারছিনা,
ছোট্ট বোনটি আমার
যন্ত্রণাতে কাতরায়—সহিতে পারিনা
তাই যাচ্ছিগো মা মরে!
বাতাসে মিশেছে বিষ—দিয়েছে ওরা ছড়িয়ে,
একটি মাত্র মাস্ক— আমরা দুটি প্রাণ,
বাঁচিবো কেমন করে।
ছোট্ট বোনের মরণ যাতনা
দেখিতে পারিনা— মনটা কেমন করে।
তারে বাঁচাতে গিয়ে—আজি যাচ্ছি গো মা মরে।
কী দোষ ছিলো মোদের,
মানুষের অবনীতে ?
আজ বিশুদ্ধ বাতাসের এত অভাব!!
অভাবে তার গেলাম আমি মরে।
ছোট্ট বোনটি আমার থাকুক বেঁচে
এই অবনীর পরে—
নিষ্ঠুর ধরনী,
কি দোষ করেছি আমি?
বিনাদোষে আজ—গেলাম আমি মরে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৫৪