somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সেলিম আনোয়ার
পেশায় ভূতত্ত্ববিদ ।ভালো লাগে কবিতা পড়তে। একসময় ক্রিকেট খেলতে খুব ভালবাসতাম। এখন সময় পেলে কবিতা লিখি। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হল ভালো লাগে খুব। ভালোলাগে রবীন্দ্র সংগীত আর কবিতা । সবচেয়ে ভালো লাগে স্বদেশ আর স্বাধীন ভাবে ভাবতে। মাছ ধরতে

অর্কের চোখে নেই চশমা

০৫ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



অর্ক ভালো করেই জানে মুরগি ডিম পাড়ার পরে সারা পাড়া মাথায় তুলে। কক কক কক। অর্থ আমি একটা পৃথিবী দিয়ে ফেলেছি। আমার সমান কেউ পারে না। আমি দিলাম আমি দিলাম। পাড়ার লোকের মাথা খারাপ। কি দিল? কি দিল? সবই বোধহয় দিয়ে দিলো? আমারে তো দিলনা! আমার জন্য কিছুই রাখলো না। বুদ্ধিমানরা ঠিকই বুঝতে পারে কি আর দিবে একটা বোধহয় ডিমই দিয়েছে। তারা চুপই থাকে। বোকাদের মাথানষ্ট । কক কক কক করার বিনিময়ে মুরগির কপালে কি জুটে? অতিরিক্ত শব্দে বিরক্ত হয়ে হয়তো মালিক ঢিল ছুড়ে। ঢিল ছুড়ে মুরগীকে তাড়িয়ে দেয়। শব্দ না করলে ঢিল খাওয়া লাগতো না। কপাল খারাপ হলে জবাই করে অতিথি আপ্যায়নের ব্যবস্থায় খাবারে পরিণত হবার সমূহ সম্ভাবনা থেকেই যায়। ডিমপাড়া হওয়ার কারণে একটু বিবেচনা সে হয়তো পায় ডিম পাড়া শেষে তারে জবাই করে। অবশ্য সন্তানের বেলায় সেটি প্রযোজ্য নয়। সন্তান কান্না করলে মায়ের দুধ মেলে, বাবার কোল মেলে, খেলনা মেলে, খেলনা গাড়ি কিংবা একটা বড়ো ফুটবলও মিলে, বিবাহযোগ্যের মিলে চাহিদা ও যোগ্যতা মোতাবেক হাজবেন্ড ওয়াইফ আরও কত কি মেলে? সহায় সম্পত্তি সব। অবশ্য সন্তান বিরক্তির কারণ হলে লাঞ্ছনার কারণ হলে বাবা মা ত্যাজ্যও করতে পারে। সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতেও পারে। বড়ো হওয়ার এই জ্বালাও আছে। সন্তানের কাছে থেকে বাবামার প্রত্যাশাও অনেক বেশি থাকে। একমাত্র হলেতো কথাই নেই। আর কথা আছে না বোবার শত্রু নেই। এটা অর্ক জানে। তবে সময় খারাপ। যার গলায় যত জোর তার জন্যে তত এই পৃথিবী। সবার চোখে একটা করে চশমা আছে। একেকটা একেক ব্রান্ডের । ব্রান্ডের কঠিন ভূমিকা। চশমাওয়ালা কথা বলে ব্রান্ড দেইখা। ব্রান্ডে মিলে গেলে সমস্যা কম। ব্রান্ড না মিললে ভয়াবহ বিপদ। ব্রান্ড আলাদা হলে নর নারীতে হবে না বিয়ে। দুইজন মুক্তিযুদ্ধা দুই ব্রান্ডের চশমা পরলে দুইজন শত্রু হয়ে যেতে পারে। একজন আরেকজনকে রাজাকার বলবে। আবার রাজাকার চশমা পরে মুক্তিযুদ্ধা হতে সময় লাগেনা। ব্রান্ড মিলে গেলেই হলো। রাজাকারদের ক্ষমা ঘোষণাতে কোন দোষ নাই । দোষ হলো ক্ষমা ঘোষণা পাওয়ার পরে তাদের স্বাভাবিক নাগরিকের সুবিধা দিলে। তাদের চোখে চশমা দিলে । অবশ্য সেক্ষেত্রে দোষ নির্দোষ চশমার ব্রান্ড নির্ধারণ করবে । এসব দেখে বেশি বুদ্ধিমান যারা তারা সম্রাট আকবর হবে। সম্রাট আকবর অশিক্ষিত মানুষ। মওলানাদের বহাসে অংশ নিত দর্শক হিসেবে। আর সেটাই কাল হলো তার জন্য। তখন আলেমরা যুক্তি দিয়ে একজন আরেকজনকে কাফের ফতোয়া দিত। এসব দেখে বাদশাহ আকবরের মাথা বিগড়ে গেল। দ্বীন –ই-এলাহী এভাবেই চালু হলো। আরে আকবর নাকি আজানের আল্লাহু আকবারের আকবার।(নাউজুবিল্লাহ) আকবার বিভ্রান্ত হলো। তাকে বিভ্রান্ত করলেন সে সময়কার আলেম আবুল ফজল। মানুষ তো ভুলের উর্দ্ধে নয়। এই যেমন তাবলীগ। তারা আলেমদের তাবলীগে আনার জন্য দাওয়াত দিতে থাকলেন। আলেম ছাড়া দ্বীনের প্রচার যথাযথ হচ্ছে না। ফলাফল আলেমগণ তবলীগে ঢুকলেন। কিন্তু যারা এতিম মাদ্রাসায় থেকে খয়রাতের টাকা খেয়ে খেয়ে বড়ো হয়েছেন। খয়রাত ছাড়া তারা আর কি শিখবে? যারা খয়রাত করেনি স্বচ্ছল পরিবারের তারা খয়রাত নিয়ে নেই টেনশনে। যারা আজন্ম খয়রাতি তাদের খয়রাত নিয়ে ফতুয়াতে মওয়ালানা সা'দের বিরুদ্ধে রুষ্ট হয়ে গেলেন। আন্দোলন করলেন। লাঠিসোঠা নিয়ে মসজিদ দখল করতেও কার্পন্য করলেন না। অন্যদের কাছে এটা বড় কোন দোষ নয় । কিন্তু তবলীগের লোকের জন্য দোষের নেই শেষ। তাবলীগের কোন বিনিময় ছাড়া দান আমলের ফর্মূলা ভেস্তে গেলো। সেটাও মহান আলেমদের এক অংশের কারণে। এর জন্য দায়ী তাদের শিক্ষা ব্যবস্থা। এর পরিবর্তন না হলে তবলীগে যেয়েও ঝামেলা হবে। অবশ্য অনেক আলেম আছেন তারা কোন বিনিময় গ্রহণ করে না। নিজের পয়সায় অন্যের উপকার করেন। উপকার করে আল্লাহর অন্তুষ্টি কামনা করেন। আর কিছু তাদের প্রয়োজন নেই। এমন লোক তবলীগে অনেক আছে। তার খবর কে রাখে? পত্রিকাতে গন্ডগোলই আসে। আর তাদের অবস্থা ডিম পেড়ে কক কক করা মুরগীর মত। কয়জন মানুষ আখেরাত নিয়ে ভাবে? বেহেশত দোযখ নিয়ে ভাবে। তাদের হিসেবে আলেমের কী দাম আছে? তাদের কাছে আলেম মানে দেশের বুঝা। জানাজার সময় কাজে লাগে। আর মিলাদের সময়। মুক্তমনা নাস্তিক হলে তাও লাগেনা। অনেকের কাছে তারা পাকিস্তানি বা রাজাকার হতে পারে(নাউজুবিল্লাহ মিন জালেক) তবে বাস্তবতা হলো তাদের মাঝে অনেক দেশপ্রেমিক আছে। তাদের চশমাটা একটু অন্য রকম হতে পারে। বা যদি হক্কানি আলেম হয়ে থাকে তাদের চশমাটাই আসল চশমা। বাকী সব কিছুতে বড় বড় ধরণের ভেজাল নিহিত আছে।

অর্ক আর যাই হোক বাদশাহ আকবর হতে চায়না। নিরব থাকাই তার জন্য শ্র্রেয়। দুই একটা কথা না বলে থাকতে পারে না। বিবেকের তাড়ণা থেকে বলা। চশমাপরিহিতদের চশমা খোলা সম্ভব হয়না। তারা পাপ কে সবসময় পাপ বলবে না। অথবা ফেরাউনের মতো বলে থাকতে পারে বা চেষ্টা করতে পারে। সেই বলার আর দাম থাকবে না। আখেরাতে সবার ঈমান থাকবে। শত ভাগ ঈমান থাকবে। সেই ঈমানের কোন দাম থাকবে না। সেই ঈমানের বিনিময়ে বেহেশত থাকবে না । আখেরাতে সবার সমান ঈমান কিন্তু কেউ বেহেশত পাবে কেউ পাবে জাহান্নাম। আর পৃথিবীতে এক জাররা পরিমাণ ঈমান যার আছে বা সেই পরিমাণ ঈমান নিয়ে যে মারা যাবে তার জন্য বেহেশত আছে এই দুনিয়ার দশ দুনিয়ার সমান বেহেশত। অর্কের প্রতিভার শেষ নেই । সে ওয়াজ করলে সবাই মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনতে থাকবে।

যদি রাজনৈতিক ভাষণ দেয় তাহলে তার ভাষণ শ্রবণ করার জন্য অনেকেই জড়ো হবে। কে জানে বঙ্গবন্ধুকে হয়তো ডিফিট দিয়ে দিতো। অর্ক রাজনীতি করলে গণতন্ত্র এতদিন কেউ দাবিয়ে রাখতে পারতো না। খালেদা জিয়া এতদিন বন্দী থাকতো না। ১/১১ এ যখন বড় বড় রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব ইদুরের গর্তে লুকিয়ে আছে তখন অর্ক রাজপথে শহীদ মিনারে। মিছিলে শ্লোগানে সাহসে মানসিক দৃঢ়তায় অনন্য। জেলে গিয়েও সুইডেন আসলাম কালা জাহাঙ্গীরেদের বুড়ো আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে অর্ক অন্যরকম জিনিস। অর্ক সাধারণ মানুষ না। সে যেভাবে চায় যা চায় তাই হবে । অন্যথা হবেনা। অর্ক কাহাকেও পরোয়া করেনা । আল্লাহ তায়ালাও চান অর্কে কারো পরোয়া করবে না। অর্কর কবিতা তো কবিতা না। কবিতার মেয়েকে কবিতা দিয়ে শিকার করা। অর্ক কবিতার জগতে বাস করে। অর্ক কবিতা খায়। কবিতায় ঘুমায় স্বপ্নে কবিতা লিখে। এই গত রাতে স্বপ্নে কবিতা লিখেছে

নেইমার এইবার বিশ্বকাপ ফুটবলে হবে সেরা
বিশ্বকাপ হাতে নিয়ে খুশিতে হবে আত্নহারা
সর্বোচ্চ গোলদাতা হলেও নেই কোন ক্ষতি
সবার সেরা প্লেয়ার মানা ছাড়া উপায় নেই আর
নেইমার নেইমার ভাল খেলো বারবার বিশ্বকাপ হাতে
নিতে তোমার তুল্যহাত আর কাহারো নেই আর।
অভিনয়েও তুমি কতো দক্ষ
হারের চেয়েও তোমার
অভিনয়ে বেশি হারে
তোমার চিরো প্রতিপক্ষ।
অস্কার টাও দিতাম তোমারে
অভিনয়ে তুমিই সেরা প্রতিপক্ষের বিচারে ।
কত চমৎকার খেলো তুমি তোমার তুল্য নেই আর।


জুতার মতো হয়ে গেল। ঘুম ভেঙে দেখে বাজে রাত সারে চার। রাত তো শেষ প্রায় তা ভেবে অর্ক ঘুমায়না আর । এবার ঘুম থেকে উঠে নেয় হাতে কলম। এবার লিখে যায় প্রেমের কবিতা। শক্ত কলম তার হাতে প্রেমের বিশুদ্ধ ত্রিভুজ চাই অর্কের তখন...

প্রিয়তমা আছো কোথায় ? আছো কোন দূর দেশে? আমায় হেথা একেলা ফেলে
কারে লয়ে ঘুরো সোনার ময়না পাখি পেয়েছো কি সুখ তুমি অবশেষে।
ঘুম থেকে উঠে তোমারে যে ডাকি। এবেলা যাও মোরে ভালোবেসে
একাকিত্ব পারিনা সহিতে ......তুমি কিগো বদ্ধ সরোবর
তটিনী নও কোন তবে! লহ না কেন আমার খবর?...
অর্ক ভাবে এত কবিতা লিখে কি লাভ।
হৃদয়ে যার ভালোবাসার অভাব।
তারে কি আর কভু কাছে
যাবে পাওয়া।
ছলনা।

তেসোর রুপের নেইকোন শেষ । অহংকারেরও । কোন পুরুষ পায়না ছুতে তার গণ্ডদেশ। বুকভরা ভালোবাসা মুখভরা মিষ্টি। কথার যাদুতে হয় অনাসৃষ্টি। হাজার পুরুষ তারে চায় ভালোবসিতে। কেহ তার কখনো পারেনা কাছে আসিতে। অর্কের কাছে কেবল তার প্রেম আছে। অর্কের প্রেমে সে ডুবে আছে। কত বাহানায় ঘুরে ফিরে কথা তার একটাই স্বপ্নের পরুষ অর্ক আর কারো খাওয়া নাই। হাজার পদের রকমারি রান্না রাধতে গিয়ে আসে তার কান্না। অর্কসোনা পারবে কি খেতে? কখনো যে সে খেতে পায়না। ডালমেশিয়ানটাও খাবার ঠিকই পায় এসব ভেবে দুঃখ আর সহেনা। আগে সে নিয়মিত উৎসব পার্বনে রান্না আর খাবার পরিবেশনে উঠতো মেতে। এখন সে গুটিয়ে থাকে সবার আগে অর্ককে খাওয়াবে না পারলে রান্না বন্ধ; অন্য কেহ পাবেনা তার কোন খাবারের গন্ধ। যা ভাবে সেই কাজ অর্ক ছাড়া কোন কিছু ভাবেনা আর আজ।

তেসো লিখে প্রেমের কবিতা । সে মোটামুটি মানের। ঢঙ্গী একটা আরকি। সেতো রবীন্দ্র নাথ না।

প্রিয়তমু তুমি যেন ভালোবাসার বৃষ্টি
সেই বৃষ্টিতে প্রতিনিয়ত আমি ভিজি;
ভিজে ভিজে আমি যেন জলে ভাসা পদ্ম
ভালোবাসার মালা তোমায় পড়াবো গলে
এই প্রতিশ্রুতি সখা জানিয়ে দিলাম অদ্য।

তেসো কবিতা লেখা কাগজ দিয়ে একটা প্লেন বানিয়ে বাসার ছাদে থেকে দেয় তারে উড়িয়ে। উড়তে উড়তে প্লেন যেয়ে পড়ে অর্কে বাসার ছাদে। যেখানে অর্ক অপেক্ষার প্রহর নিয়ে বসে আছে। পাশের ছাদের সুন্দরীর সঙ্গে টাঙ্কি মারতেছিলো। ঠিক সেই সময় আকাশ থেকে পড়লো এসে ছোট্ট একটি প্লেন সেই প্লেনে লেখা ছিল আমি তোমার লাল টুকটুকে তেসো মেম। ভালোবাসার উড়োজাহাজ খানা পেয়ে অর্কের মনে খুশিতে আর ধরে না। ঢঙ্গীর কবিতা তার কাছে অমৃতসমান। মানের বিচারে সেটা হয়তো কিছুই নয়। এতা সুন্দরীর আবার কবিতা লিখতে হয় নাকি? এই কবিতা রবীন্দ্রনাথ পেলেও পটে যেত। আরে মৃনালিনী দেবী তো আর তেসোর মতন এত রূপবতী নয়। মেঘবরণ চুলও নয়। মোদ্দাকথা ঢঙ্গীতো নয় ই। অর্ক কলম হাতে তুলে নেয়। অর্কের কলম অনেক বড়ো ভীষণ শক্ত। সে লিখে রবীবাবুর চেয়ে ভালো লেখার চেষ্টা করে। ব্যাকডেটেড রবীন্দ্রনাথকে হারাতে হবে। অর্কের কবিতাতো অনেক সুন্দরী। আই মিন তেসো আরকি। সেজন্যই তো রবীন্দ্রনাথ নয় অর্ক ই সেরা কবি। একসময় সবাই বুঝবে। এখন কেবল তেসো বুঝে। তেসো বুঝলেই হবে। অর্কের কবিতা লিখে



তোমার পত্রের কথা রবীন্দ্রগানের মতো লাগিতেছে সুমধুর—
কথা দিলাম সাজাবো তোমারে বধুর বেশে
কাছে এসো থেকোনা আর দূর।
তোমার হাতের ছোঁয়া নিলাম গায়ে মেখে
তোমার ঘ্রাণে কুহুকেকা ওঠেছে ডেকে ।
আহা কি সুন্দর !! লাগিতেছে ভারি মিষ্টি
কণ্যা তোমার চোখে আনো প্রেমের দৃষ্টি।
প্রেমের খেলা খেলবো সখি তুমি আমি দুজনে
বোনাটিকাল গার্ডেনের অপরূপ ফুলবনে ।
আমার কলমে তোমার সাদা কাগজে
শ্রেষ্ঠ কবিতা লিখিবো দুইজনে
দখিনের বাতায়নে
আনমনে।।

অর্ক আজ লিখবেই। একটা কবিতা লিখে ঘুড়ি বানিয়ে বাংলার আকাশে উড়িয়ে দিলে কেমন হয়। অর্কের বাংলাদেশ, তেসোর বাংলাদেশ। ষোল কোটি মানুষের বাংলাদেশ । প্রতিটি মানুষের ভোটাধিকার আছে। নাগরিক অধিকার আছে। আছে বাকস্বাধীনতা, বিবেকের স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালে সারা বাংলাদেশের সকলে মিলে একটি নতুন মানচিত্র একটি নতুন পতাকার মালিক হয়েছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ । সেটা আজ স্বৈরাচারের আঘাতে ক্ষত বিক্ষত। যারা বলেছিল আমি প্রধান মন্ত্রীত্ব চাইনা। দেশে এসে ক্ষমতার মেলা বসিয়েছে। ভোটচুরীর উৎসব করেছে। পরীক্ষাকেন্দ্র গুলোতে নকলের রাম রাজত্ব কায়েম করেছে। কম্বল চুরি করেছে। লালবাহিনী রক্ষিবাহিনী দিয়ে নতুন পাকিস্তান সৃষ্টি করেছে। গণতন্ত্র খেয়ে ফেলেছে। তারা আবার স্বৈরাচার হয়ে নাগরিকদের সকল অধিকার খর্ব করে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর মত উপনিবেশ ব্যবস্থা চালু করেছেন । আবারো হয়তো কোন নূর হোসেন স্বৈরাচার নিপাত যাক পিঠে লিখে রাজপথে বেড় হবে। হয়তো তার বুকও ঝাঝরা হবে। আবার নতুন নাটক হবে। এটা তারা করে নাই। যেমন রগকাটা নেত্রী এখন রগকাটে নাই মর্মে ইতিহাস লেখা হয়েছে। ভিসির বাসা ভাঙচু র কে বা কারা করেছে। প্রসেঞ্জিৎ হত্যা কে করেছে। হয়ত ইলিয়াস আলীগুমও বিরুধীদলের নামে চাপানো হবে। তার পক্ষে ব্লগেও লোক থাকবে। এদেশে এখনো মীরজাফর, ঘসেটি বেগম, রায়দূর্লভ , জগৎশেঠের প্রেতাত্নারা ঘুরে বেড়ায়। নতুন কোন সিরাজের সন্ধানে। অর্কের সন্ধানে।তেসোর সন্ধানে। কবিতার ঘুড়ি উড়ুক বাংলার উন্মুক্ত প্রাঙ্গনে।



বেগম
খালেদা জিয়া
কেন জেলে ?স্বৈরাচারের প্রিজন সেলে
তিনি তো ছিলেন গৃহবধু। জুলুম হত্যা করেননি কোনো
স্বামী হারিয়েছেন অল্প বয়সে গণতন্ত্রের ঝান্ডা রয়েছে কেবল তারই হাতে
তিনিতো দেখালেন আপোষহীন নেতা কাকে বলে প্রয়োজনে নির্বাচন করবেন না,
নির্বাচনে তিনি অপরাজিতা তার চেয়ে জনপ্রিয় নারী বঙ্গদেশে নেই কোন
তিনিইতো গণতন্ত্রের সুপ্তোত্থিতা। বঙ্গদেশের নেলসন মেন্দেলা।
জাগো বাঙালী জাগো বাজাও তুফান বীণ ঝড় উঠুক
সত্যের ঝান্ডা হাতে ভেঙে চূড়ে দিক
স্বৈরাচারের কালোহাত।
খালেদা জিয়া আর জেলে থাকবে না
জেলের সব শৃঙ্খল ভেঙে ফেল স্বপ্নের রঙিন পাখা মেল।



তেসোর ভিন্ন মত। ভিন্ন ঠিকানা। সে চায়না অর্ক আর কাউকে ভালবাসবে । অর্ক বাড়াবাড়ি করবে শুধু তাকে নিয়ে। তার কাছ থেকে প্রেম কেড়ে নেবে। মানুষের কাছে তেসো ভাব দেখাবে। দেখ অর্ক কতো নির্লজ্জ। তেসো না করার পরও অর্ক জোর করে তার সঙ্গে করে। বলে বলে লোক জড় করে দেয় তেসো। লোকেরা বলে ছিঃ ছিঃ অর্ক এত বেহায়া। তেসোর তখন অর্কের প্রতি ভালোবাসা আরো বেড়ে যায়। গোপনে অর্ককে ভালোবাসা বিলোতে থাকে। গোপন অভিসারে মিলিত হয় তারা চারুকলার বকুল তলায় কখনো রবীন্দ্র সারণীতে। হিজলের বনে। জলে জঙ্গলে অন্তরীক্ষে তাদের প্রেম ছড়িয়ে যায় । তাদের প্রেমে মুগ্ধ হয় পূর্নিমার চাদ। রাতের তারা। জোনাকি। পদ্মা মেঘনা যমুনা বাংলার ৫৬ হাজার বর্গমাইল ।









সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ২:২৭
১৪টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×