somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সেলিম আনোয়ার
পেশায় ভূতত্ত্ববিদ ।ভালো লাগে কবিতা পড়তে। একসময় ক্রিকেট খেলতে খুব ভালবাসতাম। এখন সময় পেলে কবিতা লিখি। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হল ভালো লাগে খুব। ভালোলাগে রবীন্দ্র সংগীত আর কবিতা । সবচেয়ে ভালো লাগে স্বদেশ আর স্বাধীন ভাবে ভাবতে। মাছ ধরতে

অর্কের বিবেচনায় পরিবর্তন চায়ই চাই

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




অর্কের দৃষ্টিতে এরশাদ সাব একজন ভিতু। বুদ্ধি বিবেচনাহীন মানুষ। ৯০ এর গণঅভ্যত্থানে তার পতন। সারাদেশ তখন উত্তাল উনুন। জনতার মুখে মুখে এরশাদের নারী আসক্তি, শত শত কোটি টাকার দূর্ণীতি নূর হোসেন ডাঃ মিলন হত্যা এসব। ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয় তখন আগ্নেয় গিরির জ্বালামুখ। এরশাদকে পুড়িয়ে মারবে। সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যপরিষদ গঠিত হয়েছে। তখন ডাকসু ভিপি আমানুল্লাহ আমান তিনি নাকি খালেদার জিয়ার কামান। আসলে সাহসী নন। বক্তব্য দেয়ার সময় গলা উঁচু করে মোটা গলায় কথা বললেই কামান হয়না। বিড়ালও হতে পারে। আসলে কামান টাইপ কিছু হলে সেটি ছিলেন নাসির উদ্দিন পিন্টু যিনি দীর্ঘদিন জেলে থেকে মৃত্যুবরণ করেছেন। তাকে হয়তো মেরে ফেলা হয়েছে। এরশাদ সাহেবের সাহস কম বুদ্ধিও নিম্নশ্রেনীর প্রাণীদের মতো উদাহরণদিলে তেলাপোকা অথবা টিকটিকির নাম আসবে। নাহলে তাকে জেলে পাঠানো নিয়ে খালেদার বিরুদ্ধে ক্ষোভের কোন যুক্তি তার অনুর্বর মাথায় আসে কেমনে?

৯১ এর নির্বাচনে শেখহাছিনা জয়লাভ করলে এরশাদ সাহেবকে হয়তো ফাঁসিতে লটকে দিত । একেতো তিনি মুক্তিযুদ্ধা নন। তার ওপর আবার সামরিক শাসক ছিলেন। ৮৪ নির্বাচন তো শেখহাছিনা হেরেছিলেন। সব ক্ষোভ মিলে এরশাদ সাবের গুষ্ঠিশুদ্ধো জেলে দেবার মতো ক্ষিপ্ত শেখহাসিনা আর আওয়ামীলীগ ছিলো। ফেসিস্ট আওয়ামীলীগ এরশাদকে সিরাজ সিকদারের মত হয়ত মেরে ঘোষণা দিয়ে দিতো লালঘোড়া দাবড়িয়ে দিয়েছি। এরশাদের ভাগ্য সুপ্রসন্ন। নির্বাচনে জিতলেন খালেদার বিএনপি জোট। এরশাদ সাব বেঁচে গেলেন। বেঁচে থেকে কমপক্ষে ক্ষোভ প্রকাশ করতে পারছেন খালেদা জিয়া তাকে কেন জেলে দিলেন? এরশাদকে কিন্তু শেখ সাহেবের কন্যা রেহায় দেয়নি। জাতীয় পার্টির ভিতরে তাকে মরার মতো পয়জন দিয়ে রেখেছে। একটু টু শব্দ করলেই এরশাদের সামনে ফাসির রজ্জু তোলে ধরেন আর এরশাদ নিরব হয়ে যান। এরশাদ এখন মেসির মতো মমি। আর তোফায়েলসাব রবোকপ মানে যন্ত্রমানব। এরা ক্ষমতায় থাকলে হয়তো এরশাদকেও কিছুদিন পর মৃত্যুর প্রহর গুণতে হবে। যেমন খালেদা জিয়া জেলে গুনছে। রবোকপের অবস্থা হবে কিবরিয়ার মত। কালোবিড়াল মরে গেছে ড. কামাল কাদের সিদ্দীকিরা দলের বাহিরে গিয়ে বেঁচে আছে। দেশে বঙ্গবন্ধুর বড়ো বড়ো আবক্ষমূর্তি আছে। এখন হয়তো শেখহাছিনার আবক্ষমূর্তি স্থাপিত হবে। সেখানে পুজো দিবে রবোকপ তোফায়েল, সাজেদা, মতিয়া গং। অবশ্য আল্লাহর মাইর দুনিয়ার বাইর। দৈবক্রমে খালেদা ক্ষমতায় চলে আসলে এরশাদের স্বাভাবিক মৃত্যু হলেও হতে পারে। এসব চিন্তা অর্কের মাথায় ঘুরপাক খায়। আওয়ামীবাকশালীরা চরিত্রহননে নাম্বার ওয়ান। নিজেদের যেটা নেই অন্যের সেটা থাকলে গা তো জ্বলবেই। ফেসিস্টদের ফর্মূলা হলো ধর তক্তা মার পেড়েক। তারা ছাড়া যারা আছে সবার চরিত্রহনণের ইতিহাস ফেসিস্টদের মুখে মুখে। ১৫৪ আসনে ভোট দিতে না দেয়ার মতো কেলেংকারি বাংলাদেশের ইতিহাসে কোন রজনৈতিক দলের নেই। অর্ধেকের বেশি এমন সংসদ সদস্য নিয়ে গঠিত সংসদ আদতে অবৈধ। অনিয়ম কারচুপিতো থাকেই। তাহলে তার পূর্বেরটি বৈধতা কি পায়। সেটিও ফকরুদ্দিন মইনুদ্দিন বাবুর্চির ঘাড়ে পা দিয়ে আওয়ামীলীগের ক্ষমতারোহন। শেখ হাছিনা বিষোদগার করেন মাগুরা উপনির্বাচন নিয়ে। আসলে এসবের অবতারণা কেন যে হলো ?

অর্ক দৈবক্রমে একজন ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তির সাক্ষাত লাভ করেছে। লোকটি এখন রাজমিস্ত্রির কাজ করে। এলাকা থেকে আত্নগোপন করে আছে। হ্যাংলা পাতলা ধরণের মানুষ বয়স পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই। অর্ক অবশ্য কোন রেপিস্ট খুঁজতে গিয়ে তার সাক্ষাত পায়নি।অর্কের এত সময় নেই। অর্কের চারপাশে কবিতার বাস। কিভাবে সাক্ষাত হলো সেটি কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো একজন রেপিস্ট কেমন হয়? বা রেপিস্ট হিসেবে অভিযুক্ত একজন কি কি কারণে রেপিস্ট মামলায় পড়তে পারে তা জানা।


আক্কাস মিয়া ধর্ষণ মামলায় ফেসেছেন একজন মুক্তিযুদ্ধার মাধ্যমে। কথা শুনে মনে হলে এই রেপিস্ট আসলে রেপিস্ট নাও হতে পারে। সে হয়তো ভিক্টিম। ৭১ এ রাজাকাররা যেমন নিজের প্রতিপক্ষের নামে মিথ্যা নালিশ দিয়ে সাধারণ মানুষদের ঘায়েল করেছে সেরকম। হতে পারে নাও হতে পারে। আক্কাস মিয়ার আক্ষেপ তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা হয়েছে যে ভিক্টিম সে মুক্তিযুদ্ধার স্ত্রী একজন বৃদ্ধা মহিলা। আক্কাস মিঞা ক্ষোভের শেষ নেই। শেষমেশ একজন বৃদ্ধাকে ধর্ষণের দায় মাথায় নিয়ে তিনি এলাকা ছাড়া। অর্কের মাথায় মাঝে মাঝেই মুক্তিযুদ্ধা বিষয় মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। মুক্তিযুদ্ধার সংখ্যাতথ্য আছে সেখানেও ঘাপলা আছে। তাদের চরিত্র ব্যাপরে কোন তথ্য আছে কিনা তা তার জানা নেই তবে জানার আগ্রহের কমতি নেই। বিশেষ করে তাদের সন্তানদের নিয়ে। হালের মুক্তিযুদ্ধা কোটার দাবীতে যারা কথা বলে তারা কেমন ব্যাপরটি জানা যথেষ্ট গুরুত্ব রাখে বৈকি। অর্কের গ্রামের দুইজন মুক্তিযুদ্ধার একজন তার আত্নীয় । সম্পর্কে দূ সম্পর্কের মামা। তিনি আছেন ২য় স্ত্রী নিয়ে। স্ত্রী হিন্দু। হিন্দু বউ দোষের কিছু নয়। বিশাল সম্পদের মালিক হলেও তারা কেমন আইসোলেটেড। তার ছোট ছেলের প্রেম হলো কাজের মহিলার সাথে। যে মহিলা তাকে কোলে কাকে করে মানুষ করেছে। সে কি প্রেম! প্রেম তবু বাচ্চাকাল থেকে। বয়স ১০/১২ থেকে যদিও অর্কের বিশ্বাস হয়না। এত অল্প বয়সে একজন ছেলে কি করে এসবে জড়ায়। ঘটনা খুব সহজ মহিলার চরিত্র নেই। নিজের ছেলের বয়সী একজনকে কিভাবে এমন কাজে লিপ্ত করে? সারা গ্রামের আলোচনার বিষয় ছিল সেই প্রেম। কত বিচার শালিশ শেষে তারপরও ছেলেক পারে না আটকাতে। প্রণয় ছাড়া ছেলের চলেনা। ছেলের এখন হয়তো বয়স কুড়ি থেকে বাইশ হয়েছে। সেই প্রেম কেউ ঠেকাতে পারেনি। ছেলেটি শেষমেশ কাজের বেটি রূপবানকে বিয়ে করেছে। ঘটনা একশোভাগ সত্যি। এই হলো একজন মুক্তিযুদ্ধার ও তার সন্তানের গল্প। তার বড় ছেলে একজন বঞ্চিত বলা চলে। কারণ তাকে পারতপক্ষে কিছুই দিবে না মুক্তিযুদ্ধা বাবা। মুক্তিযুদ্ধার বিবেচনা!!!

আরেকজন মুক্তিযুদ্ধা অন্যগ্রামের। গ্রামের নাম ঘোড়াকান্দা। অর্কের মামাতো বোনের চাচা শ্বশুড়। অর্কের দুলাভাই বড় ছেলে। ছোটটির শ্বশুড় সেই মুক্তিযুদ্ধা। নাম না বলাই শ্রেয়। বড় ছেলে গ্রামে বাবার বিশাল সম্পত্তি দেখাশুনা করতেন। প্রচণ্ড পরিশ্রম করে সম্পদ বাড়িয়েছেন। আর ছোটটি দেশের বাহিরে থাকতেন। ছোটজনের শ্বশুড় সেই মুক্তিযোদ্ধা তিনি তার বড় ভাতিজাকে কিভাবে ঠকানো যায় সেই চিন্তায় বিভোর। ছোটভাই সাভারে বাড়ি করে তার একটি ফ্লাট দিয়েছেন শালির নামে। ভাইকে নয়। ভাই সহজ সরল মানুষ প্রচণ্ড পরিশ্রমী মানুষ। পারিবারিক বৈষম্য প্রতিবেশিদের লালসায় তার স্থান হয় পাগলাগারদে। এখন সে সিজনাল পাগল। দিব্যি ভাল মানুষ কিন্তু গরমের সিজনে মাথার তার ছিড়ে যাবে। সারারাত তিনি ঘুমোতে পারেন না ছোট ভাই আর মুক্তিযুদ্ধা চাচার দৌরাত্বে। জামাতা তার যুবলীগের নেতা। তার পাগল হওয়ার সিজন আসলো বলে। অর্কের দুলাভাইয়ের ভাগ্য একদিক থেকে অনেক ভালো। তার সন্তান দূর্দান্ত মেধাবী। পুরো উপজেলায় দুই বৃত্তি পরীক্ষায় টেলেন্ট পুলে বৃত্তি পেয়ে প্রথম। রাজউকে এডমিশন নিয়েছে। অর্ক এখন তার হুস্টেল ম্যানেজ করার তদবীরে ব্যস্ত। এই ছেলে যদি সবধরণের সুযোগ পেয়ে ঢাকায় লেখা পড়া করতে পারে। তাহলে কেমন হবে সহজেই অনুমেয়। অবশ্য ভাগ্যের সহায়তা দরকার। নাহলে ব্রজিলের দলের বিশ্বকাপ পরিণতি হতে পারে। ব্রাজিল দল নিয়ে অর্ক আর বেশি টানা হ্যাচড়া করে নি। ব্রাজিল হেরে গেছে এক গাভীর ভবিষ্যৎবাণীর কাছে। এক আল্লায় বিশ্বাসী হলেও ব্রাজিলের খেলোয়াড়রা স্রস্টার নামে গর্জে ওঠতো এবং বেলজিয়ামকে এক ডজন গোল দিয়ে গাভীর হাম্বা ডাক ছুটিয়ে দিত। কিন্তু তা তো তারা নয়। কিছু কিছু ব্যাপার যেমন বিজ্ঞানের কিছু বিষয় প্রাণিকূল পূর্বাভাস দিতে পারে যেটা বিজ্ঞানীরা এখনো পারে না। যেমন ভূমিকম্প। ভূমিকম্পের পূর্বাভাস কোন বিজ্ঞানী এখনো করতে পারে না। কিন্তু প্রাণীরা পারে। গর্তের পিপড়া বা অন্য প্রাণী যেমন উঁই তাাঁ আগে বুঝতে পারে এবং গর্ত থেকে বেড় হয়ে আসে। এলাপাতাড়ি ছেটতে থাকে। সাধারণ অবস্থায় তারা সরল রেখায় সারিবদ্ধভাবে ডিসিপ্লিান। কিন্তু ভূমিকম্প আসলে তারা এলোমেলো বিক্ষিপ্ত। ভূমিকম্প প্রেডিকশন খেলার প্রেডিকশনের মতো নয়। একজন নাস্তিক খেলার পূর্বাভাস বিশ্বাস করবে না। আবার আস্তিকতো নয়ই। এক বিবেচনায় ভালো হয়েছে। নেইমারের উপর যে হারে মাঠে মাঠের বাহিরে ফাউল চলছিল। তাতে বড় ধরণের দূর্ঘটনা হতে পারতো নেইমারের। সেটিতো হয়নি। তাছাড়া কিছু লোক সমর্থন করার চেয়ে বিপক্ষে বিকৃত মস্তিষ্ক যারা বেশি আনন্দ পায় তারা তো আনন্দিত হয়েছে। সেটাই বা কম কি?

কথা হলোএকজন মুক্তিযুদ্ধার সন্তান এমন খারাপ হয় কিভাবে? একজন মুক্তিযুদ্ধা তার নিজের বউকে ধর্ষিতা সাজিয়ে আরেকজনকে ফাসায় কিভাবে? ধর্ষক অবশ্য তার ভাতিজার সেল্টারে গাঢাকা দিয়ে আছে। যে ভাতিজার আগে কিছুই ছিল না। এখন বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছে। ঢাকা কলেজের ছাত্রলীগ নেতা আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। অবশ্য টাকলু ধর্ষণ করলে করতেও পারে। অথবা....। আরেকজন আবার নিজের ভাতিজাকে ঠকাতে কার্পন্য করছেনা। মুক্তিযুদ্ধান সন্তান হলেই তার যেমন গ্যারান্টি নেই তেমনি মুক্তিযুদ্ধা দরবেশ নাও হতে পারে। এ হল জেনুইন মুক্তিযুদ্ধার অবস্থা। আর যারা ভূয়া মুক্তিযুদ্ধা তারা কি করতে পারে ভাবুনতো? মানুষ ষড়রিপুর স্বীকার হয় কেউ বেশি কেউ কম। চরিত্রবান মানুষ সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ। চরিত্রহীন মুক্তিযুদ্ধা নয়। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধা আছেন। দেশের উন্নয়নের প্রধান শর্ত সততা, পরিশ্রম, দেশপ্রেম, মেধা সব মুক্তিযুদ্ধ নয়। চরিত্রবান কোটা থাকলে খুব ভালো হতো। যখন মানুষ দেখতো শুধু চরিত্রের জোরে অল্প মেধা নিয়ে ভালো চাকুরী পাওয়া যাচ্ছে তখন মানুষ চরিত্রবান হওয়ার চেষ্টা করতো। আর মেধাবীরা চরিত্রবান হয়ে গেলে দেশের উন্নয়ন ঠেকায় কে? পরিশ্রম সততা আর মেধা দিয়েতো মুক্তিযুদ্ধার সন্তান হওয়া যাবে না। জন্মসূত্রে বজ্জাতও মুক্তিযুদ্ধার সন্তান হতে পারেন সে ক্ষেত্রে কোন যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না।

ক্ষমতার মসনদে বসলেই দেশের মঙ্গল চিন্তায় বিভোর থাকবে তেমন নয়। ক্ষমতার পালাবদলের দরকার আছে। পালাবদলের বা পরিবর্তনের কারণেও দেশে দূর্নীতি রোধ হতে পারে। ক্ষমতায় আরোহন কারি ব্যক্তির মাথার উপর জবাবদিহিতার খরগ না থাকলে স্বৈরাচার হয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক। যদি এ ভয় থাকে আমাকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে। তাহলে আর স্বৈরাচার হয়ে ওঠবে না কেউ। কেউ বলবে না চারহাজার কোটি টাকা দূ্র্নীতির হিসেবে কিছু নয়। আমি তো বেড রুম পাহাড়া দিতে পারবো না। রেগে মেগে কোটা বাদ দিয়ে এবার আন্দোলন করো দেখি কত পারো বলার দুঃসাহস কেহ দেখাতে পারবে না । কোন নেত্রীর পানির জল খাবার গল্প বলার মতো হেংলামো করার দুঃসাহস দেখাতে পারবে না। রোজার মধ্যে দুপুর বেলা অন্ন গ্রহণ পূর্বক পূজা করে দেশের মানুষকে দেখানোর ধৃষ্টতা দেখাতে পারবে না। বিরোধী দলকে তুচ্ছ তাচিছল্ল করতে পারবেনা। মানুষ হয়ে নিজেকে ফেরাউনের মতো দেবতা ভাবতে পারবে না। ক্ষমতার গরমে ধর্ষণ ছিনতাইয়ের উৎসবে মেতে উঠতে পারবেনা । আমরা মুক্তিযুদ্ধার সন্তান কোন গর্বের বিষয় নয়। আমরা দেশপ্রেমিক সৎ আমাদের ইনসাফ আছে বিষয়টি গর্বের । পরিবর্তন হওয়ার ব্যাপারটি থাকলে খালেদাকে জেলে পাঠাতে পারতো না। স্বৈরশাসকের জন্ম এদেশে হতো না। গণতন্ত্র মরে যেত না ।


অর্কের কলম চলছে। গদ্য রীতি অনুসরণ করছে। কবিতা আসছে না। তেসো কি ব্লাকমেইল করতে চায়? তেসোর বুঝা উচিৎ শুধু ভালোবাসার বিনিময়ে ভালোবাসা পাওয়া যায়। অর্কের ভালোবাসা আড়াল করে ছিনতাই করে অর্ককে পাওয়া যাবে না। অর্কের সন্তান অর্কের ভালোবাসা। সেটা ভাঙিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি অর্ক বরদাশত করবে না। অর্ক কবিতা লিখে শিশুদের নিয়ে।



যে শিশু
ফুলের মতো, হাসিতে
তার ভূবন হাসে, ক্রন্দনে তার
বিশ্বকাঁদে।তার চেয়ে সুন্দর আর কেহ নেই,
তাকে স্নেহ করো ভালবেসে ধন্য করো
তৃপ্ত করো মানব হৃদয়।
নশ্বর পৃথিবীতে
মানুষ
মরবেই, মানুষ
বেঁচে থাকে কর্মে, মানুষ বেঁচে
থাকে সন্তানের মাঝে ।ঐ যে শিশু ফুলের মতো
তারও অধিকার আছে —পিতৃক্রোড়ে
মাতৃক্রোড়ে, তারও ভালবাসা চাই
এ যে তার আজন্ম অধিকার
পারবে না কেহ আর
কেড়ে নিতে।
পিতৃস্নেহ আর কেহ
পারে না দিতে। যে মাতা শিশুকে
বঞ্চিত করে —পিতার ভালোবাসা থেকে
স্বার্থপরের মতো। বাবার দাম কি কোন আছে
নিষ্ঠুর সেই জননীর কাছে— যাই হোক
তবে সে তো ভালো নয়- সে
কেনো ভালোবাসে তার
বাবাকে?
স্রষ্টা ঠিকই বুঝে
সেই জননীর প্রাণে উঠুক
স্নেহের জোয়ার ,ভরাপূর্ণিমায়
যেমন জোয়ার ওঠে, নদীর বুকে সারা পৃথিবীটাও
যেন ধূলিকণার মতো তুচ্ছ্ব— পিতার ভালোবাসা সন্তানের কাছে।


অর্কের কবিতা ভালো হয়নি মন ভালো নেই তাই। অর্ক বসে থাকে আনমনে তেসোর প্রেমে হারিয়ে যায় হিজলের বনে। তেসো তার কাছে নাই। তেসো আসবে কবে? প্রিয়াহারা বেদনায় অর্কের দুঃখের কোন সীমা নাই। অর্কের আশ্রয় দূরের আকাশ। রাতের তারা। আকাশের বুকে ভেসে থাক মেঘ। মেঘগুলো যেন স্নেহধারা হয়ে পৃথিবীতে নেমে আসে বর্ষার রূপে। অর্কের তপ্ত হৃদয়ের উত্তাপে কি তবে হৃদয়ের আকাশে মেঘ হয়ে জমে। এভাবেই বর্ষা নামে। রাতের আঁধার এক বুক স্বপ্ন নিয়ে মায়ার জালে বেঁধে রাখে অর্কের হৃদয়। সেখানে তেসো আসে। মাথায় তার বেলী ফুল, চোখে কাজল, কানে ঝুমকো জবা গলায় তার মতির মালা। অর্ক আর তেসো হারিয়ে যায় স্বপ্নে মায়ায় প্রেমে। রাতের আধার অর্কের সমস্ত দুঃখ দূর করে দেয়। অর্ক ঘুমের ঘুরেই স্রষ্টার কাছে কামনা করতে থাকে।

ওগো ভালোবাসার আঁধার যেওনাগো সরে,
প্রখর রবি ঘুমিয়ে থাকুক তোমার চাদরে,
মাথা ঢাকা দিয়ে। আমি স্বপ্নে হারাবো মামতামাখা
প্রিয়তমার বাহুডোরে— আমার ভালোবাসার নেই
কোন তুলনা। এমন ভালোবাসা ওগো প্রিয়তমা
দূরে ঠেলে দিওনা। বুকে এসো লহ তারে কাছে—
তারায় তারায় দাও ওগো রটিয়ে তুমি যে আমার
অন্য কারো নও। ভালোবেসে ধন্য করো মুরে
কেবল আমার হিয়ায় বাঁধোগো তোমার ঐ হিয়া
বাবুই যেমন বাসে বাঁধা তাল বৃক্ষের শাখে গিয়া ।
তোমার প্রেমে আমি চাতক পথহারার
চাতকী হয়ে এসো এই হৃদয়ে আমার ।



অর্কে প্রাণ করে আনচান। সে যে ভালোবাসে রবিঠাকুরের গান। আমারো পরাণো যাহা চায়। তুমি তাই। যদি আরো কাছে নাহি আসো যদি আর ভালো নাহি বাসো তবে তুমি যাহা চাও তাই যেন পাও আমি যত দুখ পাইগো। আমি তোমারি বিরহে রহিবো বিলিন তোমাতে করিবো বাস। দীর্ঘ দিবস দীর্ঘ রজনী দীর্ঘ বরষমাস। গুণগুণিয়ে গাণ গেয়ে ওঠে অর্ক। অর্কের কবিতা নাকি গানের মতো। তেসোর কি উচ্ছাস। তেসো নিশ্চয় অর্কের কবিতা গানের মত গুনগুন করে গাইতো। কয়টি কবিতা এভাবে গেয়েছে তেসোই জানে। ফরীদির অভিনয়ে যেমন মুগ্ধ হয়েছিলো সুবর্ণা ঠিক তেমন।অর্কের কবিতায় তেসো। সুবর্ণা ফরীদি দুজনেই অস্বস্তিতে ভূগছিল। এই অস্বস্তি দূর করতেই তারা বিয়েও করেছিলো। অর্ক কেন যে বগবগ করে। অর্ক আর তেসো তারাতো এখন রেললাইন বহে সমান্তরাল দুই ভূবনের দুই বাসিন্দা বন্ধু চিরকাল । গানটি প্রয়াত অভিনেতার ফরীদির সবচেয়ে প্রিয়গানগুলোর একটি । অর্কের নাটকটি মনে আছে। ফরীদি একতারার তার দিয়ে হত্যা করে সেই লম্পটকে যে ‍সুবর্ণাকে রেপ করতে চেয়েছিল। তারপর ফরীদির ফাঁসি হয়। সুবর্ণা ফরীদির মিলন হলোনা। কি ট্রাজেডি!! তারপর ইথারে ভেসে আসে গান দুই ভূবণের দুই বাসিন্দা সঙ্গী চিরকাল।গানটি দারুন জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল।

অর্ক এখন নির্জনতা বেছে নিয়েছে। একটা বড় বাসায় সে একাই থাকে। সঙ্গী তার কাগজ-কলম অথবা ল্যাপটপের কীবোর্ড।
আর কেউ নেই। আর কিছু অর্কের প্রয়োজন নেই। ভালোবাসার কাঙাল অর্ক। বিনিময়ে সে কিছুই চায়না। সেই ভালোবাসাও অচ্ছুত থেকে যায়। চারিদিকে কেবল শব্দের দ্যুতনা। কতো কবিতা!! অর্ককে ঘিরে থাকে সবসময়। কেমন অদ্ভুত একটা জগৎ। বৃষ্টির শব্দে অর্ক নূপুরের ধ্বণি শ্রবণ করে। পাখির ডাকে প্রিয়তমাকে খুঁজে বেড়ায়। পুরোণো দিনের গানে অর্কের মাঝে পুরোনো কোন স্মৃতি ভেসে আসে। তেসোর কন্ঠ। “এই অর্ক । আমি মাঝে মাঝে ভাবনায় পড়ে যাই। আমার জন্য তুমি পার্ফেক্ট। অর্ক কোন ব্যবধান আমাকে তোমার চিন্তা থেকে বিরত রাখতে পারে না। পৃথিবীর সব সুখ কেবল তোমায় ঘিরে বিরাজমান। অর্ক আমায় তুমি কতটা ভালোবাসো? তোমার মত আমাকে অমন করে কেহ ভালোবাসতে পারেনি কখনো পারবেনা। অর্ক বলোনা কতটা ভালোবাসো !” অর্ক কলম তুলে নেয় তেসোর কাগজে লিখতে থাকে—

সখি এতটুকু পারিগো বলিতে
শপথ সেই স্রষ্টার সারা জাহান সদাব্যস্ত
যার আরাধনাতে।

সখি তোমাকে আমি কতটুকু বাসি ভালো তার পরিমাপ নেই জানা
তুমি ছাড়া এই আমি পৃথিবীতে একদিনো রহিতে যে পারিনা....



সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:১৩
১৪টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×