প্রস্তাবনা
কে কাঁদালো কে হাসালো ? ভালোবাসার
রূদ্ধকপাটের কড়া—সব থেকে বেশি
সখিলো কে নাড়ালো ?
এতটুকু যদি
ভাবো!
ওগো,
কার সুখে তোমার বুকে উঠে খুশির প্লাবন?
কার শোকে তোমার চোখে নামে অথৈ শ্রাবণ?
বলি তবে এই যে শোনো দ্বিধা করোনা কোনো
ফাগুনের আগুনে এমনতো কথা ছিলনা কোনো
মানেটা কী দাঁড়ালো? মনটা তোমার কই হারালো?
এমনি করে খুব অসহায় — মানব হৃদয় ভালোবাসায় ।
মনে রেখো তোমায় আমি ভাঙতে পারি আরো পারি গড়তে
খুব করে আরো পারি —— তোমার প্রেমের ঐ পদ্মাসনে চড়তে ।।
কবিতার অন্বেষণে
কবিতা দিলো দু’হাত বাড়িয়ে
কাগজ কলম আনতে গিয়ে
কবিতা গেল কোথায় হারিয়ে?
এখন বসে বসে ভাবি —কবিতা হারিয়ে খুঁজি
কবিতা কোথায় পাই?
কবিতার তো দেখা নাই!
কবিতার খোঁজে চড়লাম পাহাড়ে
—একেবারে বটবৃক্ষের মগ ডালে
কবিতারতো নাই দেখা
অবশেষে কবিতা দেখি বসে আছে একা
দুইহাত গুটিয়ে—আত্নার ভিতরে।
কাগজ কলম ছুঁড়ে ফেলে
আমিও পড়িলাম বসে—
শপথ করিলাম মনে মনে
লিখবোনা আর কোন কবিতা
রাখবো তারে যতন করে— হৃদয়পুরে।
প্রকটন
কোনখানে যাবো? কার কাছে যাবো?
কার কাছে গেলে সুখের দেখা পাবো?
তার কাছে ভালোবাসা নেইতো কোন
একরাশ অভিযোগ কেবল আছে।
মায়ের মানা বাবার মানা ঐখানে যাসনে সোনা
করবে তোর কেবল ক্ষতি পোহাসনে আর দূর্গতি
সে যে আমায় ডাকেনা কাছে
তার কাছে যাবার অধিকার আমার কতটুকু আছে?
থেকে থেকে পড়ে মনে আমাকে ছেড়ে এতদূরে
খোকন সোনা থাকে কী করে!
আমাকে কী ওর পড়ে না মনে?
ভেবে ভেবে চোখের ক’ফোটা বেনাজল
অশ্রু হয়ে গড়িয়ে পড়ে
আমায় হেথা একলা ফেলে
খোকনসোনার সারাবেলা
কাটে যে কেমন করে ? সে থাকে কেমন করে?
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:২৬