somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সেলিম আনোয়ার
পেশায় ভূতত্ত্ববিদ ।ভালো লাগে কবিতা পড়তে। একসময় ক্রিকেট খেলতে খুব ভালবাসতাম। এখন সময় পেলে কবিতা লিখি। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হল ভালো লাগে খুব। ভালোলাগে রবীন্দ্র সংগীত আর কবিতা । সবচেয়ে ভালো লাগে স্বদেশ আর স্বাধীন ভাবে ভাবতে। মাছ ধরতে

গ্রামের বাড়িতে

১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রচন্ড মন খারাপ। গত দুইদিন ধরে কেবল হাঁটাহাঁটি করি। কবিগুরু চাঁদের আলো খেতেন। আর আমি নিয়নের আলো খাই। তারপর পরোপকার থেমে নেই। আমার মামাতো বোনের ছেলের জন্য হোস্টেল সিট ম্যানেজ করতে হবে। একজন পুরোনো বন্ধু দায়িত্ব নিয়েছেলেন। তিনি একটি রাজনৈতিক দলরে কেন্দ্রীয় নেতা। অনেক দিন আমার সঙ্গে দেখা নেই। আমার সঙ্গে দেখা হওয়াতে তার আনন্দের শেষ নেই। এসেই তার সঙ্গের লোকজনের সঙ্গে গল্প জুড়ে দিল। মামুন ভাইয়ের অভিশাপে দলের এই অবস্থা। হাওয়াভবন তাকে জেলে বন্দী করলো বিনা দোষে। বেচারা কষ্টে মরে গেল। আর আমাকে দেখিয়ে বললো এই যে আমার বন্ধু মামুন ভাইয়ের যে কোন মুভমেন্টের সিপাহসালার। তখন আমি বললাম মামুন ভাই মারা যাওয়ার পর আমি আর রাজনীতি করিনা। বন্ধু খুব জুরাজুরি শুরু করলেন তার সঙ্গে খেতে হবে। আমি বললাম আমি খাওয়াতে পারি। সে আমাকে খাওয়াবেই পরে ব্যস্ততার কথা বলে সরে আসলাম। তবে একদিন খেতেই হবে তার সাথে। আরও বলে দিলেন অন্য কেউ হলে আমি এই কাজ করতাম না। তোমারটা অবশ্যই করবো। আমি নিজে স্যারের সঙ্গে দেখা করে করে দেব। এই একটা কাজ হতেই হবে। আমি জানতাম আমার কাজ বন্ধু করবেই। উল্টু দাওয়াতও খেতে্ হবে। যারা চিনে আমাকে এভাবেই চিনে।এরকম একজন দুইজন নয় অনেক ।বলতে গেলে পুরো বাংলাদেশ্ । এটা আমার অর্জন। কিন্তু আমি আমাকে লুকিয়ে রাখি।গত কাল থেকে আরও। যার কারণে সে ঠিকই জানে।

আজ সকালে গেলাম গ্রামের বাড়ী গ্রামের পথে হাঠতে হাঠতে মন কিছুটা ভালো্ হল। তিন মামার তিন বিশাল বাড়ি তৈরি হচ্ছে । পাশাপাশি তিনটি বাড়ি। দারুন দৃশ্য। আগে কোটি কোটি টাকার মালিক মামাদের বড়ীর অবস্থা দেখলে কস্ট হতো খুব। আমাদের বাড়িটি ছিল সবচেযে সুন্দর তিনতালা ফাউন্ডেশন দিয়ে একতালা বাড়ী। ওটাই এলাকার আকর্ষনীয় বাড়ি। আর এখন গ্রামে চার পাঁচ তালার অভাব নেই। কথা সেটি নয়। আমাদের গ্রামে দুই ভাই পাশাপাশি থাকেন। তাদের দুই জনের বউ সেরা ঝগড়াটে। দুই জন মাস ব্যাপী ঝগড়া করেছেন এমন রেকর্ডও আছে। শেখহাসিনার সংসদে তারা থাকলে শেখহাছিনাকে শিখিয়ে দিতেন ঝগড়া কাকে বলে কতপ্রকার ও কি কি? তাদের সঙ্গে পানির লাইন দেয়া নিয়ে ঝগড়া। তাদের জমি আসলে খাস জমি সেখানে পানির লাইনের পানি ফেলতে দেবে না্। সেই ঝগড়া।মন ভালো নেই। প্রচন্ড ক্ষোভ জমে আছে বুকে। মনে হচ্ছিল পৃথিবীটা ভেঙে ফেলি। ঠিক সেই সময় ঝগড়াওয়ালির হাজবেন্ড এলাকার সব প্যাচের গুরু পথ দিয়ে যাচ্ছিল। দেখা মাত্র মুখ থেকে প্রচন্ড গালি বেড় হলো আমার। তাকে বললাম আমার বাড়ির সামনে দিয়ে তুই যাবিনা। বেচারা ভয়ে শুকিয়ে কাঠ। এর কিছুক্ষণ পর সেই দুই বিখ্যাত দুই মহীলা এসে হাজির। তুমুল ঝগড়া করলাম। দুই মহীলা ব্যাকফুটে আমি ফ্রন্টফুটে। এলাকার সব মানুষ অবাক হয়ে গেছে আমিও যে ঝগড়া করতে পারি এটা তাদের হিসেবেই ছিল না । দুইজনকে হারিয়ে দিলাম শাসিয়ে দিলাম। এলাকার সবাই খাল ভরাট করে ফেলছে।পানি যাবে কোনদিক দিয়ে। তারা উত্তর দিল নদী ভরাট করে কেমনে। আমরা খাল ভরাট করলে দূষ। একটা মসজিদও খাল ভরাট করে করা হয়েছে্। এই হলো আমাদের দেশ্ নদী খেকোদের দেখাদেখি অন্যরাও খাল ভরাট শিখছে। আমার আছে ফোনের জোর । ঝগড়া করে পুরো এলাকা কবরের নিরবতা বানিয়ে ফেললাম। সবাই ভয়ে ভয়ে চলাফেরা করছে । ঝগড়া শেষে খাটে শুয়ে কাটিয়ে দিলাম সারাদিন। দারুন বিষন্ন মন। এত বিষন্ন আর লাগে নি কখন। এইদিন একটা কবিতাও মনে আসেনি । কবিতা মরে গেছে। কবিতা পার্থিব লোভের কাছে হয়তো হেরে গেছে। আমি বোধহয় খুব ভয়ানক হয়ে ওঠলাম । আমাকে সবাই স্নেহ করতো । আস্তে আস্তে আর কেউ হয়তো করবে না। আবার করবে। পটপরিবর্তনে সবদিক দিয়ে আমি হয়তো ভিনি ভিডি ভিসি হয়ে ওঠবো।অথবা ভ্যানিশ। কবিতা লিখতে পারছিনা। চোখের সামনে এক দলা পচা মাংশপিন্ড ভেসে আসছে। আবার কখনো ডাস্টবিন । আচ্ছা...না থাক। কোন দিক দিয়ে বিশ্বকাপের তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ হয়ে গেছে খবরও রাখিনি। কোন দল তৃতীয় হলো জানিনা।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৪০
৯টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×