বৃষ্টির চোখে জল
অঘোর বৃষ্টিতে ভিজে গেছে মন— আকাশ কেঁদেছে
সূর্যটা হারিয়ে গেছে —ভিজে গেছে রাজপথ
ঝিরিঝিরি হাওয়া বহিছে—বৃষ্টি থেমে গেছে
তারো কী আছে আপন কক্ষপথ ?
হাওয়ায় মিশে আছে বৃষ্টির শীতলতা
আরো ক'ফোটা জল পড়বে বোধ হয়
ঢিমেতালে ঝরবে বোধ হয়-আর বেশি নয়।
বৃষ্টির আমেজে—মনটা উদাস
মনময়ূরী, উঠরে নেচে—বৃষ্টিস্নাত মেঘলাদিনে।
একেলা দিন কাটে কী করে ও সোনা বউ
বৃষ্টি ভেজা পাখির পালক—পাখির ঠোঁট, বৃষ্টিখেকো একটা চাতক!
বৃষ্টির জলে —কাব্য উঠুক—ময়ূরী তোর রূপের নেশা
লেগেছে মোর আজ দু'চোখে, একেলা আমি দারুন হতো
আসতে যদি সঙ্গোপনে —মধুর বিভোর অভিসারে
আরও ক’ফোটা জল চোখে আমার জমা আছে
এখনই ঝরবে বোধ হয়— ভালোবাসার অর্ঘ্য ঢেলে
প্রিয়তমা তোর চরণ তলে অথবা গলে
খুব বেশি না কফোটা জল ভালোবাসার রংমহলে।
নির্জনতা
আমি উত্তাল জনসমুদ্রে গিয়েছি
পঙ্গপালের মতো মানুষের শোরগোল
সেখানে আমি নির্জনার স্বাদ আস্বাদন করেছি।
অজস্র পথিকের ভীড়ে একাকিত্বের কড়ালগ্রাসে
নিজেকে এক ধ্যানমগ্ন একা মানুষ হিসেবে পেয়েছি।
মিছিলে শ্লোগানে—প্রচন্ড শোরগোলে
আমি নৈ:শব্দের নৈস্বর্গে ডুবে থেকেছি ।
সুদূর লঙ্কাবে কেবলকারে -পরিযাজকের
ভিড়ে নির্জনতা সঙ্গী করে হেটেছি বিস্তর পথ।
কবিতা আমাকে আবিষ্ট রাখো
আমাকে নদীর জলের মতো প্রবাহিত করো
ভাবনার ভেলায় চড়ে বিশ্বপরিভ্রমনে
কতবার শুধিয়েছি নিজের কাছে—তুমি কী!
অন্যসবের মাঝে সব আছে
সুঢৌল পাহাড়- উপত্যকা ফাটল ঝরণা
অহংকার করার মতো কিছু নও তুমি
খুব সাধারণ আর দশটা মানবীর মতন
অথচ সব সাধারণ নিয়ে তুমি অনন্যা
তুমি অতুলনীয়া— তুমিহীনা বিরাণ পৃথিবীতে
তুমি যেন ঐশ্বর্যের আধার দিয়েছো ঢেলে তাতে।
তুমি যেন মানবী নও আকাশের অপসরা
নিখুঁত কারুকাজ বুকে আমার সুপ্রিয় কলমদানি
এই লও কলম পান করো যমুনার দুধসাদা জল ।
অনুরোধ
একসাথে মরবি না হয় মরবি
তবু তোরা দে কথা দে
গণতন্ত্রের পালে লাগিয়ে হাওয়া
সোনার এক দেশ গড়বি।
একাত্তুরে মরেছিলি আবার না হয় মরবি
স্বৈরাচারের বিষদাঁত ভেঙে সোনার এক দেশ গড়বি।
মুজিব- জিয়া নাকি আইয়ুব খান-ইয়াহিয়া
কার ঘরে তোর পাশার দানটা রাখবি?
হিসেব নিকেশ খুবতো সোজা
সহজে তা যায়রে বুঝা ।
ভাসানি কি পদে ছিল? তার ভূমিকায় থাকবি।
সে কী কারো চেয়ে ছোট একটু ভেবে রাখবি।
মানুষ মারার যন্ত্র থেকে দেশমরার তন্ত্র থেকে
বাঁচিয়ে মোদের গনতন্ত্রের পতাকা উড়িয়ে
—ভালোবাসার নীলাকাশে ভাসবি।
....................................................
যিনি একজন ব্লগার সন্দেহাতীত ভাবেই তিনি একজন আধুনিক সৃজনশীল মানুষ। অনেক কিছু নিয়েই ব্লগিং হতে পারে ভ্রমন কাহিনী, গল্প, উপন্যাস কবিতা। আমি মূলত কবিতা লিখি। আমার কাছে কবিতাই সেরা। ব্লগ সৃজনশীলতা চর্চার সর্বোত্তম স্থান। এখানে লিখে লেখার মান সম্পর্কে তৎক্ষনাৎ ধারণা লাভ করা সম্ভব হয় । এটা নিজেকে ঝালাই করে নেয়ার দারুন একটা জায়গা। ফলে যে যাই লিখুক এখান থেকে তার গুণের সর্বোচ্চ উত্তরণ সম্ভব। ব্লগ আমাকে পরিচিত করেছে অনেক নতুন মুখ প্রিয়মুখের সঙ্গে। দারুন সব সৃজনশীল মানুষের সঙ্গে। মামুন রশিদ, কান্ডারী অথর্ব, নেক্সাস, অন্যমনস্ক শরৎ, জাদিদ, আমিনুর , ঘুড্ডির পাইলট, শিপু ভাই,
সুমন কর, স্বপ্নবাজ অভি, স্নিগ্ধ শোভন, জুন, সোহানী, আরজু পনি, জানা, শায়মা, গিয়াস লিটন, নীল সাধু, রোদেলা, রাজীব নূর, প্রামানিক, নীল পরি প্রমুখ ব্লগারের সঙ্গে।
বাকপ্রবাস, সনেট কবি, খায়রুল আহসান, কাউসার চৌধুরী,পদাতিক চৌধুরী ,ওমেরা ,শিখা, চাঁদগাজী, কাইকর, নিজাম মন্ডল আরও অনেক নতুন ব্লগারে সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ওঠেছে তাদের দারুন সব পোস্ট পাঠ করে। তাদের কমেন্ট আমাকে উৎসাহ দিয়েছে প্রেরণা দিয়েছে, পথ দেখিয়েছে নতুন ভাবে ভাবতে শিখিয়েছে ।
তাদের উৎসাহ প্রেরণা কমেন্ট লাইক প্রভৃতি নিয়ে আমার এই হাজার পোস্টের মাইলফলক অতিক্রম করা। আমার যারা শুভাকাঙ্খি ব্লগার তাদের উদ্দেশ্যে এই পোস্ট খানি উৎসর্গ করা হলো ।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৩