কাউকে নিখাদ ভালোবাসার পরেও
একটি প্রশ্ন বারে বারে মনের গহীনে
সঙ্গোপনে—দেয় হানা।
তোমাকে আমার ভালোবাসা কী মানা?
তোমাতে আমার অগাধ বিশ্বাস—
বার বার সারা পৃথিবীকে
বলার পরেও নিজেকে—— প্রশ্ন করি
শেষ পর্যন্ত আমার বিশ্বাস
রাখবে তো সযতনে আর সব তুচ্ছ করে?
যে যাই বলুক যাবে না তো— কখনো আমায় ছেড়ে ??
হয়তো তুমি বিরক্ত হও
তবু বারে বারে বলার সাধ জাগে
বসন্তেরই অনুরাগে—
I love You! ভালোবাসি তোমাকেই।
যতই কাছে থাকো অথবা দূরে
তবু ভয় হয় কখনো
চলে যাবে নাতো—আমায় ছেড়ে…।
জানি এসব অবান্তর প্রশ্ন..
কেন যে বার বার দেয় হানা
আমার অনুভূতি প্রবণ এলাকায়
হয়তো তোমায় —প্রচন্ড ভালোবাসি— তাই
ভালোবাসা নয়তো মানা—দুটি প্রাণের আরাধনা।
তোমাকে বার বার—ভালোবাসিবার হয় সাধ
এ নহে ভুল কোন—হলেও ভালোবাসিবার অপরাধ;
করিয়ো ক্ষমা—ওগো নিরোপমা, ভালোবেসে ধন্য করো
আমার ভালোবাসিবার সাধ।রাজ্যের আহলাদ।
তুমি আমার সাত জনমের আরাধানা-ভালোবাসার শেষ সীমা
ভালোবাসার কবুতর-সুপ্রিয় মাংসের কলি-রক্তজবাফুল
ভালোবেসে দিয়োগো সিক্ত অধর- ভিজবো দু’জনে ভালোবাসা স্নানে
আমার লাগে না ভালো— জোস্না রাতের আলো, তুমি ছাড়া ঐ পূর্ণিমা চাঁদ।
সাগর সৈকতে গোধূলীর আলোয় রঙিন শাড়িতে সমুদ্রসঙ্গমে তুমি আমি
আমার কলমে তোমার কাগজে সোনার হরফে হবে লেখা অমর কবিতা
ভেবে দেখো।আর কেহ পারবে কি তা? ঘুঘুর ফাঁদ থেকে এসেছি বেড়িয়ে
ধরেছি তোমার প্র্রেম আদরে জড়িয়ে— সব বাঁধা এড়িয়ে, তুমি চাইলেই বৃষ্টি হবে
তুমি চাইলেই ঝড়- আবারো বলি ভালোবাসার খেলাতে নেই কোন ডর ।
তোমাকেই চাই—আমার এই খানে—আমি তুলিবো পাল তোমার ভালোবাসার জানালায়
তুমি নদী আমি নৌকো— তুমি জমি আমি সোনালি ধান আমি চুন তুমি পান।
সুন্দর হে! করিতেছি আহবান। স্বপ্নলোক থেকে বাস্তবে
প্রচন্ড পরাভবে—চলো গড়ি দোসর-ভালোবাসাতে সখি নেই ডর।
চলো গড়ি, স্বর্গের পৃথিবী— দুজনে মিলে; স্বর্গের নহর।
চলে যেতে হয় সবে চলে যায়— ক্ষণিকের বসুন্ধরায়
চলে যেতে নাহি চায় —নাহি চায় এই প্রাণ।
থেকে যায় কবিতা—ভালোবাসার সবিতা।