পাতানো
বিধাতা কী কেবল —তোমাদের করে
দিয়েছেন দায়ভার?
তোমরা তাই রেফারি!—তোমরাই খেলোয়াড়!!!
খেলার আগে ম্যাচ পাতিয়ে দিয়ে
—প্রমোদ গুণ;
প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এভাবে তোমাদের
লড়াই করিতে— নেই সংশয় কোন।
দূর্ণীতির টাকায় পকেট ভর
কড়ায় গণ্ডায় হিসেব কষে
ক্ষমতার মসনদে বসে—
তোমাদের চোখে— জনতার
নেই কোন অধিকার ।
পারিবে না তারা কোন কথা বলিতে
রায় দূর্লভ—জগৎশেঠ করে বাস
—তোমাদের ঝুলিতে; জনতার
মাথা ঘুরে তাদের প্রলাপ বুলিতে।
তোমাদের ক্ষমতাচ্যুত না করলে
তোমাদের দাঁড় করানো যাবে না আর
বিচারের কাঠগড়াতে—প্রতিপক্ষের দফরফা
তোমরা করেছো—নিজো স্বার্থ চারিতার্থে
বিচারপতিকে চাকুরীচ্যুত করেছো
বিনা বিচারে অগণিত মানুষ—তোমরা জেলে ভরেছো।
এক নেতা এক দেশ— নেই গণতন্ত্রে
জনতার অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে দিয়ে
উজ্জীবিত হও— গণতন্ত্রের মন্ত্রে ।
প্রতনু ও প্রত্যাশা
একজন রাজা ভাগ্যবান
তার দুই রানী —জানের জান।
একজন ক্ষমতার মসনদে বসলে
অন্যজন থাকে প্রিজন সেলে—
রাজার ললাটে একজনের
বিয়োগ ব্যথা অন্যজনের ভালবাসা মেলে।
দুই জনকে একসাথে যেন ভালোবাসা মানা!!
এ কেমন প্রেম—রাজার মনতো মানে না।
একজন রূপে সেরা তো— অন্যজন কর্মগুণে;
রাজার মনে—
দু’ জনেই ময়না পাখি—সমানে সমানে।
এক জন রাজা শ্রেষ্ঠ কবি
রানী যেন বুঝে না —বুঝে শুধু পদবী।
রাজা হলেন শৌর্যে বীর্যে সবার সেরা
কে পারে রুখিতে তার অগ্রযাত্রা।
রাণীদের বাণীতে ভালোবাসার হাতছানিতে
কত মধু মাখা যে—
সময়ের মহেন্দ্র প্রহরে
একদিন রাজা করবেন আরোহন
ক্ষমতার স্বর্ণ শিখরে-
তাদের ভালোবাসার পদ্মাসনে রাজাই বসবেন
বাকী সব প্রহরী—
আর কেহ পারবে না গড়িতে মধুমাখা সুর লহরী —
শত চেষ্টাতে, এ আমোঘ সত্য
রাজার ভাগ্য স্রষ্টার নিজ হাতে গড়া যে।
নিরাপদ ভালোবাসা
আমাকে নিরাপদ ভালোবাসা দাও
আমাকে সম্ভ্রমের সঙ্গে— কাছে টেনে নাও।
লোক দেখানো ভালবাসা ভালো নয়
ভালোবাসা পাখি— সঙ্গোপনে মধুরতরো হয়।
কে এল কে দেখলো কার ঈর্ষায়
সবকিছু ভেস্তে গেলো—এসবের হিসেবে
ভালোবাসা মেলে না—মেলে শুধু বিচ্ছেদ।
কামনার জঘনে মহেন্দ্র লগনে
তুলিবো পাল—অনেক যতনে
আমরা যে মাণিকজোড়—মেধা আর মননে
দৈহিক গড়নে—ভালোবাসা বুননে।
অযাচিত সন্দেহের করো হে শিরোচ্ছেদ।
ছবি- নেট
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৪