স্মৃতিতে হুমায়ূন আহমেদ
________________
যেন গল্প নয়—বাস্তবতা
চরিত্রগুলো আমাদের আশে পাশে থেকে নেয়া
জোনাক জ্বলা রাত্রি—নক্ষত্রের রাত
ভরা পূর্ণিমার আলোতে রবীন্দ্রগান
লাগতো ভালো—ছোট্ট বেলা থেকে
তুমি তাও দেখালে—দ্যুতি ছড়ালে
বর্ষণমুখর শ্রাবন মেঘের দিনে
বৃষ্টির বিলাসিতায় দিলে— গা ভাসিয়ে
স্মৃতির অ্যালবামে তাই আজো অমলিন
আমি করেছি প্রেম রূপার সাথে
হিমু সেজে বিস্তর পথে হেঁটে হেঁটে
ক্লান্ত যুবক এক—তোমাতেই যেন লীন
মিছির আলীর প্রখর জ্ঞানে
আমরাও ছিলাম তারি সহযাত্রি—
সারা রাত্রি— গল্প-উপন্যাস পড়ে পড়ে
হাসিতে পেটে ধরেছে যেন খিল
কখন যে হৃদয়ভেঙে দু’চোখে অশ্রু এসে গেছে
দক্ষ কারিগর তিনি শিল্পীর তুলিতে যেন এঁকেছেন সব
বিরচন করেছেন হাসি কান্না বেদনার মায়াজাল
ভালো লাগার— এক অদ্ভুত ঘোর
কথার জাদুকর—মন্ত্রমুগ্ধ করে
কোটি হৃদয় জয় করে মরেও অমর হলে—
আজও আমাদের এই সব দিন রাত্রি
হৃদয়ের এপিটাফে তুমি আছো থাকবে—চিরদিন
আমাদের নিত্য পদচারণায়
মরণের পরেও— তুমি যেন তারুণ্য অন্তহীন।
ফটো ক্রেডিট- সুপ্রিয় শায়মা হক
চোখের ভাষা
_______________
চোখের ভাষার সবটুকুই বুঝতে পেরেছি
তাইতো তোমায় আমার বন্ধু করেছি
দু’চোখ মেলে বলে দিলে
মনের কথা সব—আমরণ ভাববে নাগো পর
সম্মতিতে অনঢ় থেকো যতই আসুক ঝড়
আমি আছি সহযাত্রি শুধু তোমার পাশে
জীবনটা রাঙিয়ে দিতে—গোটা পৃথিবী যদি তাতে
হয় বিরুধি হোক; মহেন্দ্র এই ক্ষণে
দাও কথা দাও—আজীবন থাকবে আমার সনে
চাঁদের বুকে জ্যোস্না যেমন থাকে
রেখে দিলাম আমার করে পুষ্পসম— তোমার কোমল কর
যৌবনের অনুরাগে— ভালোবাসার কুসুমবাগে
শুধু চাইগো তোমাকে ।
প্রিয়া সাহা
_____________
প্রিয়া সাহা,
ঠিক করেননি—
দেশ নিয়ে— মিথ্যে তথ্য দিয়ে
দেশের সুনাম ক্ষুন্ন করে কাজটা
ঠিক করেননি।
একজন সুনাগরিকের কাছে
দেশটা মায়ের মতই—
হোন না বড় যতই—
অপবাদ দিয়ে তারে
ঠিক করেন নি ।
হিন্দু-মুসলমান—
মিলে মিশে আমরা আছি হেথা—যেন ভাই ভাই
এমন নজির পৃথিবীর বুকে অন্য কোথা নাই
মিথ্যে বলে তাই—ঠিক করেন নাই