আমরা সবাই খাই পাউরুটি
চলো ভাই আমরা সবাই আজ খাই পাউরুটি
দুই—এক বেলা না হয় উপোস থাকি
তাতে যদি বউ চলে যায়—
যাক বাপের বাড়িতে; রঙিন শাড়িতে;
বন্যাদূর্গতরাতো
ভাসিছে প্লাবন জলে—ঘুমুবার
জায়গাটুকু নাই—অন্ন নাই..
ভেসে গেছে সব— বিত্ত বৈভব;
এর জন্য আমরাও দায়ি
খানা খন্দ নির্বিচারে
নদী ভরাট করে— হায়!
সম্পদের অথৈ লোভে পড়ে
হায়! .. প্লাবন দীর্ঘায়িত করি
রাফাত নূর আর নীল সাধু
এক বৃন্তে দুটি ফুল
কতোটুকু সাধ্য আর—
যদি কেঁদেই মরে তাজুল ..
তাতে নদী খেকোর কী আসে যায় !
যারা ক্ষমতার মসনদে বসে—অপার বিলাসিতায়
গড্ডালিকায় দিয়েছে গা ভাসিয়ে— প্রজাদের খুব শাসিয়ে;
অট্টালিকা গড়েছে আমেরিকা-কানাডায়;
কড়াল বন্যাতে তাদের আর কীইবা আসে যায়!—
বন্যাদূর্গতদের ক্রন্দনরোল তাই— এক নিমিষে বাতাসেই ভেসে যায়।
আছে তারা স্যাটেলাইট নিয়ে
— শুধু ঈদটা দেরিতে হয়ে যায়।
তথাকথিত উন্নয়নের মহাসড়ক, শ্রাবণের বৃষ্টিতেই নিত্য ডুবে যায়
বিরোধিরা বলে তারা মানুষ হত্যা গুম করে
এই দেশে নাকি হায় —কেউ তাই সুখে নাই
ক্ষমতার কন্যা বিয়ে বসেছে তাই
রেপ করলেই কী— ওতে যদি সংসার টিকে যায়
মুখে তাই কুলুপ এঁটে বলে—প্রিয়া সাহা দেশদ্রোহিতা করে নাই..
তার বিরোধিতা করে আসলে বিরোধিরাই
অতটুকু জ্বালা —. সংসার কাফেলা
টিকিয়ে রাখে ভাই—সর্বংসাহা পৃথিবী,
আমি কিছু বলি নাই—নিরবে সয়ে যাও;
বিধিরাম খেলে যাও
দূর্গতি ছিল তাদের ললাটে লেখা—
... একদিন খাই তাই পাউরুটি
তবু যদি বন্যাপীড়িতের কষ্ট বুঝি..হায় !!
নালিশ করিসনে সোনা!
নালিশ করিসনে সোনা
নালিশ করিসনে—
প্রয়োজনে বুকে কোলবালিশ নে—
নালিশ করেই পালিশ হয়ে
সে আছে যে—এই খানে।
তোরাও যদি করিস—নালিশ
লজ্জায় বাঁচিনে!!
ওটাতে তার একচ্ছত্র অধিকার—
জঙ্গি আছে বলে স্বদেশ প্রশ্নবিদ্ধ করে সে—
আছে যে এইখানে।
এখনো পরিস্থিতি অনুকূলে রাখতে
আকাশ থেকে জঙ্গি এনে ভাবটা দেখায়
সদা নিয়োজিত সে জঙ্গি নিধনে
হে আমেরিকা ভয় কীসের
জঙ্গি নিধনে আমি কি আছিনে?
লজ্জায় বাঁচিনে!!
তোতা পাখির মত আর সবে—
তারে আর নকল করিসনে
ঠুঁটে লিপস্টিক নখে নেলপালিশ
পড়ে নে ! নে নে বুকে শোকে তোরা
— কোল বালিশ নে।
তবু আর নালিশ করিস নে!
আমি শুধু আছি তার অপেক্ষায়—
প্রিয়তমা কখন যে এসে অবশেষে
আকূল হয়ে বলবে আমায়!!— নে নে
ভালোবেসে আমায় কোলে তুলে নে
আমি আর পারছিনে— তবু তোরা নালিশ আর করিস নে…
আজ আর লিখবো না
আজ আর লিখবো না—
ভালোবেসে মধুর নামে—ডাকবো না তারে
লিখবো শুধু—অদ্ভুত শূণ্যতা;
এ হৃদয় জুড়ে ভর করেছে নিরবে— নিভৃতে,
নিষ্ঠুরতা যদি করে এমন কেহ; যে সৃজিতে পারে
আবার করিতে পারে লয়—এ অবলা প্রাণ সহিতে নারে!
তাই লিখিবো না আজ আর
দু’জনার পঁই পঁই ভালোবাসা— যেন পদ্ম পাতার জল
কাঁপে পাতা থরো থর;
লিখেছি শুধু—আমি নই অন্য কারো!
আর ভালোবাসি বলাটা—খুব সহজ
শুধু মনের মানুষকে বলতে গেলে
হারাবে যে খেই—সর্বানাশা প্রেম সেখানেই
বাঁধে বাসা—তার কারণেই গোটা পৃথিবীটা
বেঁচে থাকে—আমরাও বাঁচি কেবল বুক ভরা আশাতে
মঙ্গল দীপ জ্বালাতে ।
আমাকে দিও তা—ই
সবটুকু প্রেম কেড়ে নিয়ে
ছুড়ে ফেলে দিওনা তারে —উত্তাল সাগরে
তাহলে থাকবে পড়ে— শুধু ভালোবাসাহীন নিষ্প্রাণ দেহ
মৃত মাছের চোখ যেমন করে চেয়ে থাকে…
তবু ফিরিয়ে দিও না হায়!!
একলা পাখি
দু'চোখে তার রাজ্যের বিস্ময়
মুগ্ধ হয়ে যেন সে তাকিয়ে থাকে
মুঠোফোনে আমায় দেখে
আমিও দেখি
তার দুষ্টুমি ভরা—নিষ্পাপ অবয়ব;
সে যে আমার অমূল্য সম্পদ
রক্তের টান—অবাক লাগা ঘোর
মুগ্ধ আমি বিমোহিত হয়ে
ধরাকেই করি সরা—থাকলে সে পাশে
সে যেন আমার—বিধাতার শ্রেষ্ঠ উপহার;
তারে যেন বুকে জড়িয়ে ধরি—পরম আদরে
মনে হয় বুকের মধ্যেই রাখি .
ঝিণুক যেমন মুক্তো রাখে—তেমন করে বুকে আগলে রাখি তারে
সামন্যতম আঘাত যেন না লাগে— তার গায় ।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৪১