somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার ধর্ম চিন্তা

১৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



১। আল্লাহ ধর্ম কে বিভিন্ন সময় আপডেট দিয়েছে। যুগে যুগে ধর্ম সংস্কারগণ পাঠিয়েছেন যাতে প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ জীবন যাপন করতে পারে। কিন্তু সংস্কারগণের মৃত্যুর পর মানুষ সে বিধান ভুলে আবার ভুলভাল পথে চলা শুরু করে দিত। আল্লাহ আবার নতুন করে মহা মানব পাঠাতেন, তারা আবার ভুলে যেত.. ………… এভাবে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পর আল্লাহ এক জায়গায় এসে থেমেছেন। এখন আল্লাহ আর ধর্মগ্রন্থ আপডেট দিতে নারাজ এবং ধর্মপুত্র প্রেরণ করতেও নারাজ। তার কথা হল, এটাই (কোরআন)ফাইনাল এডিশন। এখন পালন কর আর না কর তোমার ব্যাপার। যদি কর তাহলে তার বিণিময়ে পরকালে পুরুস্কার পাবে, না কর তার বিণিময়ে শাস্তি পাবে।

২। মানুষ নির্দিষ্ট সীমা রেখা অতিক্রম করতে চায়, এটা তার সহজাত প্রবৃত্তি। নিষিদ্ধ জিনিষের প্রতি সব সময় আকৃষ্ট থাকে। এজন্য ইশ্বর যে সব জিনিষ, কাজ কে নিষিদ্ধ করেছে সেগুলো তারা ভাঙ্গতে মরিয়া এবং ভাঙ্গার মাঝে এক প্রকার আনন্দ অনুভব করে।

৩। শারীরিক সমস্যা না থাকলে মানুষ যে কোন খাবার গ্রহন করতে পারে। সমস্যা থাকলে এড়িয়ে চলা উচিত। আর, যে খাবারের প্রতি মানুষের রুচিবোধ নেই সেটা ধর্মীয় কারণে হউক বা পরিবেশের কারণে হউক মানুষ এড়িয়ে যায়।
ধর্মীয় বিধানগুলো স্ব-স্ব অনুসারীদের জন্য। যারা ধর্ম পালন করে তাদের যা নিষেধ করা হয়েছে তা তারা খায় না- এটাই স্বাভাবিক, এতে অন্যের সমস্যা হওয়ার কথা না। কিন্তু নিজে খাব না বলে অন্য কে খেতে নিষেধ করা কোন যুক্তিগত কারণ হতে পারে না।

আবার, নিজে খাই বলে অন্যকে খেতে বাধ্য করতে পারি না। আমার মনে হয়, ধর্মে যে সমস্ত জিনিষ নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাতে স্বাস্থ্যগত উপকারিতার চেয়ে অপকারিতাই বেশী। এখন খাবেন আর না খাবেন আপনার ব্যাপার।

৪। কিছু মানুষ স্বার্থের জন্য ধর্ম কে ভুলবাল ব্যাখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধ জিনিষ কে নিজের জন্য জায়েয কর নেন। এদের কাছে ধর্ম, মানুষ এবং সমাজ কোনটাই নিরাপদ নয়।

৫। গরীব এবং নির্যাতিত মানুষের শেষ ভরসা সৃষ্টিকর্তা।

(এই ভাবনা আমার নিজস্ব, অন্য মানুষের সাথে তফাৎ থাকতে পারে।)
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:২৩
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×