হট সিন।
♥♥ আমরা চাই আর না চাই প্রতি বছর নিয়ম করে গরম আসবেই। কিন্তু এই গরম যখন তীব্র থেকে থেকে তীব্রতর আকার ধারণ করে তখন সৃষ্টি হয় তাপদাহ । এই তাপদাহে কিছু সংখ্যক মানুষ আরামে থাকে, কিছু সংখ্যকের জন্য আর্শীবাদ আর বাকি সবদের জন্য বয়ে আনে অভিশাপ। এই অভিশাপের যাতাকলে পড়লে নানা ধরণের চিন্তার উদয় হয়। সে রকম কিছু চিন্তা এখানে তুলে ধরা হল:
♦♦ যারা লুঙ্গি পড়ে ঘুমান তাদের লুঙ্গি যায়গামত থাকাটা এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যাদের পেটের সাইজ মাশাআল্লাহ একটু বড় তারা কিছুক্ষণ পর পর লুঙ্গি খুলেন আর ঝারা দেন। এতে বুঝা যাচ্ছে লুঙ্গির সাথে গরমের এক ধরণের সম্পর্ক আছে।
হট প্রকৃতি
♣♣ যে সমস্ত মেয়েরা ময়দা মেখে চিপা চাপায় ঘুরে বেড়ায় তারা এখন বেকায়দায় আছে। তাদের মুখে মালিশকৃত ময়দা এক সময় ঘাঁমে ভিজে খামির হয়ে যায়।
♠♠ তবে ডাব, আইসক্রিম, কোমল পানীয় বিক্রেতাদের নিকট গরম আর্শীবাদ। কারণ গরম বাড়লে তাদের পণ্যের চাহিদা বাড়ে, আর চাহিদা বাড়লে বেচা বিক্রি এবং লাভ দুটিই হয়।
ডাব বিক্রেতা
♣♣ ছাতা এমন একটা জিনিষ যা দু’ সিজনে কাজে লাগে। রোদে ছাতার কাপড় জ্বলে ডিসকালার হয়ে যায়, আর বর্ষাতে ভিজে সে কালার আবার প্রাণ ফিরে পায়।
যে সমস্ত পাব্লিক বর্ষাতে ছাতা খোলে কিন্তু গরম সিজনে খোলে না তারা শুধু কিপ্টা নয়, বলদ নাম্বার ওয়ান।
যাদের ডায়াবেটিস এবং বাসায় বসে থাকতে থাকতে শরীর অবস হওয়া উপক্রম হচ্ছে তারা বেশি বেশি হাত পাখা ব্যবহার করতে পারেন। এতে অর্থ সাশ্রয় এবং মাসল দুটিই হবে, সাথে গরম থেকে খানিক নিস্তার পাবেন।
একদল পাব্লিক আছে যারা রাস্তায় ঘুরে ফিরে হা-হুতাশ করতে করতে করতে যখন টিকতে পারে না তখন তারা প্রাইভেট ডায়াগনিষ্ট সেন্টারের ওয়েটিং রুমে বসে শরীল ঠান্ডা করে নেয়। এরকম পাব্লিকদের এটিএম বুথ কিংবা সুপারমলে দেখলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। তবে এটা ভাবার অবকাশ নেই যে তারা সরকার কিংবা আমলাদের মত জোচ্চুরি কিংবা পুকুর চুরি করছে। গরমই তাকে বাধ্য করে এ পথে এনেছে।
গরম আমাদের জীবনে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। আমরা চাইলেও তাকে ত্যাগ করতে পারি না। যেমন বাসায় বাজার নেই- বউয়ের গরম, অফিসে গেছেন বসের গরম। ফুটপাতে হাঁটতে গেছেন পাতি নেতার গরম। হোটেলে ঢুকছেন ডাল-পুড়ি, পিয়াজু, সিঙ্গারা খাবেন, সেটিও গরম। খেতে বসে দেখেন পাতে চুল! সেখানে আপনি নিজে গরম।
♠ কিছু দিন আগে ট্রাম্প আর কিম মামার গরমে সারা বিশ্ব ছিল তটস্থ। সে সময় মিডিয়াগুলো তাদের গরমের উত্তাপ আমাদের মত ম্যাংগো পিপলের গায়েও ছড়িয়ে দিয়েছিল।
গরমে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় থাকে ব্যাচেলরা। সারা দিন অফিস করে বাসায় যাওয়ার পর দেখে ট্যাবে পানি নেই, কারেণ্ট নেই, উপরে ফ্যানও ঘুরছে না। নিস্তার পেতে বাসার ছাদে গিয়ে দেখে সেখানে তালা মারা। তখন তাদের ইচ্ছে হয়, মাটি তুই দু’ভাগ হয় আমি তোর ভিতরে ঢুকি।
♦ একমাত্র গরমেই পারে আমাদের কে সরকার দলীয় নেতা এবং বিটিভির তেলবাজি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে।
গরমে আরেকটি জিনিষ চাউর থাকে সেটি হল ফেসবুক। সেখানে দেখবেন গরম নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে একেক জনে একেক ধরণের পোষ্ট দিচ্ছেন। এই ফাঁকে সরকার বিরোধীরা নানা এঙ্গেলে মন্তব্য করে সরকারের সাফল্যের রণ সংগীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।
♦ আরো কিছু গরম বা হট জিনিষের সাথে আমরা পরিচিত। যেমন; হট নায়িকা, হট সিন বা ভিডিও কিংবা হট চানাচুর বা হট সস বাদ যাবে কেন।
♦♣ এখন বলতে পারেন গরমে আমাদের করণীয়?
উত্তরঃ কিছুই করার নেই, শুধু হা-হুতাশ করা ছাড়া।
এখানেও গরম আছে, এক. জন গণের গরম, দুই. রোদের গরম।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:১৪