লক্ষ্মী আমায় ছেড়ে গেছে পরকীয়ার টানে
তাতে নেই কোন আফসোস নেই দীর্ঘসশ্বাস,
শুধু অন্তরে রক্তক্ষরণ করে নিষ্পাপ শিশুর দিকে তাকালে-
মা ছাড়া সন্তান আমার কিযেন খুঁজে ফিরে!
লক্ষ্মী আছাড় খেলে রাক্ষসের মুখে গিয়ে পরে
দ্বিতীয় বর তাকে বেচে দিয়েছে দালালের কাছে,
এখন দিন কাটে অভিজাত হোটেলে
নর্তকীর সাজে, মানুষের মনোরঞ্জন করে।
গত গ্রীষ্মের ছুটিতে ওপারে গিয়েছিলাম ভ্রমণে
উঠেছি এক অভিজাত আবাসিক হোটেলে,
দেখেছি পৃথিবীর রঙ্গমঞ্চটা হাতের মুঠোয় বন্ধি,
রঙ্গিন আলোক ছটায় নর্তকীদের কোমর
আস্ত গ্রাস করে করে মদ্দামির দেহটি।
নূপুরের ছন্দ সূর আর সরাবের নেশায়
হৃদয়ে ব্যঞ্জনার ধ্রুপদী ঢেউ তুলেছিল,
এবং টেবিলের উপর মাথা রেখে
হারিয়ে গিয়েছিলাম অন্তঃপুরীর দেশে।
যখন সম্মিত এলো ফিরে
নিজেকে আবিষ্কার করি হোটেল রুমে,
দেয়ালে মাথা ঠেকিয়ে টলমটল চোখে
নর্তকী আমার মাথা রেখেছে তার কোলে,
জ্ঞান ফিরেছে দেখে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে।
অবশেষে কিছুটা কৃতজ্ঞতা আর ধমকের সুরে
বলেছি, হয়েছে হয়েছে এখন তুমি আসতে পার,
ব্যাগে টাকা রাখা আছে যত পার গুনে
তোমার পারিশ্রমিক বুঝে নাও।
হোসনা চলে যাওয়ার পর
ভাবলাম একি মানবতা নাকি বাণিজ্যিক?
কিন্তু তার চোখে কৌতূহল দেখেছিলাম
হয়ত কিছু বলতে চেয়েছিল,
ফেলে আসা সন্তান কেমন আছে?
(ছবি: অনলাইন)