দেশের মানুষগুলো দিন দিন আইয়্যামে জাহিলিয়াতে দিকে ধাবিত হচ্ছে। এক দিকে প্রযুক্তির বিপ্লব ঘটছে অপর দিকে বিদেশী অপসাংস্কৃতির আগ্রাসনে মানুষগুলো হায়েনারুপী দানব হয়ে উঠেছে।
নচেৎ আমাদের এলাকায় এই ধরণের দানবের অস্তিত্ব আগে কখনো ছিল না। এই দানবদের থাবায় তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীরাও রেহায় পাচ্ছে না। বলতে ছিলাম নিঁখোজের সাত দিন পর লিজার লাশ পাওয়ার কথা।
আসল ঘটনা:
সখিপুর সরকারী বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী লিজার লাশ পাওয়া গেছে বাড়ীর কাছে পাটক্ষেতের ভিতরে। লিজার বাবার নাম লেহাজ উদ্দিন শেখ, তাদের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার সরদার কান্দি গ্রামে।
সে গত শনিবার (১৫ জুলাই) সহ পাঠীদের সাথে সাইকেল চালাতে সখিপুর গরুর মাঠে যায়। যাওয়ার সময় বাড়ি থেকে পাঁচশত টাকা নিয়ে যায়। তার এক সহপাঠীর সাইকেল চালানোর সময় জুতা ছিঁড়ে গেলে তাকে তিনশত টাকা দিয়ে দেয়। বাড়ী থেকে না বলে ৫০০ শত টাকা নেওয়ার কারণে লিজা ভয়ে আর বাড়ি ফিরেনি। সন্ধার পর তার বাবা-মা সমস্ত এলাকা তন্ন তন্ন খোজ করে কোন সন্ধান পায়নি। তার বাবা-মা হারিয়ে যাওয়া মেয়েটিকে সন্ধান করার জন্য জেলার ডামুড্যা, গোসাইরহাট, ভেদরগঞ্জ সহ আসে পাশের সমস্ত এলাকায় মাইকিং করেন। কিন্তু তাতেও কোন সন্ধান না পেয়ে আত্মীয়-সজন সহ ধারাবাহিক অনুসন্ধান অব্যাহত রাখেন।
ঘটনার এক সপ্তাহ পর আজ শনিবার সখিপুর বাজার সংলগ্ন পাটক্ষেতে এক মহিলা কলমি শাক তুলতে গেলে নাকে দুর্গন্ধ পান। অতপর এক পর্যায়ের একটি লাশ পাট ক্ষেতে পরে থাকতে দেখে থানায় এবং লিজাদের বাড়িতে খবর দেন। সেখানে উপস্হিত হয়ে লিজার বাবা-মা লাশটির চেহারা এবং পড়নের কাপর চোপড় দেখে লিজার লাশ হিসেবে সনাক্ত করেন।
ধারণা করা হচ্ছে কোন নরপশু/পশুরা রাতের আধাঁরে এই মাসুম শিশুকে একা পেয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করে পাট ক্ষেতে ফেলে রেখে যায়।
ইনসেটে লিজা
লিজার ফ্যামিলি কে শান্তনা দেয়ার ভাষা আমার জানা নেই। কিন্তু চিন্তা করছি পাষান্ডরা যখন লিজাকে খামচে ধরেছিল তখন সে কতই না জানি যন্ত্রনায় ছটপট করেছে।
উল্লেখ্য, যেখানে লাশ পাওয়া যায় তা লিজাদের বাড়ি থেকে অনতি দূরে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:০২