সেই জন্মের পর থেকে দেখছি মুস্লিম উম্মাহ শান্তি কামনা করে হজ্জের সময় মোনাজাত করা হয়। সারা বিশ্বের মসজিদ গুলোতে মুসলমানদের কল্যান কামনা করে দোয়া চলে। দেশের আনাচেকানাচে বিশেষ মোনাজাত চলে। কোথাও কোথাও আখেরি মোনাজাতের হিরিক পরে। ইস্তেমায়, তাব্লিগ জামাতে বিদায়ী মোনাজাতে দেশী-বিদেশি আলেমরা কান্দা চোখের পানিতে রোল দেন। বাড়িতে, মসজিদে, মাদ্রাসায়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সময়-অসময়ে মৌসুম ভিত্তিক দোয়ার আয়োজন চলে! রমজানে দোয়া ভিত্তিক কর্মসূচি চলে।
শীতকালে তাম্বুরা টানিয়ে ওয়াজ শেষে মোনাজাত না দিলে ওয়াজ অপূর্ণ থেকে যায়!
আচ্ছা এত এত বছরে এত এত দোয়া যে হয়েছে তার কি ফল পাইছি? আর এই দোয়াই বা কই যায়? দিন দিন মুসলমানদের শান্তি আসেনা বরং অশান্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সত্যি কথা বলতে কি ইসলামে দোয়া বলতে আলাদা কোন প্যাটার্ন এর বাধ্য বাধ্যতা নেই। ইসলাম হলো একমাত্র কর্ম ভিত্তিক ধর্ম। কোরান হলো সেই কর্মের ম্যানুয়াল।
যারা এই কোরান ভিত্তিক ম্যানুয়াল পালন করতে পারছেনা তারা এই দোয়া ভিত্তিক খিস্তিখের (দোয়া ভিত্তিক সমস্যার সমাধান) প্রচলন করছে।
দোয়াই যদি সব কিছু হত তাহলে হামজা (রা: ) শহীদ হতেন না। ভন্ড মুসাইলামার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে অগণিত কোরানে হাফেজ সাহাবী জীবন উৎসর্গ করতেন না।
সমাজে বা রাষ্ট্রে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কোরানের কর্মসূচি ভিত্তিক যে সমস্ত ম্যানুয়াল রয়েছে তা অবশ্যি আপনাকে কর্ম দ্বারা পালন করতে হবে।
সবচেয়ে বড় কথা হলো দোয়ার কোন গ্যারান্টি নেই। যে জিনিষের গ্যারান্টি নেই তার পিছে আমরা খালি খালি কেন ছুটতে যাব। তাই আসুন দোয়ার পিছনে না ছুটে কোরানের ম্যানুয়াল ভিত্তিক কর্মসূচির পিছনে ছুটি।
মুসলমানদের বিপদের সময় হুজরা খানায়, বায়তুল্লায় কিংবা তাম্বুরা টানিয়া যে দোয়া করবেন, সে দোয়ার বরকতে আসমানী জমিনী, হাওয়াই, কাফেরি বিপদ যে কাটবেনা তা গ্যারান্টি দিয়ে বলা যায় (দীর্ঘ দিনের পর্যাবেক্ষণ)।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৩