আগেরকার দিনে-
১। নবী-রাসূলেরা মোজেজা দেখাতেন। কাফেরা দেখাত কুফরি/যাদু মন্ত্র।
ফলাফল: এক সময় কুফরি উপর 'মোজেজা: জয়লাভ করত। এবং ততকালীন বিপদগামী এবং নির্যাতিত মানুষগণ নতুন ধর্ম মত গ্রহণ করে শান্তির পতাকা তলে সমাবেত হতেন।
® কোরান হাদিস দ্বার প্রমাণিত । মুসলমানেরা নবীদের মোজেজা অস্বীকার করলে কাফের হয়ে যাবে।
২। তারপরে আসলো অলি-আল্লাহর যুগ। অলি-আল্লাহরা বিভিন্ন 'কেরামত' দেখাইতেন। আর কাফেরা দেখাতেন যাদু -মন্ত্র বা ইন্দ্রকাম।
ফলাফল: যাদু মন্ত্রের উপর 'কেরামত' জয়লাভ করিত। ফলে অলি-আল্লাহরা নির্বিঘ্নে বির্ধমী এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে ধর্ম প্রচার করতে পারতেন এবং সেখানকার নির্যাতিত মানুষ কে শান্তির ছায়ায় নিয়ে আসতেন।
® বিভিন্ন কিতাবে এর উদাহরণ পাওয়া যায়। এই বঙ্গে পীর আওলিয়াদের এত পরিমাণ মোজেজারর কথা প্রচলিত আছে যে তা সময়য় নিয়ে গুনতে হবে।
বর্তমানে: বিভিন্ন দেশে মজলুম নির্যাতিত হচ্ছে, এক্ষেত্রে কোন অলি-আল্লাহ ভূমিকা নিতে পারছেনা। অলি-আল্লাহদের মোক্ষম অস্ত্র হলো ক্যারামত। বিগত কয়েক যুগ ধরে কোন অলি আল্লাহ/পীর/গাউস-কুতুব কর্তৃক এমন কোন কেরামতি বিশ্ব প্রত্যক্ষ করেনি যা দ্বারা মানব জাতির মঙ্গল/শান্তি সাধিত হইছে।
আসল অবস্হা: বর্তমানে অলি-আল্লাহ নেই। তবে ধর্মীয় শিক্ষিত আমলদার থাকতে পারে। আমলদার আর অলি-আল্লাহ এক নয়। (অলি- শব্দের অর্থ বন্ধু, মানে আল্লাহর বন্ধু, দুনিয়াতে বান্দার প্রায় চূড়ান্ত অবস্হা, যা অর্জন করতে কতগুলো টার্মশ এন্ড কন্ডিশন লাগে এবং আল্লাহর ইবাদতে চূড়ান্ত পর্যায়ের কাছাকাছি যেতে হয়। কিন্তু আমলদার বুঝালে সাধারণত ইস্লামের মৌলিক আকিদা আদায়কারীকে বুঝায়। কিন্তু সে এখনো চূড়ান্ত স্তরের কাছাকাছি পৌছাতে পারেনি।
তাহলে এরা কারা: আমাদের দেশে সাধারণত নানা রকমের পীর/অলি-আউলিয়া আছে। তারা নিজেদের কে কামেল/আত্মাধিক/এলমে তাসাউফ সম্পূর্ণ অলি-আল্লাহ হিসেবে সমাজে পরিচয় দেয়। বাস্তবতা হলো এরা কেউ পীর বা অলি-আল্লাহ নয়। এখন তাহলে আপ্নেরা প্রশ্ন করতে পারেন তাহলে এরা কি ? উত্তর পরিস্কার, এরা গদিনীশীল পীর! অর্থাৎ পীরের অবর্তমানে তার গদিতে (চেয়ারে) বসেছেন। এটা বাস্তবতা। এটা যে কোন ধর্মীয় জ্ঞানে শিক্ষিত আমলদার বসতে পারেন, কিন্তু কেরামতি দেখাতে হলে আপনাকে/তাদের কে অলি-আল্লাহর স্তরে যেতে হবে। অর্থাৎ বর্তমানে অলি-আল্লাহর কাতারে পরে এমন কেউ নেই, তবে যারা আছেন তারা শিক্ষিত/অশিক্ষিত চেয়ারপার্সন।
আরেকদল আছে স্ব-ঘোষিত পীর বা অলি-আল্লাহ! এদের কাজ নিজেকে জাহির করা।
আরেক শ্রেণি আছে ভণ্ড পীর বা ধর্ম ব্যবসায়ী। একশো হাত দূরে থাকুন।
আচ্ছা গদিনীশীন পীর/অলি-আল্লাহরা কেরামতের অনুরুপ কিছু দেখাতে বা করতে পারেনা?
তা কিছু একটা পারে! সেটা হলো পানি পড়া আর তাবিজ দেয়া এবং তার বিণিময়ে হাদিয়া উঠানো!
তাহলে উপায়?
যেহেতু ইলমে দ্বীনে বুজুর্গরা/পীর/অলি-আউলিয়ারা তাদের নেতৃত্বে, কূটকৌশলে, প্রভাব এবং ক্ষমতার মাপকাঠিতে বাতিলের/কাফিরের সাথে মোকাবেলায় পেরে উঠতে পারছেন না সেহেতু তাদের যোগ্যতা অর্জন করা পর্যন্ত এবং অর্জন করার পরেও মুসলমানদেরকে প্রযুক্তি এবং শিক্ষার আশ্রয় নিতে হবে। কারণ কেরামতির অবর্তমানে বিকল্প সমাধান হলো প্রযুক্তিগত ক্ষমতা। এই ক্ষমতা অর্জন করতে পারলে মুসলমানের সমস্যা নিজ থেকে মিটে যাবে। ট্রাম্প বা পুতিনের অনুকম্পা পাওয়ার আশায় থাকতে হবেনা। আগামীতে যারা প্রযুক্তিতে এগিয়ে থাকবে তারা বিশ্ব লিড দিবে। পানি পড়া, তৈলপড়া দেয়া কোন দরবেশ বাবার নেতৃত্ব মেনে নেওয়ার জন্য বিশ্ব এখন প্রস্তুত নয়।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৯