আমি বই মেলা ২০১৭ তে ব্লগারদের বই কিনেছিলাম; আমার মত অনেকে কিনেছে।।
বই মেলায় আসছে। ইতিমধ্যে লেখক, প্রকাশ এবং পাঠকদের মধ্যে আলাদা একটা সাড়া পড়ে গেছে। ফেব্রুয়ারী মাস জুড়ে থাকবে বই মেলার প্রাণের স্পন্দন। এ উপলক্ষ্যে আমাদের প্রিয় ব্লগ কমিউনিটি সামহোয়্যার ব্লগেও থাকবে বই পরিচিতি ও প্রচারণার বাড়তি উন্মাদনা। বরাবরের মত বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণেও বসবে লেখক-প্রকাশক ও পাঠকদের মিলন মেলা। প্রতি বছরের ন্যায় এবারো বই প্রকাশে পিছিয়ে থাকবেন না আমাদের প্রিয় ব্লগারগণ ।
এবার মূল পোষ্টে আসি-
বই মেলা ঘিরে ব্লগার লেখক, পাঠক ও ব্লগ কর্তৃপক্ষের রয়েছে অনেক করণীয়, আমি এখানে সেগুলোর আলোচনার প্রয়াস চালাচ্ছি-
১। প্রতি বছর বই মেলার সময় ব্লগে একটি স্টিকি পোষ্ট এবং প্রতিটি মহুর্তের আপডেট থাকে। আশা করছি, বরাবরের মত এবারো তা বহাল থাকবে। এর সাথে বিষয় ভিত্তিক ব্লগে বই মেলা-2018 নামে আলাদা একটি বিষয় ভিত্কি ব্লগ খোলা যায় কিনা ভেবে দেখার আছে। প্রয়োজনে মুভি রিভিউ এর মত ‘বুক রিভিউ’ ক্যাটাগরি নির্ধারণ করা যায়।
২। যারা ব্লগে সেচ্ছায় তাদের বইয়ের বিজ্ঞাপণ দিতে চান তাদের জন্য বিজ্ঞাপনের সুযোগ দেয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে তাদের কে আলাদা যায়গা নির্ধারণ করে দেয়া যায় এবং বিজ্ঞাপন খরচ যাতে আওতার মধ্যে থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৩। ব্লগ কর্তৃপক্ষ চাইলে ফেব্রুয়ারী মাসের যে কোন দিন বাংলা একাডেমির মেলা প্রাঙ্গণে লেখক, প্রকাশক ও পাঠক আড্ডার ব্যবস্থা করতে পারেন। সেখানে ব্লগের লেখক, প্রকাশক এবং পাঠকগণ মিলিত হবেন এবং তারা আড্ডা, আলোচনা, এবং পরস্পর মত বিণিময়ে অংশ গ্রহন করবেন।
৪। ব্লগ কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কিছু লেখকদের প্রকাশিত গ্রন্থের জন্য পুরুস্কৃত করতে পারেন। এটা এভাবে সম্পাদন করা যেতে পারেন- 2017 সালে যে সমস্ত ব্লগারগণ বই প্রকাশ করেছেন তারা 2018 সালে পুরুস্কারে জন্য নির্বাচিত হবেন। এজন্য ব্লগ কর্তৃপক্ষ গ্রন্থ জমা নেয়া, আবেদনের ব্যবস্থা ও মূল্যায়ণ কমিটি গঠন করবেন।
৫। ব্লগারগণ তাদের প্রকাশিত গ্রন্থ প্রচারের জন্য ফেসবুকে আলাদা গ্রুপ খুলতে পারেন। সেখানে প্রত্যেক লেখক ও ব্লগারগণ তাদের বইয়ের প্রচারণা চালাবেন। সেটি সামহ্যোয়ার কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিলে সবচেয়ে ভালো হয়।
৬। ব্লগার লেখকগণ তাদের বইয়ের জন্য সবার আগে আপনজনদের মাঝে প্রচারণা চালাবেন, তারপর বন্ধু বান্ধবদের নিকট অতঃপর ফেসবুকে এবং সর্বশেষ সহ ব্লগারদের নিকট। এতে আপনার বই বিক্রিতে প্রত্যাশা অনুযায়ী সাড়া পাবেন।।
৭। প্রত্যেক ব্লগারগণ একে অপরের বইয়ের জন্য রিভিউ লিখে তা ব্লগে, অনলাইন নিউজে, ফেসবুকে প্রকাশ করবেন। এতে করে প্রচারণার ব্রান্ড ভ্যালুর মান বঝায় থাকবে।
৮। ব্লগের লেখক, প্রকাশক ও পাঠকগণ বই মেলায় গেলে অবশ্যই যাদের সাথে ভালো মিউচুয়্যাল আন্ডারস্টান্ডিং আছে তাদের সাথে যোগাযোগ করে যাবেন। এতে পরস্পর আন্তরিকতা বাড়বে এবং সময়টা ভালোভাবে উপভোগ করতে পারবেন। সর্বশেষ ঘরে ফেরার সময় একে অপরের বই কিনে ঘরে ফিরবেন।
৯। আমরা যারা ব্লগের পাঠক ও লেখক তারা মেলার গিয়ে প্রিয় লেখকদের বইগুলো কিনে নিই। বই কেনার সময় অন্যান্য বইয়ের সাথে অত্যান্ত একটি হলেও ব্লগারদের থেকে প্রকাশিত একটি বই কিনবেন। কারণ সহ ব্লগার হিসেবে আমাদের প্রতি তাদের আলাদা দাবি রয়েছে এবং আমাদেরও তাদের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তৃব্যবোধ রয়েছে।
১০। প্রিয় ব্লগারের বই কিনে শুধু পড়েই ক্ষান্ত দিবেন না। প্রত্যোকের বইয়ের গঠনমূলক আলোচনা- সমালোচনায় অংশ গ্রহন করবেন। আর এই সমালোচনা অবশ্যই ব্লগে, ফেসবুক গ্রুপে করবেন। এতে লেখকের সামনের দিনে মননশীল লেখা লিখতে সাহায্য করবে।
প্রত্যেক শিক্ষিত বাঙ্গালির উচিত বই লেখা, বই পড়া এবং প্রিয়জনদের বই উপহার দেয়া। আপনি যদি শিক্ষিত বাঙ্গালীর একজন হয়ে থাকেন তাহলে আপনার দায়িত্ব রয়েছে জ্ঞানের পরিধি বাড়ানোর জন্য বই কিনা। আপনি কিনছেন তো?
পরিশেষে এই বই মেলায় আমিই একমাত্র ব্যক্তি যে পুরাপুরি নির্ভার থাকতে পারবো; কারণ এবারের বই মেলায় আমার কোন বই প্রকাশিত হয়নি।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৭