somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পাশ্চাত্যের এডিটিং করা জঙ্গিববাদ এবং তা মোকাবেলায় আমাদের করণীয়।।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বর্তমানে জঙ্গি ও জঙ্গিবাদ সবচেয়ে আলোচিত দুটি শব্দ। কোথাও কোন বিশৃঙ্খলা ঘটনা ঘটলে যে শব্দটি সবার আগে চলে আসে তার নাম জঙ্গি বা জঙ্গিবাদ। যখন ট্রাম্প কিংবা পুতিনের মুখে ধারাবাহিক বিরতি দিয়ে বার বার জঙ্গি শব্দটি উচ্চারিত হয় তখন ‍বুঝতে হবে জঙ্গি শব্দের আলাদা আলাদা ব্যাখ্যার প্রয়োজন আছে। তবে জঙ্গি শব্দটি ব্যাপক প্রচারে জুনিয়র বুশের অবদান সব চাইতে বেশি। টুইন টাওয়ার হামলার পর সারা বিশ্বে জঙ্গি শব্দটি গড়ে মুসলমানদের উপর ব্যবহার হতে থাকেন। জঙ্গিবাদ প্রচারে বিলেতি টনি ব্লেয়ার কে বাদ দিলে প্রচারের অবদান অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। এখানে বলে রাখা ভাল, ‘জঙ্গি শব্দটি পশ্চিমাদের কর্তৃক মুসলমানদের জন্য খাস (নির্দিষ্ট) হয়ে গেছে।

একেক জন কর্তৃক জঙ্গি শব্দটি একেকভাবে ব্যবহৃত হলেও আমার কাছে যেটা মনে হয় তাহলো-‘যারা নিরহ জনগণের উপর হামলা চালিয়ে জান-মালের ক্ষয়ক্ষতি সাধন করে তারাই জঙ্গি”। এই জঙ্গি রাষ্ট্রের কোন ধর্মকামী হতে পারে অথবা নাস্তিকও হতে পারে এমন কি রাষ্ট্র নিজেও জঙ্গির কাতারে নাম লিখাতে পারে। রাষ্ট্রকে নাম লিখানোর পিছনে সরকার ড্রাইভারের কাজ করে।

এবার জঙ্গি শব্দটির একটু পোষ্ট মডেম করতে চাই।
জঙ্গি শব্দের ইংরেজী প্রতি শব্দ হলো Terrorist (সন্ত্রাসী)। আর জঙ্গিবাদের ইংরেজী প্রতি শব্দ হলো Militancy. সহজ বাংলায় বলতে গেলে জঙ্গী অর্থ যোদ্ধা বা জিহাদী।

কিন্তু অভিধানে ভিন্ন কথা বলা আছে। যেমন ইউকিপিডিয়াতে,
The English word militant is both an adjective and a noun, and is generally used to mean vigorously active, combative and aggressive, especially in support of a cause, as in "militant reformers.
(জঙ্গিবাদ শব্দটি ইংরেজী বিশেষ্য বিশেষণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এবং ইহা সাধারণত জোরালো সক্রিয়, আক্রমণাত্মক এবং আক্রমণাত্মক কারণ সমর্থন অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে, আর সে অর্থে ইহা "জঙ্গি বাদ” হিসেবে চিহ্নিত।)

অক্সফোড ডিকসনারীতে-
The use of confrontational or violent methods in support of a political or social cause.
‘there are signs of growing militancy among workers’
(একটি রাজনৈতিক বা সামাজিক কারণ সমর্থনে বা মুখোমুখি অবস্থানে (সহিংস) জঙ্গিবাদ শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
যেমন, শ্রমিকদের মধ্যে জঙ্গিবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে '

মারিয়াম ডিক্সনারীতে প্রায় একই ধরণের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। উপরে কিন্তু কোথাও জঙ্গিবাদের সমর্থণ হিসেবে মুসলমানদের নাম উল্লেখ নেই। বা কোন সুনির্দিষ্ট গোষ্ঠীর কথা বলা নেই। সে গোষ্ঠী হতে পারে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ কিংবা খ্রিষ্টান কিংবা নাস্তিক কিংবা কোন রাষ্ট্র।

জঙ্গিবাদ বলতে সাধারণত যারা প্রচলিত অস্ত্র কিংবা মারানাস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে সাধারণ মানুষ কে হতাহত করে তাদের কে বুঝানো হয়। অথব যারা বল প্রয়োগের মাধ্যমে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে চায় অথবা প্রচলিত মতবাদ কে উপরে ফেলে নিজেদের মতবাদ কে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় তাদের কে ইঙ্গিত করা হয়। প্রাচীন কালে ধর্ম নিয়ে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে হানাহানি ঘটলে তখন কিন্তু জঙ্গি শব্দটি ব্যবহৃত হয়নি; যেমনটা এখন ব্যবহার করা হয়।
প্রথম সুসংগঠিত জঙ্গিগোষ্ঠী হিসেবে পরিচিতি পায় ইহুদিদের সংগঠন হাগানাহ।

যখন টেরিওরিষ্ট বা টেরিজম বলা হয় তখন মানুষ এক মনে খারাপ বা খারাপ কাজকে অথবা সহিংস কাজ হিসেবে বুঝে নেয়। কিন্তু যখন জঙ্গিবাদ (Militancy.) বলা হবে তখন মানুষ দ্বিধায় পড়ে এবং জঙ্গিবাদ বলার পিছনে কারণ খুঁজতে থাকে। এই কারণ খুঁজা অযৌক্তিক নয়। কারণ বর্তমানে জঙ্গি বা জঙ্গিবাদ প্রতিপক্ষ কে দমন করার ক্ষেত্রে ব্যবহার হচ্ছে। এই দমন করা রাষ্ট্র কর্তৃক বিরোধী দল হতে পারে কিংবা শক্তিশালী রাষ্ট্র কর্তৃক অপেক্ষাকৃত দুর্বল রাষ্ট্রও হতে পারে, অথবা দীর্ঘ দিন ধরে দখল দারিত্বের স্বীকার হওয়া কোন ভূখন্ডের মানুষদের ক্ষেত্রেও আরোপিত শব্দ হতে পারে।

এখন প্রশ্ন আসে জঙ্গিবাদ আসলে মুসলমানদের নাম আগে চলে আসে কেন? উত্তর সহজ। মানুষ একদিকে যেমন চরম উন্নতীর শিখরে পৌঁছেছে, অপর দিকে তাদের ভিতরে জাতি বিদ্বেষ, পরস্পর ঘৃণা, মানুষে মানুষে চরম দ্বন্দ, ধর্মীয় রেশারেশি চরম মাত্রায় প্রকাশ পাচ্ছে। তাছাড়া ভূ-খন্ডগত দ্বন্দ, রেসিজম (বর্ণবাদ), অর্থনৈতিক বৈষম্যের কারণেও মানুষ পরস্পরের প্রতি সহিংস হচ্ছে। অন্য দিকে বৈশিক রাষ্ট্রগত পরস্পর প্রতিযোগিতাও এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে। অন্যান্য জাতি কর্তৃক এই হিংসার শিকার প্রধানত মুসলমানরাই বেশি হচ্ছে। তারা (আধিপত্য বাধীরা) মুসলমানদের উপর চালানো হিংসাত্মক কার্যকলাপকে জায়েজ করার জন্য একটি এডিটিং করা নির্দিষ্ট ছক এঁকেছে।সেই ছকে মুসলমানরা জঙ্গি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে। এখানে আমি দেখাব জঙ্গিবাদ প্রচারে কোন কোন প্রভাবক ভূমিকা রাখে-



ধর্মগত- (ক) সমস্ত মুসলমান চিন্তা করে তারা একটি উম্মাহ। (খ) সমস্ত ইহুদিরা নিজেদের কে একটি ইউনিটি হিসেবে দেখে (গ) খ্রিস্টানরাও নিজেদের কে একই ছাতার অংশ মনে করে অর্থাৎ তারা কমিউনিটি। বৌদ্ধরাও একই। হিন্দুরা বাদ যাওয়ার কথা না। অর্থাৎ বিশ্বে বড় বড় ধর্ম অনুসারী একে অপরের সাথে মনস্তাত্বিক দ্বন্ধে লিপ্ত আছে। এমনো দেখা গেছে একই রাষ্ট্রে বসবাসকারী বিভিন্ন ধর্মালম্ভাদীর মাঝে চরম ধর্ম বিদ্বেষ কাজ করে। সহিংস ঘটনার শত শত নজির আছে। ভারতে এরকম অনেক ঘটনার ফলে অনেক প্রাণহানি ঘটেছে। অন্যান্য দেশেও ঘটছে। ইউরোপ আমেরিকা কিংবা লন্ডনে ধর্মগত মনস্তাত্বিক বিরোধ প্রবল আকারে ধারণ করছে। বিগত দিনে এনিয়ে ক্রুসেডও হয়েছে।

ভূ-খন্ডগত- ইউরোপিয়ানদের সাথে অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর মানুষের চেতন ও অবচেতন রুপে মনস্তাত্বিক দ্বন্দ বিরাজ করছে। তেমনি এশিয়ার সাথে আফ্রিকার, আফ্রিকার সাথে আমেরিকার, আমেরিকার সাথে অস্টোলিয়ার জাতিভুক্ত মানুষদের একটা মনস্তাত্বিক দ্বন্ধ বিদ্যমান। ফলে-

বর্ণবাদ- বর্ণবাদী কারণেও মানুষদের মধ্যে এক ধরণের মনসতাত্বিক বিরোধ কাজ করে। এক্ষত্রে শ্বেতাঙ্গ- আর কৃষ্ণাঙ্গ বিরোধ প্রকৃত উদাহরণ। আমেরিকায় এ সমস্যা প্রকট।

ধনতান্ত্রিক বৈশ্বিক ব্যবস্থা- ধনবাদী বৈশ্বিক ব্যবস্থার কারণে মানুষের মধ্যে হিংসার বীজ বপন করছে। গরীব-ধনীদের মাঝে বিরাট পার্থক্যের কারণে মানুষের মাঝে মনসত্বাত্বিক দ্বন্দ সৃষ্টি হচ্ছে।



সাম্রজ্যবাদ- সাম্রজ্যবাদের কারণে অপেক্ষাকৃত দুর্বল রাষ্ট্র সমূহের জনগণের মধ্যে বড় রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আক্রমণাত্মক আচরণ প্রকাশ করতে উৎসাহ যোগাচ্ছে। আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে ভারত, আমেরিকা ইস্রাইল বিরোধী মনোভাব উল্লেখ করার মত, কিংবা মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের হিংসাত্মক কার্যকলাপের কারণে মানুষের মনে যে ঘৃণা জন্মেছে সেটিও দেখার মত।

মানবতার ফেরি: সাধারণত ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো নিজেধের আধিপত্য ধরে রাখার জন্য বিভিন্ন ধরণের সহিংস কাজ করে থাকে। তাদের এই সহিংস কাজ কে অনেক সময় লোক দেখানো মানবতা বলে প্রচার চালোনা হয়। কিন্তু প্রতিপক্ষ যখন একই ধরণের আচরণ করতে চেষ্টা করে তখন তাদের কে সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদী বা জঙ্গি হিসেবে প্রচারণা চালায়। এতে সংশ্লিষ্ট দেশের মানুষদের মাঝে আক্রমণকারী দেশের প্রতি ঘৃণার বিষবাষ্প ছড়ায়।

দখল দারিত্বঃ যেখানে দখল দারিত্ব আছে সেখানে মানুষের স্বাধীনতার পাওয়ার আকাঙ্খা কাজ করে। দখল দারিত্বের স্বীকার হওয়া কিংবা অবরুদ্ধ হওয়া মানুষ যখন স্বাধীনতা পাওয়ার জন্য মুভমেন্ট (সংগ্রাম) করে তখন দখলদার রাষ্ট্র কর্তৃক সংগ্রামী মানুষদের জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করে। যেমন 1971 সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিদের দৃষ্টিতে আমরা জঙ্গি ছিলাম! ইস্রারাইলীদের দৃষ্টিতে ফিলিস্তিনের মুক্তকামী জনগণ জঙ্গি, ভারতের দৃষ্টিতে কাস্মিরের ‍মুক্তিকামী জনগণ জঙ্গী! ফিলিপাইনের চোখে মিন্দানাউ অধিবাসীরা জঙ্গি। তুরস্কের কাছে পিকিকে বা ওয়াইজিপি কিংবা কুর্দিরা জঙ্গি, অথবা চেচেনরা রাশিয়ার নিকট জঙ্গি। দখলদার রাষ্ট্র কর্তৃক এই ধরণের বালখিল্য ট্যাগের কারণে স্বাধীনতাকামী মানুষদের মাঝে দখলদার রাষ্ট্রের প্রতি চরম বিদ্বেষ উদয় হয়। তারা জঙ্গি কে ভিন্ন অর্থে বা স্বাধীন তা অর্থে দেখে।



বিরোধীদের দমনে- অনুন্নত কিংবা উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে সরকার কর্তৃক বিরোধী দল দমনে মাঝেমধ্যে কোন রকম বাছ বিচার না করেই জঙ্গিবাদ শব্দটি ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে জঙ্গিবাদ সম্পর্কে মানুষের মনে সন্দেহ দেখা দিচ্ছে।

নব্য-আস্তিক নাস্তিক প্রচারণার দ্বন্দ: বর্তমানে আরেকটি সমস্যা প্রকট আকারে দেখা দিয়েছে। তাহলো নব্য নাস্তিকবাদের প্রচারণা। এই প্রচারণা চালাতে গিয়ে নাস্তিক্যবাদীরা ধর্মকামীদের বিশ্বাসে চাবুক মারছে। ফলে নাস্তিক্যবাদীদের প্রতি ধর্মকামীদের বিদ্বেষ বাড়ছে।

আটা বা ময়দা বা পাউটার যখন কেরাম বোর্ডে যায় তখন তার নাম হয়ে যায় বিট। জঙ্গিবাদ শব্দটি কখনো মুক্তিকামী বা কখনো দেশ প্রেমিক হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। যেমন আফগানিস্তানে তালেবান বা আল কায়েদা যখন আমেরিকার কজ্বায় ছিলো তখন তারা স্বাধীনতা কামী বা দেশ প্রেমিক হিসেবে মিডিয়ায় প্রচারণা পেয়েছিলো। অন্যদিকে যথন তালেবান কিংবা আল কায়েদা আমেরিকার হাত থেকে ফসকে গেলো তখন তারা হয়ে গেল জঙ্গি। অর্থাৎ এখানে জঙ্গি শব্দটি দুটি প্রেক্ষাপটে ব্যবহৃত না হয়ে একটি প্রেক্ষাপটে ব্যবহৃত হয়েছে। এখানে জাতী রাষ্ট্রগুলো তাদের সুবিধামত জঙ্গি শব্দটি ব্যবহার করেছে। এতে জঙ্গিবাদ নিয়ে মানুষ মনে হাজারো প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।

2য় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকা এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের (রাশিয়ার) মধ্যে দীর্ঘ দিন কোল্ড ওয়ার বা ঠান্ডা যুদ্ধ চলছিলো। কিন্তু নব্বই দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন ঘটলে বিশ্ব নেতৃত্বে আমেরিকা এককভাবে ফ্রন্ট লাইনে চলে আসে। তারা বিশ্বে একক মাতাব্বরি চালালে এক নায়কতান্ত্রিক কিছু দেশের সাথে চরম বিরোধ শুরু হয়। এই বিরোধে আমেরিকা সহ পাশ্চাত্য রাষ্ট্র সমূহ এগিয়ে থাকতে বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রের জিগির শুরু করে। এলক্ষে তার প্রচার মিডিয়াকে কাজে লাগান। অন্য দিকে যারা এক নায়কতান্ত্রিক ছিলো তারা পিছিয়ে পড়ে যান। কেননা তখন তারা প্রতিযোগিতা মূলক বিশ্বে প্রচারাভিযানে পিছিয়ে ছিলো। কার্যত তাদের বড় রকমের শেল্টার দেওয়ার তেমন কেউ ছিলোনা। অন্যদিকে এক নায়কতান্ত্রিক সরকারের যেমন দোষ আছে ঠিক তেমনি গুনও আছে। আবার গণতন্ত্রেরও দোষ গুন উভয় আছে। কিন্তু প্রচার অভিযানের কারণে স্বাভাবিকভাবেই গণতন্ত্রের বুলি মানুষদের মনে গেঁথে যায়। তারা গণতন্ত্রের স্বপ্ন দেখেন। তাদের স্বপ্ন ভঙ্গ হয় পরবর্তীতে বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহে, আমেরিকা কর্তৃক পুতুল সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।

এভাবে একে একে যখন আমেরিকার ছোট ছোট রাষ্ট্রগত প্রতিদ্বন্দী শক্তিগুলো শেষ হতে থাকে তখন তারা ধর্মগত প্রতিষ্ঠিত শক্তি নিঃশেষ করতে তৎপর হয়ে উঠে। এই ধর্মগত শক্তির মধ্যে ইসলাম ধর্মলম্ভীদের তারা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয়। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হলে তাদের গণতন্ত্রের মত আরেকটি বুলি প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়োজন দেখা দেয়। সেই বুলির নাম হলো ‘জঙ্গিবাদ’। এই জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা এবং প্রচারণায় আমেরিকা ইস্রাইলসহ পাশ্চাত্য দেশ সমূহ তাদের শক্তিশালী প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়াকে কাজে লাগায়। তাদের দেখা দেখি আমাদের মত রাষ্ট্রের মিডিয়াগুলো ব্যাপক তাৎপর্য না বুঝে সেটি লুপে নেয়। ফলে ইসলাম ও মুসলমানদের পিছনে জঙ্গিবাদ শব্দটি গেঁথে যায়। এখানে লক্ষণীয় যে, এই সমস্ত মিডিয়া কিন্তু মায়ানমার কে জঙ্গি রাষ্ট্র বলছেনা, ইস্রাইল কে জঙ্গিরাষ্ট্র বলছেনা, কিংবা ভারত কে জঙি হিসেবে উপস্হাপন করছেনা। তারা জঙ্গি’র কাছাকাছি আরেকটি শব্দ ব্যবহার করে সেটি হলো দখলদার। এবার বুঝুন।



পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি জঙ্গিবাদের প্রচারণার শিকার মধ্যপ্রাচ্য। আল কায়েদা, আইএস সহ পশ্চিমা বিশ্ব যাদের কে জঙ্গি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করিয়েছে কিংবা পৃথিবীতে পরিচয় করে দিয়েছে তারা কিন্তু এই পশ্চিমা বিশ্বেরই সৃষ্টি। সিরিয়ার আইএসের উত্থানের পিছনে ইস্রাইল-আমেরিকার হাত আছে। এই সম্পর্কে অনেক স্পষ্ট প্রমাণ ও তথ্য আছে। সুতরাংং ঘটনা সম্পৃক্তকারী হিসেবে মুসলমানরা ঘাড়ে দায় নিলেও গডফাদার হিসেবে আমেরিকা, ইউরোপ, ইস্রাইলের সম্পূর্ণ দায়ভার নিতে হবে।



পরিশেষে, যারা সাধারণ মানুষদের উপর হামলা করে রক্তারক্তি ঘটাচ্ছে তাদের সু-পথে ফিরে আসতে হবে। জঙ্গিবাদের প্রচার মোকাবেলায় আনাদের কে আরো সজাগ থাকতে হবে। অশুভ শক্তির বিলোপ ঘটিয়ে পৃথিবীতে শান্তি ফিরিয়ে আনতে হবে।

ছবি: গুগল।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৩৬
২৪টি মন্তব্য ২৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার কিছু ভুল!

লিখেছেন মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮

১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×