somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আল্লাহ কার জন্য?

০৯ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


মানুষের নিত্য নতুন আবিস্কারের নেশা সেই আদিকাল থেকেই। আবিস্কারের বন্ধ জানালা খুলতে খুলতে আমরা এখন অত্যাধুনিক যুগে আছি। সামনে হয়ত অজানার নতুন দিগন্ত খুলে যাবে। কিন্তু মানুষ তার নিজেকে নিজের আবিস্কারের যে মহৎ দায়িত্বটা রয়েছে তা রয়ে যাবে সেই আদিকালের পথে। আচ্ছা বুকে হাত দিয়ে বলুন তো আপনি নিজেকে নিজে কতটুকু আবিস্কার করেছেন? উত্তর যা আসবে তা হলো "কিঞ্চিৎ" । এমনো মানুষ রয়েছে যারা তার সহধর্মীনীর সাথে চল্লিশ বছর এক সাথে ঘর সংসার করার পরেও তাকে নতুন করে প্রতিনিয়ত আবিস্কার করতে হয়, প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ধাঁধায় পরতে হয়। এ যেন চোখের প্রস্ফুটিত আলোর পাশে বিশাল কৃষ্ণ গহব্বর।

মানুষ নিজেকে নিজে আবিস্কার না করার কারণেই পৃথিবীতে ধর্মের আগমন ঘটেছে। ধর্মগুরুরা নিজেকে আবিস্কার করতে গিয়ে ধর্মের পথ ও মত খুঁজে পেয়েছেন। তারা এই..ও খুঁজে পেয়েছে যে, দুনিয়াতে নিজেকে পুরাপুরি আবিস্কার করা সম্ভব নয়, নিজেকে পুরাপুরি আবিস্কার করতে হলে আত্মাকে পরকালের প্রতি ডাইভারশন করতে হবে। সেজন্য আল্লাহ, খোদা বা ঈশ্বরকে অলীক, অচিন্তনীয় মেনে নিয়ে তাকে সর্বময় ক্ষমতার উৎস ভাবতে হবে। এবং সেই ঈশ্বরের রুটিন মেনে চললে বা না চললে পরকালে নিজেকে দুইভাগে আবিস্কার করবে-
এক. জান্নাতি।
দুই. জাহান্নামী ।

বিপরীত দিকে,
বাস্তুবাদী নাস্তিকরা আবার এই "ঈশ্বর তত্ত্বের" ঘোর বিরোধী । তাদের প্রধান যুক্তি হলো, কাউকে না দেখে, না বুজে, না প্রমাণ করে, তাকে সৃষ্টকর্তা, পালনকর্তা এবং সর্বময় শক্তির উৎস ভাবা নিরর্থক ও বোকামী । এবং ঈশ্বরের নাযিলকৃত কল্পিত বিধিবিধান ফ্যান্টাসি । এগুলো যারা পালন করে তারা বোকার রাজ্যে বসবাস করে। তাদের সবচেয়ে তীব্র আপত্তি হলো পরকালীন জীবন যেমন- কিয়ামত, শেষ বিচার, জান্নাত এবং জাহান্নাম। তাদের মতে, কিয়ামত, হাশর, পুলসিরাত, জান্নাত বা জাহান্নাম রুপকথা । এই রুপকথা যারা অন্তরে ধারণ করবে তারা দুনিয়া থেকে গাফেল হয়ে যাবে, যা একজন মানুষের জন্মকে নিরর্থক করে দেয়।

অপর দিকে, ধর্মকামীরা মনে করে, মানব জন্মের প্রধান উদ্দেশ্য হলো ঈশ্বরকে জানা এবং তারা ইবাদত করা। যারা ঈশ্বর কে অস্বীকার করবে তারা দুনিয়া এবং আখেরাত উভয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

এবার আসুন জেনে নেই এই সম্পর্কে সত্যের ছায়া কি জানেঃ

নাস্তিকদের পরকালীন জীবন সম্পর্কে আলোকপাতঃ
নাস্তকদের কথায় ধরে নিলাম সৃষ্টিকর্তা বলে কিছু নেই। তাই সৃষ্টিকর্তাকে অবিশ্বাস করে জীবন যাপন করলাম। তারপর একদিন মৃত্যু বরণ করলাম। মৃত্যুবরণ করার পর যদি দেখি সৃষ্টিকর্তা বলে কিছু নেই তাহলে আমি বেঁচে গেলাম। আর যদি মৃত্যুবরণ করার পর দেখি সত্যি সত্যি একজন সৃষ্টিকর্তা আছে এবং তিনি আমাকে বিচারের মুখোমুখি দাড় করিয়েছেন, তখন আমার কি অবস্থা হবে? তখন কি নাস্তিকরা আমাকে তার (খোদার) হাত থেকে বাঁচাতে পারবেন? বা তারা কোন উপকারে আসবে? তাই সৃষ্টিকর্তা থাকার সম্ভাবনা যদি এক পারসেন্টও সত্যি হয় তাহলে তাকে বিশাস করতে হবে।

সাধারণ ধর্মকামীদের সম্পর্কে আলোকপাতঃ
ধর্মকামীরা প্রায় ডেলিভারী দেয়, "দুনিয়াতে যারা ঈশ্বর কে অস্বীকার করবে তার দুনিয়া এবং আখেরাত উভয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।" ইহা আংশিক বাদে পুরোটা গাঁজাখুরি কথা। কারণ, অবিশ্বাসীদের জন্যই পৃথিবী, তারা দুনিয়াতে খেয়ে দেয়ে আমোদ ফূর্তি করে বেড়াবে। ঈশ্বরের আইন কে থোরাইকেয়ার করবে, সীমালংঘন করবে। সীমালংঘন করার মাঝেই দুনিয়াতে প্রকৃত সুখ নিহিত । আর প্রকৃত সুখ মানেই জান্নাত। সুতরাং, ধর্মকামীরা যে আবাল ডেলিভারি দেয় তা সম্পূর্ণ অজ্ঞতার ফল।
অর্থাৎ, অবিশ্বাসীদের জন্যই পৃথিবী ক্ষতিগ্রস্ত নয় ।

এখন বলতে পারেন কাদের জন্য পৃথিবী ক্ষতিগ্রস্ত?
উত্তর হবে, যারা আল্লাকে বিশ্বাস করার পরেও তার হুকুম আহকাম ঠিকমতো পালন না করে তাদের জন্য দুনিয়া এবং আখেরাত উভয় ক্ষতিগ্রস্ত ।

আপ্নারা কি বলেন?
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৩৪
১৫টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×