ছেলেঃ আপনিকি আমাকে ঘৃণা করেন?
মেয়েঃ নাতো, আমি আপনাকে ঘৃণা করবো কেন?
ছেলেঃ হে হে হে, আমি দুঃখিত, আমার গার্ল ফ্রেন্ড আছে। আশা করি আপনি অন্য কাউকে পেয়ে যাবেন।
মেয়েঃ আজবতো, দাঁত কেলিয়ে হাসছেন। আবার বলছেন আপনি দুঃখিত। আবার বলছেন, আপনার নাকি গার্ল ফ্রেন্ড আছে। কেন, সমস্যা কী আপনার?
ছেলেঃ বিশ্বাস হচ্ছে না?
মেয়েঃ কী? কী বিশ্বাস হচ্ছে না?
ছেলেঃ এই যে আমার যে গার্ল ফ্রেন্ড আছে সেটা আপনার বিশ্বাস হচ্ছে না?
মেয়েঃ তাতে আমার কী? আপনার গার্ল ফ্রেন্ড থাকুক না থাকুক তাতে আমার কী?
ছেলেঃ ছিঃ ছিঃ এটা কী বলেন? একজনের প্রেমিকা থাকা সত্যেও আপনি তার সাথে প্রেম করতে চান?
মেয়েঃ হোয়াট দ্যা......মাথা ঠিক আছে আপনার?
ছেলেঃ থাকবে না কেন? মাথাই তো সব। ওটা বেঠিক থাকলেতো মানুষকে হাসপাতালে থাকতে হয়।
মেয়েঃ আপনার সেখানে থাকা উচিৎ ছিলো। বাইরে কেন আপনি। উলটা পাল্টা বকার জন্য?
ছেলেঃ বাঃ রে আপনিই তো কিছুক্ষণ আগে আমাকে বললেন আমাকে ভালোবাসেন।
মেয়েঃ কখন?
ছেলেঃ ঐতো তখন আমাকে বললেন আপনি আমাকে ঘৃণা করেন না।
মেয়েঃ হুম বলেছিলাম, কিন্তু এখন করি।
ছেলেঃ শুনুন, ঐ যে লোক গুলো আসছে না? তাদেরকে বলবেন আপনি আমাকে ভালোবাসেন, আপনি আমাকে সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন।
মেয়েঃ আজবতো, কেন বলবো আমি?
ছেলেঃ প্লিজ। নাহলে ওরা আমাকে ধরে নিয়ে যাবে।
মেয়েঃ আমি বললেই হবে?
ছেলেঃ হ্যাঁ, হবে। আপনি বলবেন আপনি আমার আপনজন।
মেয়েঃ কেন?
ছেলেঃ নাহলে ওরা আমাকে নিয়ে যাবে?
মেয়েঃ কোথায়?
ছেলেঃ মেন্টাল হসপিটালে?
মেয়েঃ হোয়াট?
"মেয়েটি লাফিয়ে দূরে সরে যায়, এবং এতক্ষণ যার সাথে কথা বলে ভালো লাগতে শুরু করেছিলো তাকে খুব ভয় লাগতে শুরু করে তার।
মেয়েটি ভেবেছিলো ছেলেটি হয়তো তাকে পছন্দ করে। আর সেটাই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলতে চাচ্ছিলো। কিন্তু না, ছেলেটি পাগল।
ছেলেটিকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে লোকগুলো। মেয়েটির মনে ভয়ের স্থান ধীরে ধীরে এক ধরণের মায়া দখল করে নিল।
ছেলেটি দেখতে এতো বেশি সুন্দর যে মেয়েটির কাছে তার উলটাপালটা কথাগুলোও অনেক ভালো লাগছিলো।
ছেলেটিকে নিয়ে চলে যাচ্ছে লোকগুলো।
মেয়েটি ভাবে, তার কথায় কি লোকগুলো ছেলেটিকে ছেড়ে দেবে?
সত্যিই কি দেবে ছেড়ে? এভাবে ভাবতে ভাবতে এক সময় দেখে তাদের কেউ আর নেই তার চোখের সামনে।