শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দর হতে উত্তরা প্রবেশ পথে পর্যন্ত বিশেষ করে উত্তরা এক নং সেক্টর মসজিদ হতে জসিম উদ্দিন মোড় পর্যন্ত সড়ক দ্বীপের সকল গাছগুলিকে কেটে সড়ক প্রসস্থকরণের কাজ চলছে। এমনিতে আমাদের দেশের আয়তনের তুলনায় বনভূমির পরিমাণ অনেক কম। তাও যা আছে তা জনসংখ্যার চাপে ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। গাছ বা বনের পরিমাণ হ্রাস পেলে পরিবেশের উপর তার কি বিরূপ প্রভাব পড়ে তা আমরা এখন সকলেই উপলব্ধি করতে পারছি । কিন্তু সব কিছু জানা স্বত্ত্বেও আমাদের দায়িত্বশীল কর্তারা কেন যে বিভিন্ন উছিলায় বৃক্ষ নিধনে মেতে উঠে তা আমাদের বোধগম্য নয় । কিছু দিন পূর্বে যশোর রোডের শতবর্ষীয় সব গাছ কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছিল, যেখানে আমাদের পার্শ্ববর্তীয় প্রতিবেশী দেশে গাছগুলিকে রেখেই রাস্তা প্রসস্থকরণ করার চেস্টা করছে।
যেখানে বৃক্ষ রোপনের প্রয়োজনীয়তার কথা, উপকারিতা সর্ম্পকে সবাইকে সচেতন করার কথা, সেখানে কর্তপক্ষের এমন সিদ্ধান্ত কোনভাবেই কাম্য নয় । এই গাছগলিকে রেখে কি কোন উপায় বের করা সম্ভব ছিল না। আমাদের উদ্দেশ্য তো মহৎ ছিল, যানজট নিরসন করা । কিন্তু শুধুমাত্র সড়ক প্রসস্থ করে, ফ্লাই ওভার নির্মাণ করে, ইউ লুপ তৈরি করে যানজন নিরসন করা সম্ভব নয় । শুধুমাত্র সড়কের শৃঙ্খল আনয়ন ই পরে যানজট মুক্ত করতে বা সহনশীল পর্যায়ে রাখতে। যার প্রমাণ আমরা কিছু দিন পূর্বে প্রত্যক্ষ করেছি। আমরা কি কখনোই সচেতন হব না?
কয়েকদিন ধরে অসহনীয় গরম বা তাপ প্রবাহ চলছে । আর তার মধ্যেই চলছে বৃক্ষ নিধনের মহোৎসব । এক পক্ষ গ্লোবাল ওয়ার্মিং নিয়ে লেকচার দিতে দিতে গলা ফাটিয়ে ফেলছে, আর অন্য পক্ষ তাদের মাথা মোটা সকল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে চলছে।
ভাবতে খুবই অবাক লাগে। খুবই অসহায় লাগে । আমরা কি পারি না অবশিস্ট গাছগুলিকে রক্ষা করতে ?
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১১:৩১