সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ ইহা ইন্টেলেকচুয়াল পোস্ট নহে। আমি ভয়ালজিতে বড্ড কাঁচা, DNA সম্পর্কে জ্ঞান বাড়ানোর অভিপ্রায় থাকলে আপনি অতি নিকৃষ্ট একটি লিঙ্কে এসে গেছেন! এখানে বরং উচ্চমাধ্যমিক বায়োলজির DNA ডাবল হেলিক্স কীভাবে দ্রুত আঁকা যায় তার একটা ছোট্ট আইডিয়া দেখাবো! আর যেহেতু টার্গেট পাঠক উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর, তাই বরং ‘তুমি’ করেই বলি।
আইডিয়ার সারকথাঃ
আমরা সিঁড়ি কাঠামোটি আঁকবো দুইটা পেনসিল একত্রে ব্যবহার করে। চালু পোলাপান শিউর বুঝে গেছে কী করতে যাচ্ছি!! আইডিয়া ক্রেডিট https://www.facebook.com/shahadat.hossain.54966 ভাইয়ের।
এক মিনিটে কম্ম সাবাড়ঃ
ধর, হাতে একদম সময় নাই, একেবারে শেষ কয়েক মিনিটে DNA হেলিক্স আঁকা বাকি। তখন আর দিন-দুনিয়া কে পাত্তা দেয়, ধুমধাম কিছু একটা আঁকতে পারলেই শান্তি! দুইটা পেনসিল একসাথে ধর। খাতায় একটা ‘S’ আঁক। হয়ে গেল সিঁড়ির এক সাইডের রেলিং! অবশ্য S এর দুই প্রান্ত টান দিয়ে উপরে নিচে একটু লম্বাটে করে দিও!
সতর্কতাঃ যত slowly আঁকবা তত ব্যাঁকাত্যাড়া হয়ে যাবে! ইংরেজিতে ‘S’ লিখছো মনে করে মারো এক টান! :dhisya:
সিঁড়ির আরেকটা সাইডের রেলিং বাকি। হেহে, এই S এর সামান্য উপরে আরেকটা S লিখে ফেলো, হয়ে গেল দ্বিতীয় রেলিং!
দুইটা S লিখতে আমার লাগে ৩ সেকেন্ড সময়, ছোট ভাইয়ের ৫ সেকেন্ড এবার মাঝের কি কি সব হাবিজাবি নাইট্রোজেন বেইস আছে ঐগুলা দিয়া দাও। পুরো চিত্র আঁকতে ১ মিনিট!
হাতে সময় থাকলেঃ
উপরের মত করে আঁকলে খুব দ্রুত আঁকা যায় ঠিকই, কিন্তু ঠিক ‘সৌন্দইর্য্য’ হয় না হাতে যদি সময় থাকেই, তাহলে আরেকটু আয়োজন করে আঁকা যাক।
ষড়যন্ত্রঃ শুরুতে একটা বাক্স এঁকে নিব। সেটার ভিতরে পুরো সিঁড়িটা এঁটে দিব। তাহলে হেলিক্সের স্মার্টনেস কিঞ্চিত বাড়বে বাক্সের মাপ কী হবে? সবচেয়ে ভালো হবে সেটা নিজে বের করে নিলে! আমি একটা স্যাম্পল দিচ্ছি মাত্র।
চিত্রের মত বাক্স এঁকে নিয়ে প্রথমে ডটগুলো দিয়ে নাও [চিত্রে লাল রঙ দিয়ে দেখানো হয়েছে] দুটো পেনসিল একত্রে ধরে এই ডটগুলো ফলো করে ‘S’ লিখে ফেলো– ব্যস হয়ে গেল এক সাইডের রেলিং!
দ্বিতীয় সূত্রক আঁকতে প্রতিটি লাল ডটের ২.৫ সেমি উপরে আরেকটা করে ডট দাও [নিচের চিত্রে সবুজ ডট দিয়ে দেখানো হয়েছে] এবং সেগুলো ফলো করে আরেকটা S লিখে ফেলো!
আসল কাজ শেষ। এবার নকল কাজ।
সিঁড়ির ধাপ হিসেবে নাইট্রোজেন বেইসগুলো দিয়ে দাও। এক্ষেত্রে লক্ষণীয়ঃ
অ্যাডেনিন (A)-থাইমিন(T) সবসময় ডাবল বন্ড
সাইটোসিন (C)- গুয়ানিন (G) সবসময় ট্রিপল বন্ড
A আর T ভাইভাই। এরা নিজেরা নিজেরা যুক্ত থাকে। একইভাবে C-G ভাইভাই, ওরাও শুধু নিজেরাও যুক্ত থাকে। কখনও A-C বা T-G বন্ড হবে না, অর্থাৎ নিজের ভাই ছাড়া আর কাউকে ওরা দেখতেই পারে না!
এই বেসগুলো রেলিং এ শ্যুগারের সাথে যুক্ত থাকে, তাই A-T বা C-G ইত্যাদি ধাপগুলের দুই প্রান্তে শ্যুগার হিসেবে S লিখে দাও। আর শ্যুগার S নিজেরা নিজেরা যুক্ত থাকে ফসফটের মাধ্যমে, তাই পাশাপাশি দুটি S এর মাঝে একটি করে P বসিয়ে দাও!
টাট্টারাডা! হয়ে গেল আমাদের DNA! :happybirthday:
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫৪