মোবাইলের পর্দার আলোটা জ্বলছে আর নিভছে। পর্দায় আবির এর নাম। আবির ফোন করছে! মনটা খুশির উত্তেজনায় হালকা হয়ে উঠলো শাহাদাতের।
পকেটটা আজ গড়ের মাঠ ওর। আবির এর ফোন পেয়ে ভাবলো, যাক আজ বিকেলের সিগারেটটা তো অন্তত হবে। ফোন রিসিভ করলো শাহাদাত,
-হ্যালো!
-কই রে তুই?
-আমি তো বাসায়, বের হবো?
-না, বের হওয়া লাগবে না। তোকে একটা কাজ করতে হবে কাল।
-তার আগে বল তুই কোথায়?
-আমি নানার বাসায় আসছি।
-ও, আসবি কবে?
-পরশু, শোন _ _ _ _ _.
আবির এলাকায় নেই জানতে পেরে আবার শাহাদাতের মনটা ভারি হয়ে গেলো।
ধুর, বিকেলটাই মাটি! মনে মনে কপালটার গুষ্টি উদ্ধার করতে করতে শাহাদাত তার বিছানার পাশের জানালাটা খুললো। পরক্ষনেই চোখ পড়লো সুমিদের বাসার ছাদের দক্ষিন কর্ণারে। একা দাড়িয়ে আছে সুমি।
প্রতিদিন বিকেলে কী করে মেয়েটা ছাদের এপাশটায়!! একদিন ও মিস হয় না। শাহাদাত ও মিস করে না। সেও একবার করে উঁকি দেয় প্রতিদিন বিকেলে, ছাদের দক্ষিন কর্ণারে। বিষয়টা ভালো ই লাগে শাহাদাতের।
মনটা আবার হালকা হতে শুরু করলো তার। ক'দিন আগে কেনা গীটারটা নিয়ে ঘর থেকে বের হলো সে, ছাদে যাবে। আজ তার খুব গান গাইতে ও শোনাতে ইচ্ছা করছে। কিন্তু গীটার যে সে একদম ই বাজাতে পারে না।