পুরানো ডায়রী থেকে তুলে দিচ্ছি (আমি তখন ফার্স ইয়ার অনার্স ফাইনাল পরিক্ষা দিয়েছি)
রত্না বলল, ফাহমিদার আসতে দেরী হবে। এরপর আমরা বসলাম বাজারের লিস্ট তৈরি করতে। রত্না বলল ও গত সাড়ে চার মাস যাবত কোন রান্না করেনি, তাই ওর ঘরে কিছু নেই। এমন কি লবন পর্যন্ত নেই। এসব আলোচনা যখন চলছিল, তখন ফাহমিদা আসল। ফাহমিদা রত্নার হাড়ি, পাতিল, কড়াই এসব দেখে বলল, অনেক দিনের ময়লা জমেছে। এসব সহজে পরিস্কার হবে না। এরচেয়ে ফাহমিদা নিজের ঘর থেকে (অনার্স বিল্ডিংয়ের চার তলায়) হাড়ি পাতিল নিয়ে আসবে। আমি বললাম, গেলে তাড়াতাড়ি যাও, তাড়াতাড়ি রান্না শুরু হবে। ও বলল, আচারের বৈয়ামও নিয়ে আসবে।
এরপর বেশির ভাগ জিনিস পত্র হলের ভিতরের দোকান থেকে কেনা হলো। বাকিটা নিউমার্কেট থেকে আনা হলো। সুমি আর ফাহমিদা মার্কেটে গিয়েছিল। ওরা দুজন মিলে রত্নার জম্নদিন উপলক্ষ্যে ওকে একটা কানের দুল, সুমি আমাদের বাকি তিনজনের জন্য একরকম কানের টব আর রত্নার রুমমেট মুন্নী আপার জন্য ফুলকপি নিয়ে আসল। অবশ্য ওদের মার্কেটে যাবার সময় ফুলকপি আনার কথা মন্নী আপা নিজেই বলে দিয়েছিলেন। দাম ছিল ৮টাকা। এটা উনি পরে দিয়ে দিয়েছিলেন।
রান্না মূলত: করলো সুমি, সাথে ফাহমিদাও সাহায্য করেছিল। রত্না অন্যান্য টুকিটাকি কাজ করে দিল। আমি একটা পিড়ির উপর বসে ওদের খবরদারী করলাম। অবশ্য ওরা বার বার আমাকে মুখে ধমক আর চোখ দিয়ে ভস্ম করতে চাচ্ছিল। কিন্তু আমি কাজে হাত দিলাম না। তবে রান্না শেষ হবার পর বারান্দাটা আমিই ঝাড়ু দিলাম। নোংরা রেখে দেয়ার মানে হয় না।
খাবারের মেনু ছিল:
১) ভাজি ভাত
২) ডিম ভাজা
৩) আলু আর বেগুন ভর্তা
৪) আমের আচার
সবশেষে মুন্নী আপা চা বানিয়ে খাইয়েছিলেন। রান্না সত্যি ভাল হয়েছিল। সুমি জানালো এই একটা রান্নাই সে জানে।
(চলবে)
আলোচিত ব্লগ
=বেনারসী রঙে সাজিয়ে দিলাম চায়ের আসর=
©কাজী ফাতেমা ছবি
মনে কি পড়ে সেই স্মৃতিময় সময়, সেই লাজুক লাজুক দিন,
যেদিন তুমি আমি ভেবেছিলাম এ আমাদের সুদিন,
আহা খয়েরী চা রঙা টিপ কপালে, বউ সাজানো ক্ষণ,
এমন রঙবাহারী আসর,সাজিয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিজ্ঞানময় গ্রন্থ!
একটু আগে জনৈক ব্লগারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, কমেন্ট করার পর দেখি বেশ বড় একটি কমেন্ট হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম জনস্বার্থে কমেন্ট'টি পোস্ট আকারে শেয়ার করি :-P । তাছাড়া বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন
অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২০২৪-৪
চলে যাবার দিন ঘনিয়ে আসছিলো। ফুরিয়ে আসছিলো ছুটি। ছোট থেকেই দুদিনের জন্য কোথাও গেলেও ফিরে আসার সময় মানে বিদায় বেলা আমার কাছে বড়ই বেদনাদায়ক। সেদিন চ্যাটসউডের স্ট্রিট ফুড... ...বাকিটুকু পড়ুন
আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?
ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমার ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসের নায়িকাকে একদিন দেখতে গেলাম
যে মেয়েকে নিয়ে ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসটি লিখেছিলাম, তার নাম ভুলে গেছি। এ গল্প শেষ করার আগে তার নাম মনে পড়বে কিনা জানি না। গল্পের খাতিরে ওর নাম ‘অ’ ধরে নিচ্ছি।