সমুদ্দুরের গুপ্তখালে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা অনেক পুরনো দিনের ব্যাপার । অথচ এটিকে কিছুটা হলেও বন্ধ করা যায় । সদিচ্ছার অভাবে এই করুন ঘটনা ঘটছে অহরহ । একটি রেসকিউ টিম আছে কিন্তু তারা অপারগ এই মৃত্যুমুখী বাধাহীন ছেলেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে । কেন ভাটায় সমুদ্দুরে নামতে হবে? এরা যাবার সময় মা বাবার অনুমতি নিয়েছিল ? আমি নিশ্চিত এরা সাতার জানে না । সমুদ্দুরে যারা অহরহ কাজকর্ম করে ও মাছ ধরার পেশায় নিযুক্ত তারা যেকোনো পরিস্থিতিতে বেচে থাকে । যারা নতুন তাদের জন্য মনে হয়না কোন উপদেশ , আদেশ, নির্দেশ দেওয়ার কেঁউ আছে । জী হ্যা, সাইন বোর্ড আছে কিন্তু যে সরঞ্জাম সাতার না জানা লোকেদের জন্য উপযোগী তার ব্যাবস্থা আছে বলে আমার জানা নেই । একটু আগে এন টি ভিতে টেকনাফে কিছু নৌকাকে দেখা গেল সমুদ্রে যাচ্ছে কিন্তু তাদের কাছে একটি নুন্যতম লাইফ বয়া পর্যন্ত নেই । কেন ? জবাব দেবার কেঁউ নেই । রাস্তায় দামী বাস দিয়ে ভরছে কিন্তু কয়েক হাজার ভেসে থাকার সরঞ্জামতো দেওয়া যায় ওখানের বেকার যুবকদের । তারা এটা ভাড়া দেবে এবং গাইড হিসাবে কাজ করবে । কেউই কিন্তু বিপদ মুক্ত নয় যখন উচু ঢেউ আছড়ে পড়ে তীরে । কঠিন সাতারুর নাকে মুখে পানি ঢুকে অসুস্থ এবং জ্ঞ্যান হারিয়ে মৃত্যুবরণ । এই হেল্প টিম কোথায় নতুন খাড়ি বা গুপ্ত খাল আছে সেখানে লাল পতাকা টানিয়ে দেবে । ওখানে নামাই নিষিদ্ধ । জোর করলে পুলিশে তুলে দেবে । আমি কিছু ছবি দিচ্ছি যা খুব কাজে দেয় অল্প পানিতে সাতার নাজানা লোকেদের জন্য । আমি একজন সাতারু ছিলাম কিন্তু সমুদ্দুরের উচু ঢেউয়ের সাথে একবার মাত্র মাস্তানি করতে গিয়ে প্রায় ধরা খেয়েছিলাম । আমার কাছেই একটা ভাসমান বাতাস ভর্তি বেড ছিল ওটা ধরে মুখ লুকিয়ে ভেসে ছিলাম । দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত করার আগেই আমার স্ত্রী ও অন্যান্য ভিন দেশের সহপাঠিরা আমার বেড টেনে দ্রুত তীরে এনেছিল । আমি গলা পানিতে দাড়িয়ে ছিলাম আর যারা আমায় উদ্ধার করল তারা অনেকেই সাতার জানে না । ঢেউয়ের আঘাতে আমি কিছুটা হলে তীরের দিকে চলে এসেছিলাম । মনে রাখবেন নাকমুখে পানি ঢুকে গেলে কোন কৌশল কাজে দেয়না । আশা করি সবাই সতর্ক হবেন এবং আমাদের অতি ঢেউ প্রবন সমুদ্দুরে সাবধানে বিচরন করবেন । চিকন প্লাস্টিক দড়ি রাখুন তীরে । ভাটায় সমুদ্দুরে নামবেন না । অন্যকে এই উপদেশ শেয়ার করুন । আহসানউল্লাহ বিশ্ব বিদ্যালয়ের অভাগা তরুনদের পরিবারকে সমবেদনা ।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:০৩