আই এস আই এস ইরাকি শহর মসুলের সব নারী ও কন্যা শিশুদের জন্য খৎনা বাধ্যতা মুলক করে ফতোয়া জারি করেছে।সুন্নি মুসলিম অধ্যুষিত ইরাকের এই এলাকায় এ ধরনের প্রচলন কখনোই ছিল না। প্রায় চল্লিশ লাখ মহিলা ও বালিকা এই আদেশের শিকার হবে। নারীদের খৎনা আফ্রিকাতে একটি স্বাভাবিক বিষয় । জাতিসংঘের ইরাক প্রতিনিধি জেনেভাকে এ খবর জানিয়ে দিয়েছেন। এসব খৎনা অ্যানেস্থেশিয়া বা ব্যথা নাশক ছাড়াই করা হয় বলে এটি যন্ত্রনা দায়ক ও এদের অনেকেই সেপটিকজনিত কারনে মারা যান, সারা জীবন ধরে ভয়ঙ্কর স্মৃতি বয়ে বেড়ানো, মানসিক আঘাত তো আছেই সবচে বড় বিষয় হচ্ছে এইসব ভিকটিমরা তাদের যৌন স্পৃহা ও সঙ্গমকালীন আনন্দ হতে বঞ্চিত হন । এই বিষয়টি FGM নামেই বেশী প্রচলিত ।যেসব উপসর্গ দৃশ্যমান তা নিচে দেওয়া হল
তীব্র ব্যথা এবং শক
সংক্রমণ
প্রস্রাব ধরে রাখার অক্ষমতা
সন্নিহিত টিস্যু আঘাত
অবিলম্বে মারাত্মক রক্তক্ষরণ
দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব
বহিরাগত প্রজনন সিস্টেমের ব্যাপক ক্ষতি
জরায়ু, যোনি সংক্রমণ
সিস্ট এবং Neuromas
বর্ধিত ঝুঁকি Vesico যোনি ভগন্দর
গর্ভাবস্থা এবং সন্তানের জন্ম জটিলতা
মানসিক ক্ষতি
যৌন কর্মহীনতার
কুসুম সমস্যা
এই খৎনার বিষয়টি শুধু মুসলিমদের মধ্যে নয় তা ইহুদী, খ্রিষ্টান সম্প্রদায়, ছোট ছোট ভিন্ন বিশ্বাস ধারীদের মধ্যেও প্রচলিত। আমেরিকা,কানাডা, অস্ত্রেলিয়ার মত রাষ্ট্রে ক্ষুদ্র সম্প্রদায়ও এই প্রথা বজায় রেখেছে । জাতিসংঘের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করলেও আই এস আই এস এর অস্ত্রধারী যোদ্ধাদের কেউ এখনো কোন সাড়া দেয়নি ।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৮