আমাদের অতি পরিচিত দুইখানা মুখ।
কিছুদিন চলল বা এখনো চলছে মোটামুটিভাবে খালেদা জিয়ার সাজা, এই সাজা কি সঠিক বিচারে হয়েছে নাকি রাজনীতির দৃষ্টিতে? জামিন কেন ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে? ১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী মন্ত্রী হতে পারলে খালেদা জিয়া কেন জামিন পাবে না? টক-শো থেকে শুরু করে ব্লগ সর্বদা আমরা একই আলোচনা করে চলেছি। এরপর এল তারেক রহমান বির্তক, তাঁর নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠল, বেশ দুই দিন গা গরম করা বক্তব্য শুনলাম দুই দলের হেভিওয়েট নেতাদের কাছ থেকে। এখন চলছে ভারত পর্ব। আশা করি নতুন ইস্যু না পাওয়া পর্যন্ত এই ঠেলা-ঠেলি বক্তব্য আমরা শুনিয়া যাইব। কিন্তু এই সব তর্ক-বির্তক সাথে আমাদের আম-পাবলিকের কি লাভ লুকিয়ে আছে? হ্যাঁ আছে তবে তা অনেক বড় অংক কষে তারপর বের করতে হবে। কিন্তু সরাসরি আমাদের যেখানে লাভ তা নিয়ে কেন আমাদের রাজনীতিবিদরা তর্ক-বির্তক করছেন না।
এই ধরুন দুই দিন আগে প্রথম আলোয় একটা প্রতিবেদন দেখলাম মাত্র ১৫ মাস আগে হাত বদল হওয়া ইসলামী ব্যাংকের অবস্থা যায় যায়। ইতেমধ্যে আর্থিক সংকটে পড়েছে ব্যাংকটি। ১৫ মাসে আগে ব্যাংকটি ছিল জামায়াত মাউন্ডের নেতৃত্বে, এখন চেতনাধারীদের আন্ডারে। এখন প্রশ্ন উঠছে রাজাকাররা সুন্দরভাবে ব্যাংক চালাতে পারলে চেতনাধারীরা কেন ফ্লপ নাকি তারা লুট ছাড়া কিছু পারে না।
আপনি প্রশ্ন করতে পারেন- এখানে জনগনের কি লাভ। আমি বলছি না অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ইসলামী ব্যাংকটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বেসরকারী ব্যাংক এই ব্যাংকটি আর্থিক সংকটে পড়লে তা দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে যার কুফল সরাসরি জনগনের উপর বর্তাবে।
গত দুই দিনে আমি কোন রাজনীতিবিদরে কাছে এই নিয়ে একটুও আলোচনা শুনলাম না (হতে পারে কেউ করেছে তা আমার দৃষ্টিতে আসেনি, তবে কেউ করলে বড় মাপের কেউ হবে না)। নাকি এটা ক্ষমতার সিড়ি না বলে কেউ আলোচনা করার প্রয়োজনবোধ মনে করে না।
একটার পর একটা ব্যাংক লুট হচ্ছে, এভাবে চললে একদিন আমাদের অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়বে, আর অর্থনীতি চাকা অচল হয়ে গেলে সবচেয়ে মারাত্বক বিপদে পড়ব আমরা সাধারণ জনগণ। তাই আমাদের এখনি সচেতন হওয়া উচিত।
ইসলামী ব্যাংকের ঐ নিউজটা পড়ে আমার এক কলিগ মন্তব্য করেছিল- যে দলের কাছে কম্বল নিরাপদ নয়, তাদের কাছে এত বড় ব্যাংক নিরাপদ হয় কিভাবে?
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৪১