ব্লগে এক দল বুদ্ধিজীবি চায় বিএনপিকে ব্যান করা হোক, আর এই দলটির সদস্যরা মোটামুটি আকিদাগত দিক দিয়ে কমনিউজম ধারার বিশ্বাসী। এই দলের লোকজন এক সময় পশ্চিম বাংলা থেকে অবৈধ অস্ত্র এনে গ্রাম, শহরে সন্ত্রাস করে রাজনৈতিক ফায়দা নিতো, এখন আর সেই রমরমা অস্ত্রের ঝনঝনানি নেই তাই শত্রু হলেও ক্ষমতার লোভে আওয়ামলীগের পা চেটে কোনভাবে দিন পার করছে। এদের কোনকালে এই দেশে জনসমর্থন ছিল না যা দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়া যায়, রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার একমাত্র পথ ছিল অবৈধ পন্থায়। খালেদ মোশারফকের সামরিক অভ্যূথানের সময় তারা একটি সুবর্ণ সুযোগ পায়, সেনাবাহিনীতে জিয়াউর রহমানের জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে তারা জিয়াকে সামনে রেখে কর্নেল তাহেরের হাত ধরে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে চেয়েছিল, কিন্তু বুদ্ধিমান জিয়াউর রহমানের কারণে তাদের সেই স্বপ্ন চিরদিনের জন্য ভঙ্গ হয়। ক্ষমতার কাছ থেকে ফিরে আসা এই বামরা এখনো কষ্টে জ্বলছে। তাদের এখন একটায় টার্গেট জিয়াকে ভিলেন হিসাবে তুলে ধরা আর তার তৈরী করা দল নিচিহ্ন করা।
আসলে কি বিএনপিকে নিচিহ্ন করা সম্ভব?
রাজনৈতিকভাবে বিএনপিকে কোনভাবে নিচিহ্ন করা সম্ভব নয়, কারণ একটি দল টিকে থাকার জন্য যতগুলো শর্ত দরকার তা বিএনপির আছে, তবে হ্যাঁ রাজনৈতিক খেলায় হয়তো কোনঠাঁসা করে রাখা সম্ভব তবে বেশিদিন সম্ভব নয়।
১) বিএনপির প্রতিষ্টাতা জিয়াউর রহমান বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের বিশ্বাসী ছিলেন তিনি এই বার্তা জনগনের কাছে পেীঁছাতে পেরে ছিলেন, এ দেশের মানুষ তাঁর এই বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ধারণাকে স্বাগত জানিয়ে ছিল, এবং এদেশের উল্লেখযোগ্য মানুষ এই বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী, তাই এই দল নিচিহ্ন হওয়ার কোন সুযোগ নেই।
২) উপমহাদেশের আঞ্চলিক রাজনীতি বিএনপিকে টিকিয়ে রাখবে, আওয়ামলীগ ভারতপন্ত্রী রাজনৈতিক দল হিসাবে এ দেশে পরিচিত আর এদেশের উল্লেখযোগ্য লোক ভারত বিরূধী, তাঁরা ভারতের দাদগিরি পছন্দ করে না।
একটু ভিন্ন কথা বলি, আওয়ামলীগ আর বামদের অভিযোগ বিএনপি পাকিপন্থী, পাকিস্থানের সাথে তাদের অন্তরঙ্গ বন্ধত্ব। এটি এই দুগ্রুপের কমন অভিযোগ। আমি এখানে একটি ভিডিও দিচ্ছি, অনুগ্রহ করে শেষ পর্যন্ত দেখবেন তারপর আপনাদের মতামত জানাবেন।
কে প্রথম পাকিস্থানীদের সাথে অন্তরঙ্গ হয়েছিল, আর কারা জিন্দাবাদ স্লোগান দিত।
ভিডিওটি বিএনপি সমর্থক কর্তৃক সরাবরাহকৃত তাই সেখানে হালকা অতিরঞ্জিত আছে তবে মূল বিষয় স্পষ্ট।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:৫৬