দলের ভিতর শেখ হাসিনার চলমান শুদ্ধি অভিযান দেখে উপরের শিরোনামটি মনে পড়ল, ভাল কিছু করতে হলে আগে নৈতিক স্বচ্ছতা থাকতে হয় তাহলে মানুষ মন থেকে নিবে।
ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতা বহিস্কার! অভিযোগ চাঁদাবাজী, তাহলে তাঁরা জেলে না গিয়ে তাবলীগে কেন? দলীয় পদ থেকে সরিয়ে দিলে কি জনগণের টাকা হালাল হয়ে গেল তাদের?
ক্যাসিনো অভিযান!! দেশে গত এগার বছর ধরে সুশাসন চলছে, তাহলে প্রধানমন্ত্রীর সিগন্যাল ছাড়া কেন অভিযান শুরু হল না? এসব বাহিনী কি জনগণের জন্য নাকি আওয়ামীলীগের দলীয় কর্মী? দলের শুদ্ধি প্রয়োজনে অভিযান দেশের প্রয়োজনে কেন নয়?
হলমার্ক, শেয়ারবাজার, বাংলাদেশ ব্যাংক, রুপপুর, পর্দা কোথায় নেই অনিয়ম দূর্নীতি? তবুও একদল ঢোল পিটিয়েই যাচ্ছে দেশ এগুচ্ছে সাইক্লোন হ্যারিকেন এর গতিতে!!
আসলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র তখনই কল্যাণমুখী রাষ্ট্রে রুপ নিবে যখন গণতন্ত্র জীবিত থাকবে, জবাবদিহিতা থাকবে। মিডিনাইট নির্বাচনের মাধ্যমে এদেশের ভাগ্যের আকাশে কালোছায়া নেমে এসেছে। শুদ্ধি অভিযানে হয়তো শেখ হাসিনার দলীয় লাভ হবে, কিন্তু দেশের কিছু হবে না। দেশের জন্য শেখ হাসিনা কিছু করতে চাইলে তাকে আগে নৈতিক দিক দিয়ে ফেয়ার হয়ে আসতে হবে।