সাহিত্য পদক পাচ্ছেন সৈয়দ শামসুল হক।
সেরা লেখক সম্মাননা পাচ্ছেন আতা সরকার, নাসরীন জাহানসহ ৮ জন।
২৪ এপ্রিল উদ্বোধন পর্ব
সাহিত্যের আয়নায় জেগে উঠুক মানুষের মুখ - এই শ্লোগানকে ধারণ করে সৃজনশীল সাহিত্য চর্চার সাতটি বছর অতিক্রম করছে সাহিত্য বাজার। এই উপলক্ষে আগামি ২৪, ২৫ ও ২৬ এপ্রিল ২০১৪ যথাক্রমে বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার তিনদিনের সাহিত্য সম্মেলন ও বইমেলার আয়োজন করেছে সাহিত্য বাজার। ২৪ এপ্রিল বিকাল তিনটায় ময়মনসিংহ শহরের ব্রহ্মপুত্র নদ সংলগ্ন শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে এই সাহিত্য সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন সাংস্কৃতিক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর অথবা তার অবর্তমানে সদাশুভ্র কবি নির্মলেন্দু গুন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্তিত থাকবেন দেশবরেণ্য সাহিত্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ, ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক ও পৌর মেয়র ছাড়াও জেলার বিশিষ্ট জনেরা।
এর আগে সকাল ১০টায় বইমেলার উদ্বোধন করবেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় এর ভিসি মোহিত উল আলম। বইমেলার উদ্বোধন পর্বের সভাপতিত্ব করবেন জেলা প্রশাসক মুস্তাকীন বিল্রাহ ফারুকী।
সহিত্য বাজার পত্রিকার উপদেষ্টা নাট্যজন সারা যাকের অথবা তার অবর্তমানে ছড়াকার আমীরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বিকেল তিনটার সাহিত্য সম্মেলনের উদ্বোধন পর্বে প্রথমেই রয়েছে শ্রদ্ধা নিবেদন পর্ব। অধ্যাপক যতীন সরকার-এর পক্ষে তার পরিবারের সদস্য এবং প্রবীণ আবৃত্তিকার তারিক সালাউদ্দিন মাহমুদকে আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রদ্ধা ও ভালবাসা জানাবেন সাহিত্য বাজার উপদেষ্টা পর্ষদ। এ সময় তাদের হাতে সংবর্ধনা ক্রেস্ট ও সম্মাননা তুলে দেবেন মাননীয় মন্ত্রী/কবি নির্মলেন্দু গুন। সংবর্ধিত জনদের শুভেচ্ছা বক্তব্য শেষে সাহিত্য বাজার সাহিত্য পদক ২০১৪ সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের হাতে তুলে দেবেন সারা যাকের, আমীরুল ইসলাম ও নির্মলেন্দু গুন। এরপর একে একে সেরা লেখক সম্মাননা গ্রহণ করবেন গল্পে কথা সাহিত্যিক আতা সরকার ও নাসরীন জাহান, কবিতায় কবি শামসুল ফয়েজ ও ওমর কায়সার, শিশু সাহিত্যে ছড়াকার দীপংকর চক্রবর্তী ও ফরিদুর রেজা সাগর, সাহিত্য সমালোচনায় কবি আশীক চৌধুরী এবং আবৃত্তিকার মীর বরকত।
চ্যানেল আইয়ের সার্বিক সহযোগিতায় আয়োজিত এই উৎসবের তৃতীয় অধিবেশন শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। অর্থাৎ বাংলাদেশের সাহিত্যচর্চায় সাহিত্য পত্রিকার ভূমিকা বিষয়ে রাজশাহীর লিটল ম্যাগাজিন চিহ্ন এর সম্পাদক রহমান রাজুর লেখা প্রবন্ধ নিয়ে আলোচনা। এ পর্বের প্রধান অতিথি সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক এবং সভাপতিত্ব করবেন সাংবাদিক আবু সাঈদ খান। এতে বিশেষ অতিথি ও আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আতা সরকার, তপংকরর চক্রবর্তী, নাসরীন জাহান, রেজানূর রহমান, আনজীর লিটন প্রমূখ। সবশেষে সাংস্কৃতিক আয়োজন দিয়ে শেষ হবে প্রথম দিনের প্রথম উৎসব আয়োজন।
সাহিত্যের আয়নায় জেগে উঠুক মানুষের মুখ
সত্য আর সুন্দরের সন্ধানে এসো হই উন্মুখ।
ধর্ম-কর্ম বল কিম্বা আল্লাহ-ইশ্বর-ভগবান
বিশ্বজুড়ে যা কিছু সুন্দর সব সাহিত্যের অবদান।
উৎসব শ্লোগানটির পুরো কবিতাটিতেই সাহিত্যের জয়গান করেছেন কবি। এরই ধারাবাহিকতায় তৈরি হয়েছে থিমসং। তিনদিনের উৎসব ও সম্মেলনে চারটি বিষয়ে আলোচনা পর্ব ধার্য করা হয়েছে। প্রবন্ধ এসেছে রাজশাহী, যশোর, সিলেট, বরিশাল ও ময়মনসিংহ থেকে। প্রবন্ধকারদের তিনজন এখানে অনুপস্থিত তাই তাদের হয়ে পাঠ করছেন আবৃত্তিকার শাহাদাত হোসেন নীপু এবং সাংবাদিক ও সাহিত্যকর্মী স্বাধীন চৌধুরী ।
মূলত ১৪ এপ্রিল, অর্থাৎ পহেলা বৈশাখ ১৪১৪ বঙ্গাব্দে (১৪ এপ্রিল ২০০৭ ইং সালে) সাহিত্য বাজার পত্রিকাটির যাত্রা শুরু হয়েছিল। আনুষ্ঠানিক পত্রিকার প্রকাশনা নিয়মিত হয়েছিল ২০০৮ সালের ১৫ই জুন পহেলা আষাঢ় ১৪১৫ বঙ্গাব্দ। টানা দু’টিবছর ১৫টি সংখ্যার নিয়মিত প্রকাশনার পর আবারো অনিয়মিত হয়ে যায় পত্রিকাটির প্রকাশনা। এরপর কালেভদ্রে দু-একটি প্রকাশনার মাধ্যমে টিকে আছে সাহিত্য বাজার। ২০১২ সালে পত্রিকাটির পঞ্চমবর্ষে পদার্পন উপলক্ষে ঢাকার শাহবাগের কেন্দ্রিয় পাবলিক লাইব্রেরীর আঙ্গিনায় ৫দিনের সাহিত্য সম্মেলন ও বইমেলার আয়োজন করে পত্রিকাটি। এটাই প্রথম সাহিত্য উৎসব ও সম্মেলন। আলোচনাপর্ব সাজানো হয়েছিল পাঁচ জেলার ৫টি প্রবন্ধ নিয়ে বিশিষ্টজনদের আলোচনায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে। দেশের বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক এতে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় একটি উৎসব সংখ্যাসহ সাহিত্য বাজারের মোট প্রকাশনা ১৬টি।
ময়মনসিংহে সাহিত্য বাজার এর ২য় সাহিত্য সম্মেলন ও বইমেলার আয়োজন কেন? এর উত্তরে সম্পাদক আরিফ আহমেদ বলেন, ২০১২ সালের উৎসবের সমাপনী পর্বে সাহিত্য বাজারের পক্ষে কবি ড. মুহম্মদ সামাদ ও কবি আসলাম সানী ঘোষণা দিয়েছিলেন আগামি ২০১৪ সালে পত্রিকার সপ্তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎসব ও সম্মেলন হবে ঢাকার বাইরের কোনো জেলা শহরে। পরবর্তীতে আমাদের উপদেষ্টা পর্ষদ এটা ময়মনসিংহ শহরে করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এর প্রথম ও প্রধান কারণ, অধ্যাপক যতীন সরকার ও আবৃত্তিগুরু তারিক সালাউদ্দিন মাহমুদ। আমাদের উপদেষ্টা কবি আসাদ চৌদুরী, সারা যাকের ও আমীরুল ইসলাম মনে করেন, প্রবীণ সাহিত্যজন ও ব্যক্তিবর্গকে শ্রদ্ধা ও ভালাবাসা জানাতে সাহিত্য বাজার তাদের কাছে যাবে, তাদের কখনো ঢাকায় টেনে আনবে না। ২য় কারণ ময়মনসিংহ জেলার সাহিত্যচর্চার প্রতিবেদন নিয়েই তৈরি হয়েছিল আমাদের প্রথম বাণিজ্যিক সংখ্যাটি। আমাদের জেলায় জেলায় সাহিত্য বিভাগে একে একে খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট ও চট্টগ্রামকে আমরা তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছিলাম। এরই ধারাবাহিকতায় এই উৎসব আগামিতে বরিশাল, খুলনায় কিম্বা রাজশাহীতেও হতে পারে।
এই কথা রাখার চেষ্টায় স্বপ্ন ব্যাকুল সাহিত্য বাজার সম্পাদক আরো বলেন, বিশেষ করে আমি পত্রিকাটির সম্পাদক হিসেবে একবুক স্বপ্ন লালন করছি। এবারের উৎসবে আমার লেখকদের, যাদের আমি কোনো সম্মানী দিতে পারি না। তাদের কিছুটা হলেও সম্মান দেখাব। ছুটে গেলাম উপদেষ্টা পরিষদের কাছে। পত্রিকাটির উপদেষ্টা কবি আসাদ চৌধুরী, সারা যাকের এবং আমীরুল ইসলামের পরামর্শে এবারই প্রথম সাহিত্য বাজার সাহিত্য পদক প্রদানের স্বপ্ন তৈরি করে এই পদক গ্রহণের জন্য বিনীত অনুরোধ জাননো হয়েছে সব্যসাচী কবি সৈয়দ শামসুল হক’কে। তিনি এই পদক গ্রহণে সম্মতি প্রদান করে আসলে আমাদেরই ঋণি করলেন। ধন্যবাদ সৈয়দ শামসুল হক। ধন্যবাদ আতা সরকার, নাসরীন জাহান, দীপঙ্কর চক্রবর্তী, ফরিদুর রেজা সাগর আপনাদের সবাইকে যারা এই উৎসবে এসে সম্মাননা গ্রহণ করে আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সুযোগ দিলেন শামসুল ফয়েজ, মীর বরকত, আশিক চৌধুরী ও ওমর কায়সার আপনাদের প্রত্যেকের কাছ অসংখ্য কৃতজ্ঞতা আমাদের।
তিনদিনের এই উৎসব ও সম্মেলনে ঢাকার শিল্পৌষী ও ছোটকাকু সিরিজের স্টলসহ স্থানীয় ১০টি প্রকাশনী বইমেলায় অংশগ্রহণ করছে।
তিনদিনের মোট ছয়টি বিষয়ে আলোচনা পর্ব ধার্য হয়েছে।
২য় দিনের আলোচনার বিষয় দুটি। বাংলাদেশের শিশু সাহিত্য: বর্তমান ও ভবিষ্যত শীর্ষক প্রবন্ধ নিয়ে বরিশালের সাহিত্যজন অধ্যক্ষ তপঙ্কর চক্রবর্তীর এ আলোচনা পর্বের সূচনা করবেন। এত প্রধান অতিথি শিশু সাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগর এবং সভাপতিত্ব করবেন সাহিত্য বাজার-এর উপদেষ্টা ছড়াকার আমীরুল ইসলাম। কবি আসলাম সানী, রেজাউদ্দিন স্টালিন, আনজীর লিটন, গোলাম কিবরিয়া পিনু প্রমূখ এতে আলোচক থাকবেন।
কবিতার আধুনিকায়নের দুর্বোধ্যতায় কমে যাচ্ছে পাঠক যশোরের মধুসূদন একাডেমির অধ্যক্ষ খসরু পারভেজ এর প্রবন্ধ উপস্থাপন করছেন কবি ও আবৃত্তিকার শাহাদাত হোসেন নীপু। সাহিত্য বাজারের উপদেষ্টা কবি আসাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ পর্বের সম্ভাব্য প্রধান অতিথি কবি নির্মলেন্দু গুণ (তিনি উপস্থিত না হওয়া পর্যন্ত কবি সম্ভাব্য লিখতে বলেছেন।)
৩য় ও শেষ দিনের আলোচনার ৫ম বিষয় আবৃত্তিগুরু তারিক সালাউদ্দিন মাহমুদ এর প্রবন্ধ পালে লাগবে হাওয়া পাঠ করবেন তার মেয়ে সংহিতা বহ্নি। এ পর্বের প্রধান অতিথি কামরুল হাসান মঞ্জু এবং সভাপতি কবি আসাদ চৌধুরী। আলোচক হিসেবে থাকবেন আহকামউল্লাহ অমল, ফয়জুল আলম পাপ্পু প্রমূখ। বিকালে বাংলাদেশের গল্প পর্যালোচনা বিষয়ে প্রশান্ত মৃধার প্রবন্ধ নিয়ে আলোচনা করবেন বিশিষ্টজনরা।
উৎসব সমন্বয়ক স্বাধীন চৌধুরী এ সময় ময়মনসিংহ থেকে অংশগ্রহণকারী বিশেষ অতিথি ও আলোচকদেও নাম জানান।
সাহিত্য বাজার সাহিত্য উৎসব উদযাপন পর্ষদ-২০১৪ ময়মনসিংহ
অধ্যাপক প্রদীপ কুমার বিশ্বাস, মীর মোঃ রেজাউল করিম, ধ্র“ব জ্যোতি ঘোষ মুকুল, শামসুল ফয়েজ, মতেন্দ্র মানখিন, এস কে অপু, জেমস জর্নেশ চিরান, সালিম হাসান, এ্যাডভোকেট ইমদাদুল হক সেলিম, প্রফেসর আলী ইদ্রিস, সোহরাব পাশা, যুগল দাস, মামুন মাহফুজ, মাহমুদ আল মামুন, স্বপন ধর, আলী আহাম্মদ আইয়ুর, আমজাদ দোলন, শাহীদা হোসেন রীনা, আশিক চৌধুরী, আনোয়ারা সুলতানা, ড. সিরাজুল ইসলাম, থিওফিল নকরেক, আব্দুল কাদের চৌধুরী মুন্না, সরকার আজিজ, মফিজুন নূর খোকা, মোস্তাক বিবাগী, সুহৃদ জাহাঙ্গীর, দীলিপ সেন, নাজমা মমতাজ, মাসুম মোকাররম, তপন বর্মন, চয়ন বিকাশ ভদ্র, আলী ইউসুফ, সজল কোরায়শী, তামান্না কদর, কাজী নাসির মামুন, সুমন হাবিব, শাহ মোহাম্মদ রনি, জয়দেব সাহা, এহসান হাবীব, মোস্তফা তারেক, মাহমুদ মিলন, সহিদ আমিনী রুমী, রোকন পাঠান, কামরান পারভেজ, কামাল মুহাম্মদ, ইদ্্িরস কাজল, আলপনা বেগম, শরৎ সেলিম, আবুল মনসুর, এস বি রনি, বেলাল হোসেন প্্রান্ত, এসডি. আবাদী সরকার,তফাজ্জল হক, শামীম আশরাফ।
উপদেষ্টাদের বক্তব্য
সাহিত্য বাজার উপদেষ্টা কবি আসাদ চৌধুরী তার নিজ বাসভবনে প্রদত্ত সাাতে জানান, এটাতো অনেক বড় মাপের একটি কাজ হবে। ঢাকায় ভিড় না করে ময়মনসিংহে উৎসব করাটা একটি সৎ ও পরিশীলিত চিন্তা। এতে সাহিত্যমনা তৈরি ও বইয়ের পাঠক বৃদ্ধিতে সহায়ক একটি কাজ হবে। সঙ্গে সাহিত্য বাজার- এম জাহিন সাহিত্য পদক যুক্ত হলে আর কবি সৈয়দ শামসুল হক এই পদক গ্রহণ করলে আমরা খুবই আনন্দিত হব।
সাহিত্য বাজার উপদেষ্টা সারা যাকের বলেন, আতা সরকার, নাসরীন জাহান, শামসুল ফয়েজ খুবই চমৎকার বাছাই। সাহিত্য বাজার এবারই প্রথম সাহিত্য পদক দিচ্ছে, প্রথম পদকটি প্রদানের বাছাইয়ে সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সুযোগ দিয়েছেন এটাই বড় কথা। সেই সাথে অধ্যাপক যতীন সরকার ও তারিক সালাউদ্দিন মাহমুদ-এর মত সম্মানীতজনকে শ্রদ্ধা জানাতে পারাটা আমাদের ভাগ্য বলতে হবে। সকলের অংশগ্রহণে সবকিছু সুন্দর হোক এটাই প্রত্যাশা।
সাহিত্য বাজার উপদেষ্টা ছড়াকার আমীরুল ইসলাম বলেন, সব ভালো তার, শেষ ভালো যার। এখন পর্যন্ত আমাদের সবকিছুই খুব সুন্দর ভাবে এগোচ্ছে। পরিকল্পনা অনুযায়ি সারাদেশের কবি-সাহিত্যিকরা এখানে অংশ নিচ্ছেন। অধ্যাপক যতীন সরকার, তারিক সালাউদ্দিন মাহমুদ, সাংস্কৃতিক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, ফরিদুর রেজা সাগর এতে যুক্ত হলে এটা জাতীয় মানের একটি উৎসবে পরিণত হবে। কিন্তু স্পন্সর ছাড়া একটি উৎসবকে সার্থক করে তোলা খুবই কষ্টকর। সাহিত্যমনা ব্যক্তিবর্গ ও প্রতিষ্ঠান যদি আমাদের এই উৎসবে একাত্মতা ঘোষণা করতেন এবং সাহিত্য বাজারের এই চেষ্টাকে এগিয়ে নিতে সাহায্য কেেতন তাহলে সত্যিকারের সাহিত্য সেবা হতো, এ উৎসব আরো ব্যাপক হত। কিন্তু কোনো স্পন্সর এলোনা। আরিফ ছুটছে! পদে পদে এসএমএস দিয়ে জানাচ্ছে ওর প্রতিটি মুভমেন্ট। উৎসব কমিটি গঠন, গীতিকবি শহীদুল্লাহ ফরায়জী, কবি এএফ আকরাম হোসেন, কবি ইয়াজদানী কোরায়শী কাজল ও স্বাধীন চৌধুরী এতে যুক্ত হলেন। আপনাদের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের যুক্ত হবার কারণেই সাহিত্য বাজার এ যাত্রা রক্ষা পেল আর আরিফ আহমেদ এর আন্তরিকতা ও সরলতায় আমরাও জড়িয়ে গেলাম আকণ্ঠ সাহিত্য উম্মাদনায়।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৪৯