জুতার সাথে দেশ-প্রেম অথবা চেতনার কোন সম্পর্ক নাই। জুতা ছাড়া অথবা জুতা সহ নামাজেরও বিধান আছে। যেই গঙ্গায় স্নান করে শুদ্ধ হয় সেই গঙ্গার পানিতে শৌচ-কর্মও সম্পাদিত হয়! যে গরুকে সারাজীবন দেবতা মানে সেই গরুর চামড়ার তৈরী জুতা পরা যায়। বুঝা যাচ্ছে, সম্মান-শ্রদ্ধার ধারণাটা আপেক্ষিক।
"জুতা পড়া পা এবং খালি পা এই দুইয়ের মাঝে শ্রদ্ধাটা কোথায় থাকে! জুতা পড়লে শ্রদ্ধা-সম্মান কমে যাবে,আমাদের উপমহাদেশে এই ধারণাটা সৃষ্টি হল কেন? জুতার তলায় ময়লা থাকে বলে? জুতার তলায় যত জীবানু অথবা ময়লা থাকে মানুষের আণ্ডারওয়্যারে থাকে তারচেয়ে কয়রকগুন বেশী ময়লা বা জীবানু। সে যুক্তিতে শ্রদ্ধা দেখাতে আণ্ডারওয়্যারও খুলে ফেলতে হবে!
আরেকটা কারণ মনে এল। অতীতে আমাদের এই উপমহাদেশের জমিদার কিংবা রাজা-বাদশাহরা খুব অহংকারী ছিল। তাদের অহংকার এতই বেশী ছিল যে তাঁরা মনে করত সাধারণ প্রজারা যদি জুতা পায়ে ভদ্র সেজে তাদের সামনে যায় তাহলে তাদের আর ওদের মধ্যকার পার্থক্যটা ঘুঁচে যেতে থাকবে। তাঁরা সাধারণের জন্য জুতা নিষিদ্ধ করল। রাজাকে সম্মান দিতে প্রজারাও রাজার সামনে জুতা পরে যেতনা। যদি সেই অভ্যাস থেকে হয়ে থাকে তাহলে এই ধারণাটা আরো আগে বদলাতে হবে।
পায়ের তলায় অথবা জুতায় চেতনা থাকেনারে পাগলা। চেতনা থাকে মনে-হৃদয়ে-মগজে!
খবরঃ কোন একজন এমপি না মন্ত্রী নাকি শহীদ মিনারে জুতা পায়ে উঠে পড়েছে। এই নিয়ে অনলাইনে তুল-কালাম।
এটা নিয়ে এত মাতা-মাতির কি আছে বুঝলাম না। এরচেয়ে হাজারগুন অপরাধ-দুর্নীতি চোখের সামনে ঘটে যাচ্ছে, সেগুলো নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে একেকজন চেতনার রক্ষার ঠিকাদারী পেয়ে বসে আছে।