মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে বিশ্বের প্রথম রাষ্ট্র হিসেবে ইরানই ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে বলে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ভেটেরানস টুডে'র সম্পাদক ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার জিম ডাব্লিউ ডিন।
ইরানই বিশ্বের একমাত্র প্রথম রাষ্ট্র যেটি সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে মার্কিন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার সাহস দেখিয়েছে।
মার্কিন কর্মকর্তাদের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে বাস্তবে কোনো লক্ষ্য হয়ত অর্জিত হবে না তবে বিশ্ববাসীকে এটা দেখানো গেছে যে, সন্ত্রাসীদেরকে কারা আসলে মদদ ও সহযোগিতা দিয়ে আসছে।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ইরানি জনগণ ব্যাপক ও বিস্তৃত পদক্ষেপ নিয়েছে। ইরানের সংসদের গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান কাজেম জালালি এক সাক্ষাতকারে মার্কিন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মোকাবেলায় সংসদে পাস হওয়া প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, "এতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা বাড়াতে ২৬ কোটি ডলার এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার জন্য আইআরজিসি'র কুদস বিগ্রেডকে আরো ২৬ কোটি ডলার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।"
গত ৭ই জুন ইরান সিরিয়ায় দায়েশ সন্ত্রাসীদের অবস্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে প্রমাণ করেছে, সন্ত্রাসীদের ইরান কোনো ছাড় দেবে না। এরই আলোকে ইরানের সংসদও ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি আরো শক্তিশালী করার জন্য বাজেট বরাদ্দ দিয়েছে।
কিছুদিন পূর্বে রাশিয়া তাদের দেশ থেকে ৭৫৫ জন মার্কিন কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে সন্ত্রাসী তৎপরতায় লিপ্ত থাকার অভিযোগে। এছাড়াও সম্প্রতি চীন-রাশিয়া মার্কিন নেতৃত্ব ন্যাটো বিরোধী জোট গঠন করতে তাদের মধ্যে আলোচনা শুরু করেছে। এছাড়াও সিরিয়া ইস্যুতে ইরান-রাশিয়া-তুরস্ক যেখানে যৌথ ভাবে কাজ করছে সঙ্কট নিরাসনে সেখানেও অ্যামেরিকাকে আমন্ত্রণ জানানো হয় নাই।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:১৩