অভিযোগ গুলো সবই প্রধান বিচারপতি হবার আগে সংগঠিত। অভিযোগ গুলোর মধ্যে দুদকের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগও রয়েছে। রয়েছে বিচারধীন মামলায় পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগ, পক্ষপাতমূলকভাবে জামিন দেওয়ার অভিযোগ।
দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এর মধ্যে কয়েকটি অভিযোগ সুনির্দিষ্ট আর্থিক লেনদেন বিষয়ে। দেশের প্রধান বিচারপতি বিরুদ্ধে এরকম তদন্ত কতটা আইনসম্মত জানতে চাইলে দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ‘একমাত্র মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে সংবিধান দায়মুক্তি দিয়েছে। আর কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে তা তদন্ত করা আমাদের আইনগত দায়িত্ব।’ তবে এ ধরনের ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে যে সব আইনি প্রক্রিয়া তা পুর্বানুমতি নিতে হয়, তা গ্রহণ করেই দুদক এগুবে বলে জানা গেছে।
গত কয়েকদিন ধরে সরকারের বিভিন্ন পক্ষ থেকে প্রধানবিচারপতিকে পদত্যাগ করতে বলা হচ্ছে। এখন সম্ভাবত প্রধানবিচারপতি যদি পদত্যাগ না করে তবে তাকে দুর্নীতির দায় দিয়ে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। কিন্তু প্রস্ন থেকে যায় একজন দুর্নীতিবাজ(যদি অভিযোগগুলো আসলেই সত্যি হয়) লোককে প্রধান বিচারপতি করবার জন্য যারা তার সুপারিশ করেছে ও যিনি নিয়োগ দিয়েছেন তারা কি দুর্নীতিমুক্ত??
তারাও যদি দুর্নীতিবান হয়ে থাকেন তাহলে তাদেরও কি বিচার হওয়া উচিৎ না??
যত দিন পর্যন্ত প্রধানবিচারপতি সরকারের পক্ষে রায় দিয়েছেন তত দিন তিনি কি সৎ ছিলেন?? সরকারকে অপরিপক্ক বলতেই কি তিনি অসৎ হয়ে গেলেন?? তবে এটা এখন নিশ্চিত প্রধানবিচারপতি যদি এবারের চালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে পারেন তবে তিনি বাংলাদেশের প্রথম সংখ্যালঘু প্রেসিডেন্ট হবেন। এক সময় দাদাবাবুরা বলেছিলেন তাদের দেশে মুসলিম প্রেসিডেন্ট হলে বাংলাদেশে কেন হিন্দু প্রেসিডেন্ট হবে না??
বিশ্বাস করিনি তখন। ৯০% মসুলমানদের দেশে কোন যুক্তিতে তাদের বাহিরে কেউ প্রেসিডেন্ট পদ পাবে? যেখানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম?? সংবিধানে বিসমিল্লাহ্ যুক্ত করা আছে!! তবে প্রথম মোহ ভেঙ্গেছিল যখন দেখলাম প্রধানবিচারপতির মত এত বড় সাংবিধানিক পদে বিচারপরি সিনহা সাহেবকে নিয়োগ দেওয়া হল। বিচারপতি হয়েই প্রথমে তিনি সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গনে গ্রীক দেবীর শাড়ি পরানো মূর্তি প্রতিষ্ঠা করলেন।
দেশব্যাপী তীব্র প্রতিবাদের মুখে অবশেষে গ্রীকদেবীর মূর্তি সরল কিন্তু ন্যায় প্রতিষ্ঠার লড়াইতে সম্ভাবত বিচারপতি নিজেকে সরালেন না !! একের পর এক সরকার বিরোধী বক্তিতা দিতে শুরু করলেন। আদালতের ভেতর ও বাহিরে দেশের সকল বিষয় নিয়ে তিনি ওছিয়ত দিতে শুরু করলেন। সর্বশেষ ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে সরকারের সাথে সরাসরি যুদ্ধ শুরু করেছেন তিনি। নিশ্চিতভাবেই যুদ্ধে জয় পেলে তার রাষ্ট্রপতি হওয়া নিশ্চিত, আর হেরে গেলে দাদারাতো আছেনই!!
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৩২