somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে কিভাবে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান পরিচালিত হয়?

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের রাজনৈতিক কাঠামো অনেকের কাছেই দুর্বোধ্য। যেখানে গনতন্ত্রীক ভাবে ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনা করে হয়। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র আবার ইসলামী শাসন বিষয়টি অনেকের কাছেই খটকা লাগে।

তাহলে চলুন জেনে নেই কিভাবে জনগনের দ্বারা ইসলামী রাষ্ট্র ইরান পরিচালিত হয়ে আসছে। সারা বিশ্বের মধ্যে একটা স্বাতন্ত্র্য রাষ্ট্র পরিচালনার বাবস্থা দিয়ে গেছেন ইরানের বিপ্লবের নেতা মরহুম ইমাম খোমেনী।


**১. ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট:
রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ। সরকারের নির্বাহী বিভাগ পরিচালনার জন্য জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন। টানা চার বছর প্রেসিডেন্ট পদে থাকতে পারেন, সর্বোচ্চ মোট ৮ বছর (যদি পুনঃনির্বাচিত হন)।


**২. ইসলামী মজলিসে শুরা (মজলিস/পার্লামেন্ট):
জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্যগণ আইন প্রণয়ন ও আইন সংশোধন করেন।


**৩. গ্রাম/শহর কাউন্সিল:
জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে কাউন্সিলরগণ নির্বাচিত হন; এরপর কাউন্সিলরগণ মেয়র ও গভর্নর নির্বাচিত করেন।
........................................................................................
এটুকু পর্যন্ত আমরা সবাই-ই পরিচিত। কেননা, আমাদের দেশেও এমপি ইলেকশান হয়, কাউন্সিলর ইলেকশান হয়। বিশ্বের বহু দেশে প্রেসিডেন্ট ইলেকশান হয়।
তবে একটা লক্ষ্যনীয় ব্যাপার হলো, দলীয় পদ্ধতির বিশেষ কোনো মর্যাদা এখানে নাই। স্বতন্ত্র্য প্রার্থীর মত করেই এমপিরা ইলেকশানে দাঁড়ান। অতএব, ধানের শীষ/ নৌকা/ নামে কলা গাছ দাঁড় করিয়ে দিলেও যে সে এমপি হয়ে যায় -- এমনটা ঘটা সম্ভব না। জনগণ মার্কা দেখে না, ব্যক্তিকে যাচাই করে নির্বাচিত করে। অতএব, জনগণের মতামত অনেক বেশি প্রতিফলিত হয় এমপিদের মধ্যদিয়ে।

দ্বিতীয় ব্যাপার হলো, প্রেসিডেন্টকে (ক্ষমতার দিক থেকে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী পদের সমান) নির্বাচিত করে জনগণ সরাসরি ভোট দিয়ে। এর সাথে এমপিদের কোনো সম্পর্ক নাই। অতএব, যে ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট হবে, তাকে যোগ্য হতে হবে, জনগণের সামনে নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করতে হবে। আমাদের দেশের মত সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগ/ বিএনপির দুইজনের একজনই হবে বিষয়টি এমন নয়। অতএব, জনগণের মতামত অনেকটাই বেশি প্রতিফলিত হয় প্রেসিডেন্টের মধ্যদিয়েও, এবং এমপিদের মধ্যদিয়েও।

এ পর্যন্ত মোটামুটি বোঝা গেলেও, জটিলতা/বিশেষত্ব শুরু হয় এরপর থেকে। জনগণ কেবল তিন ধরণের ব্যক্তিকে (প্রেসিডেন্ট, এমপি, কাউন্সিলর) নির্বাচিত করে না, আরো একটি নির্বাচনে জনগণ ভোট দেয়। পছন্দের প্রার্থী নির্বাচিত করে। আর সেটা হলো:


**৪.বিশেষজ্ঞ পরিষদ:
জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত ফকীহগণের (মুজতাহিদ আলেম) দায়িত্ব হলো সর্বোচ্চ নেতা রাহবারকে নির্বাচিত করা ও রাহবারের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করা।

তো, রাহবারের(সর্বচ্চ নেতা) কাজ তাহলে কী?
ইংলিসে লেখা হয় Supreme Leader, ইরানিরা বলে রাহবার, বাংলায় বলা সর্বোচ্চ নেতা। পদবী থেকেই বোঝা যাচ্ছে, প্রেসিডেন্ট, এমপি-মন্ত্রী, সেনাপ্রধান, আদালত... সবার উপরে যিনি, তিনিই সর্বোচ্চ নেতা। রাষ্ট্রের আর সবার উপরে তাঁর ক্ষমতা।


**৫. সর্বোচ্চ নেতা (রাহবার):
রাহবার তথা সর্বোচ্চ নেতার পদ হলো দেশের সর্বোচ্চ ধর্মীয় ও রাজনৈতিক পদ, যিনি রাষ্ট্রের মূলনীতি নির্ধারণ করেন এবং সরকারের তিনটি অঙ্গকে দিকনির্দেশনা দেন।

রাষ্ট্রের আর সবার উপরে তাঁর ক্ষমতা, তিনি যদি খারাপ হন? তাহলে? এখানেই বিশেষজ্ঞ পরিষদের কাজ। তাঁরা সর্বদা রাহবারের নৈতিক চরিত্র, বুদ্ধিবৃত্তিক ও শারীরিক সক্ষমতার দিকে নজর রাখেন এবং যদি কখনো দেখেন যে তিনি রাহবারের গুরুদায়িত্ব পালনে অক্ষম/অযোগ্য হয়ে পড়েছেন, সাথে সাথে তাঁকে পদচ্যুত করে নতুন রাহবার নিয়োগ দেবেন বিশেষজ্ঞ পরিষদ।
অতএব, বিশেষজ্ঞ পরিষদ সরাসরি তেমন কোনো পাওয়ার প্র্যাকটিস না করলেও সর্বোচ্চ পাওয়ারফুল নেতাকে নিয়োগ/ বরখাস্ত করতে পারেন। একটা হলো প্যাসিভ সুপ্রিম পাওয়ার। আর রাহবারের পদ হলো অ্যাকটিভ সুপ্রিম পাওয়ার।
বোঝাই যাচ্ছে, এটা খুবই সেনসিটিভ জায়গায়। এখানে চেকিং দেয়ার উপায় কী? সেটা নিয়ে একটু পরে আলোচনা করছি। আগে রাষ্ট্রের বাকী অঙ্গগুলো দেখে নিই:
...........................................................................................
**৬. সর্বোচ্চ নেতার উপদেষ্টামণ্ডলী:
পররাষ্ট্রনীতি, সংস্কৃতি ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে সর্বোচ্চ নেতাকে পরামর্শ দেন।

**৭. অভিভাবক পরিষদ:
১২ সদস্যবিশিষ্ট অভিভাক পরিষদের ৬ জন ফকিহ (মুজতাহিদ আলেম)-কে নিয়োগ দেন সর্বোচ্চ নেতা, অপর ৬ জন আইন বিশেষজ্ঞকে নিয়োগ দেয় পার্লামেন্ট। অভিভাবক পরিষদের কাজ প্রেসিডেন্ট পদ প্রার্থীদের যোগ্যতা যাচাই করা।

**৮. বিচার বিভাগ:
সর্বোচ্চ নেতা (রাহবার) বিচার বিভাগের চেয়ারম্যানকে নিয়োগ দেন, যার দায়িত্ব হলো বিচার মন্ত্রণালয়ের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা। সরকারের বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগের মাঝে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করে বিচার মন্ত্রণালয়।

**৯. ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সশস্ত্র বাহিনী:
সশস্ত্র বাহিনীগুলোর কমান্ডার-ইন-চিফ হলেন রাহবার (সর্বোচ্চ নেতা)।
তিনি বিভিন্ন সশস্ত্র বাহিনীর (আইআরজিসি, আর্মি ও পুলিশের) কমান্ডার নিয়োগ দেন।

**১০. মন্ত্রী পরিষদ:
প্রেসিডেন্ট মন্ত্রী নিয়োগ দেন। তবে প্রেসিডেন্টের মনোনীত প্রার্থীদেরকে আগে সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ-সদস্যের হাঁ-ভোট পেতে হয়। এখানে একটা লক্ষ্যনীয় ব্যাপার হলো, আমাদের দেশে দলের ভিতরে অযোগ্য লোক পার্টি পলিটিক্স করে মন্ত্রী হয়ে যায়, ইরানে সেটার সুযোগ নেই। প্রেসিডেন্ট চাইলে কোনো প্রফেসর/ এক্সপার্টকে মন্ত্রী হিসেবে সাজেস্ট করেন, অধিকাংস সংসদ সদস্য সমর্থন করলে তখনই সে মন্ত্রী হতে পারে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানী সরকারের ক্ষেত্রে এমনও হয়েছে যে, প্রেসিডেন্ট কয়েকবার প্রার্থী নিয়ে এসেছেন, প্রথমবার ২ জন প্রার্থীকে বাতিল করেছিল সংসদ সদস্যরা, তারপর শেষমেষ এমপিরা চূড়ান্তভাবে মন্ত্রীসভা নির্বাচন করেছেন!

আমাদের দেশে এমনটা ভাবা যায়?
আবার দেখুন, এমপিরা তো প্রেসিডেন্টের কাছে কোনো ভাবেই দায়বদ্ধ নয় যে, প্রেসিডেন্ট নাখোশ হলে দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবে না -- সেহেতু এমপিরাও স্বাধীনভাবে মতামত দিতে পারে। আবার, এমপিদেরও স্বেচ্ছাচারিতা করার সুযোগ নাই, কারণ জনগণ মার্কা দেখে ভোট দেয় না, ভোট দেয় ব্যক্তি দেখে। খারাপ কিছু করলে আর কখনোই সে জনগণের ভোট পাবে না।)
..............................................................................................

আচ্ছা, এবার দেখেন, রাহবারের(সর্বচ্চ নেতা) পদ কতদূর বিস্তৃত।

১. সকল সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার তিনি সম্পূর্ণ নিজে নিয়োগ দেন (অতএব, সেনা অভ্যুত্থান বা সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের মাধ্যমে সেনাবাহিনী যে স্বৈরাচারী হয়ে উঠবে, সে সুযোগ নাই)। - এখানে রাহবারের Active power.

২. অভিভাবক পরিষদের যাচাইসাপেক্ষে প্রেসিডেন্ট ইলেকশানে দাঁড়াতে পারে প্রার্থীরা, আর সেই পরিষদেরও ১২ জনের ৬ জনকে সরাসরি রাহবার নিয়োগ দেন (অতএব, রাহবারের একেবারে বিপরীত লোক প্রেসিডেন্ট হওয়ার চান্স নাই)। - এখানে রাহবারের Passive power.

৩. বিচার বিভাগের চেয়ারম্যানকে সরাসরি রাহবার নিজে নিয়োগ দেন (অতএব, স্বৈরাচারী প্রেসিডেন্ট আদালতকে ব্যবহার করে শত্রু দমন করবে - তেমন চান্স নেই)। - এখানে রাহবারের Active power.

৪. স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে রাহবার সরাসরি নিয়োগ দেন, যার অধীনে থাকে পুলিশ বাহিনী, আর সেই পুলিশ বাহিনীর প্রধানকেও তিনিই নিয়োগ দেন (ফলে প্রেসিডেন্ট মনোনয়নের জায়গায় রাহবার প্যাসিভ পাওয়ার চর্চা করা সত্ত্বেও যদি স্বৈরাচারী মনোভাবের কোনো প্রেসিডেন্ট ঘটনাক্রমে ক্ষমতায় চলেও আসে, সে চাইলেই পুলিশ বাহিনীকে নিজের ইচ্ছামত ব্যবহার করতে পারবে না, কেননা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও পুলিশ বাহিনীর প্রধানকে রাহবার নিজে নিয়োগ দেন)। - এখানে রাহবারের Active power.

৫. রাহবারের অনুমতি ছাড়া যুদ্ধ ঘোষণা কিংবা running কোনো যুদ্ধে সন্ধিচুক্তি করা যায় না (অতএব, কোনো প্রেসিডেন্ট যে স্বৈরাচারী হয়ে উঠবে, যুদ্ধবাজ হয়ে উঠবে, তার সুযোগ নেই)। - এখানে রাহবারের Active power.

৬. এছাড়াও রাষ্ট্রীয় রেডিও-টেলিভিশন সংস্থার প্রধানকে রাহবার মনোনীত করেন (অতএব, স্বৈরাচারী প্রেসিডেন্ট নিজের ক্ষমতার স্বার্থে স্বেচ্ছাচারীর মত মিডিয়াকে ব্যবহার করবে - এমনটা ঘটার সুযোগ নাই)। - এখানে রাহবারের Active power.
(এবং আরো বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাহবারের প্রভাব রয়েছে। সর্বোপরি, গোটা ইরানের জনগণের মাঝে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।)
..............................................................................................
তো, দেখা যাচ্ছে যে, রাহবারের এই সাংবিধানিক পদটি বরং কোনো প্রেসিডেন্ট বা সেনাপ্রধানের স্বৈরাচারী হয়ে ওঠাকে প্রতিহত করে। অতএব, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদ।

কিন্তু -- এত ক্ষমতাশালী একটি পদে যিনি আসবেন, তাকে কারা নির্বাচিত করছে?
ঐ যে, ৮৮ জন আলেমের "বিশেষজ্ঞ পরিষদ"। এবং তাঁরা সবাই সর্বোচ্চ পর্যায়ের আলেম (ফকিহ-মুজতাহিদ)। বর্তমান প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানীও তেমন একজন আলেম, বিশেষজ্ঞ পরিষদের সদস্য। মরহুম হুজ্জাতুল ইসলাম হাশেমী রাফসানজানিও বিশেষজ্ঞ পরিষদের সদস্য ছিলেন। এই আলেমগণকে নির্বাচিত করেন জনগণ, প্রতি ৮ বছর পরপর। আর আলেমগণের নির্বাচন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মত করে অতিরিক্ত প্রতিশ্রুতি দেখে হয় না। সেটা হয় একজন আলেমের তাক্বওয়া দেখে, দ্বীনদারী দেখে। অতএব, শেষমেষ ক্ষমতা সেই জনগণের হাতেই! কিন্তু সবক্ষেত্রে আলেমগণের দ্বারা নির্বাচিত "রাহবার" এর দিক নির্দেশনা, মনোনয়ন, কমবেশী নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি থাকায় ইরান শুধুমাত্র প্রজাতন্ত্র নয়, বরং "ইসলামী প্রজাতন্ত্র"।


শেষকথা: ব্যক্তি যাচাই করে এমপি, প্রেসিডেন্ট, কাউন্সিলর ও বিশেষজ্ঞ পরিষদ সদস্য নির্বাচন করে থাকে ইরানের জনগণ, যারা দেশের নানান অঙ্গ পরিচালনা করেন। ইসলাম ও গণতন্ত্রের উপযুক্ত সমন্ব ঘটেছে ইরানের শাসনব্যবস্থায়। আর এর সবই সম্ভব হয়েছে ইরানের ইসলামী বিপ্লবের মহান আধ্যাত্মিক নেতা মরহুম ইমাম খোমেনী (র.) এর দূরদৃষ্টি ও প্রজ্ঞার ফলে।

(সংগৃহীত ও পরিমার্জিত)
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৩
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবনের গল্প

লিখেছেন ঢাকার লোক, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩৫

মাত্র মাস দুই আগে আমার এক আত্মীয়ের সাথে দেখা আমার এক বোনের বাড়ি। তার স্ত্রী মারা গেছেন তার সপ্তাহ দুই আগে। মক্কায় উমরাহ করতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমান

লিখেছেন জিনাত নাজিয়া, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১২

" অভিমান "

তোমার ঠোঁটে বোল শিখেছি
তুমি আমার মা, কেমন করে
ভুলছ আমায় বলতে
পারিনা। এমন করে চলে
গেলে, ফিরে ও এলেনা। হয়তো
তোমার সুখেই কাটছে দিন,
আমায় ভাবছ না।

আমি এখন সাগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার কিছু ভুল!

লিখেছেন মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮

১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×