এক দিকে কাতালান স্বাধীনতার জন্য গনভোট, যেখানে বাঁধা দিয়েছে স্পেন সরকার, ৪৬০ জনকে আহত করেছে তাদের পুলিশ। ভোট দেবার বুথগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে!
বার্সেলোনার মাঠে অন্য দলতি খেলতে এসেছে স্পেনের পতাকা জার্সিতে জরিয়ে অন্যদিকে নিজ মাঠে কাতালান বাসি তাদের নিজেদের পছন্দের দলের খেলা দেখবার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। বার্সেলোনা কাতালোনিয়ার স্বাধীনতার পক্ষে এর আগে প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছিল।
কাতালোনিয়ার স্বাধীনতার পক্ষে সমর্থনকারিদের ওপর পুলিশ লাঠিপেটা করেছে, রাবার বুলেটও ছুড়েছে। এর মধ্যে বার্সেলোনা ম্যাচ খেলতে রাজি ছিল না। সন্ত্রাসী হামলায় এই শহরে কিছুদিন আগে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। বার্সা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল।
ধারনা করা হচ্ছিল আজকের খেলা নাও হতে পারে!! মানুষিকভাবে বিধ্বস্ত বার্সেলোনা আবেদন করে ছিল, ম্যাচ পেছানোর জন্য কিন্তু লা লিগা কর্তৃপক্ষ লীগের খেলা পেছাতে রাজি হয় নাই! এরই মধ্যে টিভিতে দুই ধরনের খবর ছড়িয়ে পড়ে, একপক্ষ দাবী করে আজকের খেলা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে, অন্যসুত্র দাবী করে আজকের খেলা চলবে কিন্তু মাঠে দর্শক থাকতে পারবে না!
অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনা শেষ করে কাতালানিয়ার স্বাধীনতার বিপক্ষের দল লাস পালমাসকে কাতালানবাসীর প্রিয় দল মাঠের লড়াইয়ে পরাজিত করেছে। এত মানুষিক চাপ নিয়েও মেসির দল ৩-০ তে জিতে তবেই ম্যাচ শেষ করেছে। আর যেখানে মেসির অবদান ডাবল গোল!!
ধারনা করা হচ্ছে এই দফায় হয়ত কাতালানিয়াকে স্পেন থেকে স্বাধীন হতে বাঁধা দিতে পেরেছে স্পানিস কর্তৃপক্ষ তবে নিঃসন্দেহে এক দিন কাতালানবাসী স্বাধীন হবেই। সেদিন হয়ত আজকের ম্যাচ নিয়ে তারা গর্ব করবে।