ব্রুনাইয়ের সুলতান বিশ্বের অন্যতম ধনী আর বিয়ে যখন তার ছেলের তখন স্বাভাবিকভাবেই তাতে অসাধারণ আয়োজন থাকাটাই স্বাভাবিক। ক্রিস্টাল-খচিত জুতা, কোয়েলের ডিম আকৃতির পান্না, রত্নপাথরের পুষ্পস্তবকে ফুটে ওঠেছিল জাঁকজমকের প্রদর্শনীতে।
অনুষ্ঠানটা হয় রাজধানী বন্দর সেরি বেগাবনে সুলতানের রাজপ্রাসাদ ইতসানা নুরুল ইমানে। বাস করা হয়, এমন প্রাসাদগুলোর মধ্যে এটাই বিশ্বে বৃহত্তম। এতে রয়েছে ১,৭৮৮টি কক্ষ, পাঁচটি সুইমিং পুল, ২৫৭টি বাথরুম ও ১১০টি গাড়ি রাখার মতো গ্যারেজ। অতিথিকক্ষে একসাথে পাঁচ হাজার অতিথি বসতে পারেন। রাজকীয় এই বিয়েতে বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে মালয়েশিয়ার সাতটি রাজ্যের শাসক ও সৌদি আরবের এক গভর্নর ছিলেন।
বিয়ের দিন বর-কণের পরনে ছিল স্থানীয় ঐতিহ্যের সাথে মিল রেখে মূল্যবান পোশাক। তাদের বসার জন্য ছিল দুটি সুসজ্জিত সিংসাহসন। নববধূ রাবিয়াতুলের হাতে যে তোড়াটি ছিল, সেটি ফুলের নয়, ছিল রত্নপাথরের। হীরার তৈরি তার নেকলেসটির ঠিক মাঝখানে আঙুর আকৃতির তিনটি পান্না শোভা পাচ্ছিল। এর সাথে মানানসই করে তৈরি করা হীরার ব্রোচে ডিম আকৃতির দুটি পান্না শোভা পাচ্ছিল।
জুতা থেকে শুরু করে পোশাকের প্রতিটি অনুষঙ্গই ছিল বিশেষভাবে তৈরি করা। মণি-মানিক্যের ব্যবহার কোথাও কম দেখা যায়নি, বরং অনেক ক্ষেত্রে জৌলুষ উপচে পড়তে চেয়েছে।
অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে রাজকীয় প্রহরীরা আনুষ্ঠানিক ঢাল ও বর্শা নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করে। দোয়া অনুষ্ঠানে নবদম্পতি পাশাপাশি বসেন। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে ছিল বিলাসবহুল ভোজ। উৎসব শুরু হয়েছিল ৫ এপ্রিল ১১ দিনের অনুষ্ঠান ১৫ এপ্রিল শুকরিয়া নামাজ দিয়ে শেষ হয়। ছেলের বিয়েতে ব্রুনাইয়ের সুলতান।
পূর্ব এশিয়ার বর্নিও উপকূলে ব্রুনেইয়ের অবস্থান। মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার কাছে অবস্থিত দেশটি আয়তনে বেশ ছোট। তবে তেল ও গ্যাসের বিপুল মজুত রয়েছে দেশটিতে। অধিবাসীদের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ মালয় মুসলিম। ১৫শ’ শতক থেকেই দেশটির অস্তিত্ব দেখা যায়। ১৯৮৪ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে তারা স্বাধীনতা পায়।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৪