তাদের মতে ইসরাইল নয় বরং ইরান একমাত্র হুমকি সৌদির জন্য। সম্প্রতি সৌদি যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমান বলেছেন, শান্তির জন্য ফিলিস্তিনদের মার্কিন পরিকল্পনা মেনে নেয়া উচিত, না হয় তাদের চুপ থাকতে হবে। এর আগেও সৌদি যুবরাজ ইসরাইলের ভূমির অধিকার মেনে নিতে ফিলিস্তিনকে আহব্বান জানিয়েছিল, অথচ ফিলিস্তিনের জমি ইসরাইল জোরপূর্বক দখল করে বসে আছে এবং লক্ষ লক্ষ ফিলিস্তিনি নিজেদের ভুমি থেকে উৎখাত হয়ে বিভিন্ন দেশে উদ্বাস্তু হিসেবে জীবনধারণ করছে।
সৌদি আরবের ‘মিডল ইস্ট সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ’র বর্তমান চেয়ারম্যান ও সাবেক সামরিক কমান্ডার জেনারেল আনোয়ার এশকি বিবিসি আরবি বিভাগকে বৃহস্পতিবার দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের রক্ষার বিষয়ে সৌদি আরবের বাড়তি কোনো দায়িত্ব নেই। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিরা যেহেতু সৌদি নাগরিক নন সে কারণে রিয়াদের কাছে থেকে সুরক্ষা পাওয়ার কোনো অধিকার তারা রাখেন না। তিনি বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে ইসরাইল কখনো সৌদি আরবে আগ্রাসন চালায় নি, সে কারণে তেল আবিবের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের কোনো জবাব দেয়ারও প্রশ্ন নেই। জেনারেল এশকি সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কয়েকবার ইসরাইল সফর করেছেন।
২০১১ সালে সিরিয়ায় বিদেশি মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের সহিংসতা শুরুর পর এই প্রথম তুরস্ক থেকে প্রতিনিধিদল সিরিয়া সফর করেছে। সিরিয়া সরকারের বিরুদ্ধে যেসব গোষ্ঠী লড়াই করছে তাদেরকে সমর্থনকারী অন্যতম প্রধান দেশ হচ্ছে তুরস্ক।
তুরস্কের একটি উঁচু পর্যায়ের প্রতিনিধিদলটি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মিশন নিয়ে এ সফর করছে। তুরস্কের ইউরেশিয়া স্থানীয় সরকার ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের প্রধান হাসান সেনগিজে সিরিয়ার জাতীয় সংসদের স্পিকার হামুদেহ সাব্বাগের সঙ্গে বৈঠকে বলেন, মধ্যপ্রাচ্যকে বিভক্ত করার বৃহত্তর পকিল্পনা নিয়ে সিরিয়ার যুদ্ধ শুরু করা হয়েছে। এই সংকটের একমাত্র সমাধান হচ্ছে- সিরিয়ার সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান দেখানো এবং জনগণকে তাদের ভাগ্য নির্ধোরণের অধিকার দেয়া।
ইহুদিবাদী ইসরাইল প্রতিষ্ঠার ৭০ তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত মটরগাড়ি চালনার প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে বাহরাইন ও আরব আমিরাত। আরব আমিরাত, বাহরাইন ও সৌদি সরকারসহ আরও কিছু আরব সরকার এমন সময় বর্ণবাদী ও দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে বেশ জোরালোভাবে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করছে যখন সন্ত্রাসী ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের ওপর নৃশংস হত্যা ও অপরাধযজ্ঞ বাড়িয়েই চলেছে।
এদিকে ৭ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মত সিরিয়ার রাজধানী সম্পূর্ণরুপে সন্ত্রাসীমুক্ত হয়েছে। গত মাসে পূর্ব ঘোটা এলাকা সৌদি পন্থী জায়েস আল-ইসলাম নামক সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে মুক্ত করবার পর কোন সংঘর্ষ ছাড়াই কালামুন নামক এলাকা সরকারি নিয়ন্ত্রনে এসেছে এবং ওই এলাকার অধিকাংশ বিদ্রহীরাই সরকারি বাহিনীতে যোগ দিয়েছে। কালামুন এলাকা থেকে সরকারি বাহিনী ৩৭ টি ট্যাংক সহ বিপুল পরিমানে অস্ত্র উদ্ধার করেছে।
এদিকে দামাস্কের কাছে সন্ত্রাসীদের দখলে থাকা শেষ এলাকা ইয়ামুক ক্যাম্প থেকেও HTS এবং ISIS কে পরাজিত করেছে সিরিয়ান সেনাবাহিনি এবং প্যালেস্টাইন লিবারেশন ফ্রন্ট ও লিয়া আল কুদস ব্রিগেড। আইএস কাছ থেকে এ সময় প্রচুর পরিমানে ইসরাইলী গোলা এবং অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মে, ২০১৮ ভোর ৪:২৮