somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আরব বিশ্বের সব থেকে সুন্দর দেশ, "লেবানন"!

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ভূমধ্যসাগরের পাড়ে হাজারো বছরের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি নিয়ে স্বমহিমায় অবস্থান করছে আরব বিশ্বের সব থেকে সুন্দর দেশ লেবানন । লেবানন শব্দটির অর্থ সাদা। বরফঢাকা পাহাড় থেকেই এ নামের উদ্ভব বলে ধারণা করা হয়। লেবানন ভূমধ্যসাগরের পাড়ে অবস্থিত পশ্চিম এশিয়ার একটি ছোট দেশ। এর স্থলভাগটি ঘিরে রেখেছে সিরিয়া ও ইসরাইল আর ওপর পাশে ভূমধ্যসাগর।


লেবাননে প্রায় সাত হাজার বছর আগের সভ্যতার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। লেবানন ছিল মূলত ফিনিশীয়দের আবাসস্থল। তাদের সংস্কৃতি সমৃদ্ধি লাভ করেছে ইংরেজি সাল গণনার আগের ২৫০০ বছর ধরে। তবে দেশটি বিভিন্ন শাসকদের অধীনে থেকেছে। সর্বশেষ ১৯৪৬ সালে ফ্রান্সের দখল থেকে দেশটি স্বাধীনতা অর্জন করে।


ভৌগোলিক অবস্থান এবং জলবায়ু
লেবাননের অবস্থান এশিয়ার পশ্চিম অংশে। ভূমধ্যসাগরের সাথে লেবাননের পশ্চিম দিকের রয়েছে ২২৫ কিলোমিটারের বিশাল সখ্য। এ ছাড়া সিরিয়া লেবাননকে ঘিরে আছে পূর্ব এবং উত্তর দিক থেকে ৩৭৫ কিলোমিটারজুড়ে। দক্ষিণে আছে ইসরাইল।
লেবাননের বেশির ভাগ স্থান জুড়েই রয়েছে পাহাড়। সামান্য উপকূলীয় অঞ্চল এবং বেকা উপত্যকা ছাড়া পাহাড়কে এড়ানো যায়নি কোথাও। পাহাড়মুক্ত এ অংশটুকুই লেবাননের কৃষিকাজের জন্য অপরিহার্য বলে বিবেচিত।
লেবাননের আবহাওয়ার মধ্যে রয়েছে ভূমধ্যসাগরের ব্যাপক প্রভাব। উপকূলীয় এলাকাতে শীতকাল বেশ ঠাণ্ডা ও বৃষ্টিময়। আর গ্রীষ্মকাল গরম ও আর্দ্র। উঁচু স্থানগুলোতে তাপমাত্রা অত্যধিক ঠাণ্ডা, কখনো সেখানে ভারী তুষারপাত হয়।

প্রশাসনিক এলাকা
লেবাননকে ছয়টি প্রশাসনিক এলাকায় ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হলো বৈরুত, নেবাতিহ, বেকা, উত্তর প্রশাসনিক এলাকা, মাউন্ট লেবানন এবং দক্ষিণ প্রশাসনিক এলাকা। প্রত্যেকটি প্রশাসনিক এলাকা কয়েকটি শহর বা গ্রাম নিয়ে গঠিত। তবে বৈরুত প্রশাসনিক এলাকাতে বৈরুত ছাড়া অন্য কোনো শহর বা গ্রাম নেই।


অর্থনীতি
লেবাননের সুন্দর আবহাওয়া, অগণিত ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান প্রতি বছরই পর্যটককে টানে লেবানন ভ্রমণে। প্রাকৃতিক সুবিধার পাশাপাশি লেবাননের ব্যাংকিং খাতের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন এ খাতকে করেছে আরো বেশি সমৃদ্ধিশালী। ফলে প্রতি বছর এখানে লাখ লাখ লোক বেড়াতে আসে। আর তা থেকেই লেবাননের অর্থনীতি তার জিডিপি’র বেশির ভাগ আদায় করে নেয়। লেবাননের পর্যটন খাতে দেশটির জনশক্তির মোট ৬৫ শতাংশ জড়িয়ে আছে। মোট আয়ের ৬৭ শতাংশ আসে এই পর্যটন খাত থেকেই।
এছারাও লেবাননের আয়ের ক্ষেত্রে রেমিট্যান্স এখন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। গত বছর এর পরিমাণ ছিল ৫ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা দেশটির মোট আয়ের এক-পঞ্চমাংশ। লেবাননের ১২ শতাংশ জনশক্তি কৃষি কাজ করে থাকে। আর দেশের আয়ে কৃষি খাত অবদান রাখে ১১ দশমিক ৭ শতাংশ। লেবাননে উৎপন্ন ফসলের মধ্যে আপেল, পিচ, কমলা ও লেবু উল্লেখযোগ্য। লেবাননের শিল্প খাতটি তেমন বড় নয়। এখানকার শিল্পের মধ্যে আমদানি করা যন্ত্রাংশ সংযোজন শিল্পই প্রধান। লেবাননের আয়ের ক্ষেত্রে এর অবদান ২১ শতাংশ।


সংস্কৃতি
বর্তমানের আধুনিক লেবানন হাজার বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের সংস্কৃতি লালন করে আসছে। মূলত ফিনিশীয়দের এ আবাসভূমি কখনো আসিরীয়রা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে, আবার কখনো নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে পারসিয়ানরা, কখনো গ্রিক, কখনো রোমান, কখনো আরব, কখনো ক্রুসেডার, কখনো উসমানি খেলাফত আবার কখনো বা তাকে নিয়ন্ত্রণ করেছে ফ্রান্স। ফলে লেবাননের সংস্কৃতিতে এর প্রত্যেকটির কিছু না কিছু প্রভাব রয়েছে। লেবাননে তাদের আসা-যাওয়া, নিজস্ব নৃতাত্ত্বিক ভিত্তি এবং আগতদের ধর্মীয় কৃষ্টি এগুলোর সবই দেশটির উৎসব, সাহিত্য, সংস্কৃতিতে প্রভাব ফেলেছে উল্লেখযোগ্য হারে। ফলে লেবাননে উৎসব হিসেবে মুসলিম এবং খ্রিষ্টান উৎসব সমান গুরুত্ব পায়। ছুটির দিনগুলোও নির্ধারিত হয় সেই নিয়মেই। ৪০ লক্ষ মানুষের দেশটিতে মুসলিম প্রায় ৫৬%(২৮% শিয়া, ২৮% সুন্নি) খ্রিষ্টান ৪০%(ম্যারোনেইট ২২ শতাংশ, গ্রিক অর্থোডক্স ৮ শতাংশ এবং গ্রিক ক্যাথলিক রয়েছে ৪ শতাংশ বাকি রোমান) এবং দ্রুজ ৪ শতাংশ।


শিল্প-সাহিত্য
লেবাননের সাহিত্য এক সময় এতটাই সমৃদ্ধ ছিল যে, হাজার বছরের বিখ্যাত সাহিত্যকেন্দ্র মিসরের সাথে তারা পাল্লা দিত। সাহিত্যচর্চা, সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন ছিল এগুলোর উৎকৃষ্ট প্রমাণ। সাহিত্যের আকাশে লেবাননের বড় তারকা ছিলেন খলিল জিবরান। তার লিখিত দ্য প্রপেট বিশ্বের বিশটি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্বখ্যাত অন্য লেখকদের মধ্যে রয়েছেন ইলিয়াস মৌরি, আমিন মালোফ, হান্নান আল শেখ। আর লেবাননের যে প্রতিভা আঁকাআঁকি করে পুরো বিশ্ব মাত করেছিলেন, তিনি হলেন মোস্তফা ফারুক। লেবাননের পরিবেশ, লেবাননি জনগণের ভেতরকার তেজ, উদ্যম তুলে আনা ছবিগুলো প্রশংসা লাভ করেছিল সর্বত্রই। তার অঙ্কনবিষয়ক বেশ কয়েকটি বই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য হিসেবে বিবেচিত।


সেনাবাহিনী
লেবাননের সেনাবাহিনীর সদস্যসংখ্যা ৭২ হাজার ১০০। এর মধ্যে এক হাজার ১০০ জন বিমান বাহিনীর এবং এক হাজার নৌবাহিনীর সদস্য। তবে লেবাননের সেনাবাহিনীর থেকেও শক্তিশালী বাহিনী মনে করা হয় সেদেশের ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ মিলিশিয়াদের যারা দুইটি যুদ্ধে ইজরাইলকে পরাজিত করে দক্ষিন লেবাননকে মুক্ত করেছে এবং লেবাবন থেকে মার্কিন স্থায়ী ঘাটি সরিয়ে দিয়েছে।এই হিজবুল্লাহর রয়েছে নিজস্ব মিসাইল ব্রিগেড (প্রায় পৌনে দুই লক্ষ মিসাইল মজুদ রয়েছে) , ভারি সামরিক যুদ্ধ যান, ও অত্যাধুনিক সব সমরাস্ত্র। ইরান ছাড়াও সিরিয়া এবং ইরাক তাদের সহায়তা করে। তবে সেদেশের সরকার হিজবুল্লাহকে সেনাবাহিনীর একটি সহায়ক অংশ বিবেচনা করে যা অনেকটা ইরানের রিপাবলিক গার্ডের আদলে সরকারি বাহিনীতে কাজ করে। যারা লেবাননের বাহিরে সিরিয়া এবং ইরাকে গিয়েও আইএস এবং আল-কায়েদা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে।


ইতিহাস
প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণের দ্বারা লেবাননকে ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ বিশ্বের অন্যতম পুরাতন শহর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। নৃতাত্ত্বিক বিজ্ঞানীরা যেসব অস্ত্রশস্ত্র ও ব্যবহার্য জিনিসপত্র আবিষ্কার করতে পেরেছেন তাতে বোঝা যায়, এখানে ভূমধ্যসাগরের জেলে সম্প্রদায় বাস করতে শুরু করে সাত হাজার বছর আগে থেকে।
লেবানন মূলত ফিনিশিয়ানদের আবাসভূমি। পরে তাতে পারস্যরা তাদের রাজত্ব কায়েম করে। এক সময় আলেকজান্ডার এসে বিধ্বস্ত করে দিয়ে যায় লেবাননকে। এরপর লেবাননের আধিপত্য বিস্তার করে অ্যাসেরিয়ান, হেলেনটিক, রোমান, সেলজিক, মামলুক, ক্রুসেডার এবং উসমানী খেলাফত কাল।

ফরাসি ম্যান্ডেট ও স্বাধীনতা
লেবানন তুর্কি ওসমানী খেলাফতের অধীনে ছিল ৪০০ বছর। এরপর প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তুর্কিরা হেরে গেলে ফ্রান্স লেবাননকে একটি খ্রিষ্টান রাজ্যে পরিণত করার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যায়। কিন্তু জার্মানির কাছে ফ্রান্সের পরাজয় তাদের অনেক হিসাব-নিকাশকেই উল্টে দেয়। ফলে তারা লেবাননকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ থেকে ছেড়ে দেয়।

১৯৪৮ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধ
১৯৪৮ সালের মে মাসে আরব-ইসরাইল যুদ্ধ শুরু হলে লেবানন তাতে আরবদের সমর্থন দেয়। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে লেবানন সরকার বা সেনাবাহিনী যুদ্ধে কোনো পক্ষ অবলম্বন করা থেকে বিরত থাকে। সে সময় অনেক ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তু পালিয়ে আসে লেবাননে। ইসরাইল লেবানন থেকে তাদের আবাসস্থলে ফিরতে বাধা দেয়। যার ফলস্বরূপ এখনো লেবাননের বিভিন্ন ক্যাম্পে চার লাখের মতো উদ্বাস্তু অবস্থান করছে।


গৃহযুদ্ধ
১৯৮২ সাল থেকে লেবাননে শুরু হয় রক্তয়ী গৃহযুদ্ধ। নিহত হয় লাখ লাখ মানুষ, আহত হয় আরো কয়েক লাখ। আর ঘরবাড়ি হারিয়ে বাস্তুহীন হয়ে পড়ে প্রায় দশ লাখ মানুষ। ১৯৯০ সালে এক চুক্তির মাধ্যমে এ গৃহযুদ্ধ বন্ধ হয়। এরপর সেখানে সিরিয়ান সেনাবাহিনী নিরাপত্তার দায়িত্তে ছিল অনেক দিন।

রফিক হারিরি হত্যা
২০০৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি লেবাননের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রফিক হারিরি এক গাড়িবোমায় নিহত হন। তিনি ছিলেন পশ্চিমা সমর্থিত ১৪ অ্যালায়েন্সের নেতা। তার হত্যাকাণ্ডের জন্য কেউ কেউ সিরিয়াকে দায়ী করে। তখন পশ্চিমা বিশ্বের চাপে সিরিয়া লেবানন থেকে তাদের মোতায়েন করা ১৫ হাজার সৈন্য সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়।

২০০৬ সালের ইসরাইল-লেবানন যুদ্ধ
২০০৬ সালের ১২ জুলাই ইসরাইলিদের হামলার জবাবে লেবাননের গেরিলা বাহিনী হিজবুল্লাহ ইসরাইলে সীমান্তবর্তী শহরে রকেট হামলা চালায়। এতে তিনজন ইসরাইলি সৈন্য নিহত হয় এবং দুইজন আহত হয়। আরো দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ইসরাইল তাদের সেনাদের উদ্ধার অভিযান চালালে তা ব্যর্থ হয় এবং আরো পাঁচজন সৈন্য নিহত হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ইসরাইল লেবাননে রক্তক্ষয়ী আক্রমণ চালায়। এতে লেবাননের বেসামরিক ব্যক্তিবর্গ এবং তাদের স্থাপনা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বৈরুত বিমানবন্দরও তাদের আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সে যুদ্ধে ইসরাইল কমপক্ষে ৯৬২ বার আক্রমণ চালায় এবং হিজবুল্লাহ ইসরাইলের ভেতর তিন হাজার ৯৭০টি রকেট নিক্ষেপ করে। যুদ্ধে এক হাজার ২০০ লেবাননি বেসামরিক নাগরিক এবং ১৬০ জন ইসরাইলি সৈন্য মারা যায়। ২০০৬ সালের ১৪ আগস্ট জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদ উভয় দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলে যুদ্ধ বন্ধ হয়। বন্দী ইসরাইলি সৈন্য দু’জনকে ২০০৮ সালের ১৬ জুলাই এক বন্দী বিনিময়ের মাধ্যমে ইসরাইলে ফিরিয়ে দেয়া হয়।


রাজনীতি
লেবাননে রয়েছে সংসদীয় গণতন্ত্র। লেবাননে একটি নতুন পদ্ধতি প্রচলিত। লেবাননের বিদ্যমান খ্রিষ্টান, সুন্নি মুসলমান এবং শিয়া মুসলমানদের মধ্যে দীর্ঘ দ্বন্দ্ব থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য এ পদ্ধতি চালু করা হয়। এ অঞ্চলে মোট ১৮টি ধর্মীয় গ্র“প বিদ্যমান। দেশটির আইনানুসারে প্রেসিডেন্ট হবে একজন ম্যারোনেইট খ্রিষ্টান, প্রধানমন্ত্রী হবেন সুন্নি মুসলমান, স্পিকার হবেন শিয়া মুসলমান। এখানকার সংসদীয় আসনগুলো মুসলমান এবং খ্রিষ্টানদের মধ্যে সমভাবে বণ্টিত। আরো খুলে বলতে গেলে দেশে বিদ্যমান ১৮টি দলের মধ্যে আরো বিস্তারিত বলতে গেলে ২৬টি দলের মধ্যে তা ভাগ করা হয়। দেশের সংসদ চার বছরের জন্য নির্বাচিত হয়। সংসদ দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করে। প্রেসিডেন্ট আবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করেন।
লেবাবনের নির্বাচন পদ্ধতি এবং রাজনীতি সম্পর্কে জানতে পড়ুন।

বিচার ব্যাবস্থা
লেবাননের বিচারিক ব্যবস্থাটি গড়ে উঠেছে উসমানী আইন, নেপোলিয়ান কোড, গির্জার আইন এবং বেসামরিক আইনের সমন্বয়ে। লেবাননের আদালত তিন স্তরের। প্রথমত, প্রারম্ভিক পর্যায়, দ্বিতীয় পর্যায়টি হলো আপিলের, তৃতীয় পর্যায়টি হলো চূড়ান্ত ফায়সালা বা মীমাংসার। সাংবিধানিক আদালত আইন এবং নির্বাচনী প্রতারণার বিষয়গুলো দেখে। এ ছাড়াও সেখানে ধর্মীয় আদালত রয়েছে। সেখানে প্রত্যেকে তাদের নিজস্ব ধর্মীয় আইন অনুযায়ী বিয়ে, উত্তরাধিকার ইত্যাদি বিষয়ে বিচার পেতে পারে।

ভাষা
সংবিধান অনুযায়ী লেবাননের সরকারি ভাষা আরবি। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ফ্রেন্স ভাষার ব্যবহার করা যেতে পারে। ফলে লেবাননের বেশির ভাগ মানুষই লেবানিজ আরবিতে কথা বলে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর লেবাননকে লিগ অব নেশন ফ্রান্সের কর্তৃত্বে দিয়ে দেয়ার ফলে এখনো সেখানে ফ্রেন্স ভাষার কিছু প্রচলন রয়ে গেছে। ব্যবসায়-বাণিজ্য এবং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ইংরেজিও ব্যবহার হয়ে থাকে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:১০
১২টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেনারসী রঙে সাজিয়ে দিলাম চায়ের আসর=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনে কি পড়ে সেই স্মৃতিময় সময়, সেই লাজুক লাজুক দিন,
যেদিন তুমি আমি ভেবেছিলাম এ আমাদের সুদিন,
আহা খয়েরী চা রঙা টিপ কপালে, বউ সাজানো ক্ষণ,
এমন রঙবাহারী আসর,সাজিয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজ্ঞানময় গ্রন্থ!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

একটু আগে জনৈক ব্লগারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, কমেন্ট করার পর দেখি বেশ বড় একটি কমেন্ট হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম জনস্বার্থে কমেন্ট'টি পোস্ট আকারে শেয়ার করি :-P । তাছাড়া বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২০২৪-৪

লিখেছেন শায়মা, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫


চলে যাবার দিন ঘনিয়ে আসছিলো। ফুরিয়ে আসছিলো ছুটি। ছোট থেকেই দুদিনের জন্য কোথাও গেলেও ফিরে আসার সময় মানে বিদায় বেলা আমার কাছে বড়ই বেদনাদায়ক। সেদিন চ্যাটসউডের স্ট্রিট ফুড... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসের নায়িকাকে একদিন দেখতে গেলাম

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৫

যে মেয়েকে নিয়ে ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসটি লিখেছিলাম, তার নাম ভুলে গেছি। এ গল্প শেষ করার আগে তার নাম মনে পড়বে কিনা জানি না। গল্পের খাতিরে ওর নাম ‘অ’ ধরে নিচ্ছি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

×