somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মাঝরাতের অতিথি (অনুগল্প)

১৯ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এক শীতের রাতে কইথিকা এক বেশ্যা আইসা আমারে বলে, আপনের এইখানে আমারে ইকটু থাকবার জাগা দিবেন? খুব শীত লাগতাছে।
নাইটগার্ডের চাকরি নিবার সময় এইসব বেশ্যার ব্যাপারে আগেই সতর্ক করে দিছিল। তাই কোন পাত্তা না দিয়া ধমক মাইরা বেশ্যাটারে কইলাম, রঙ্গ করস আমার সাথে? যা বেশ্যা যা!
আমার কথা শুইনা বেশ্যাটা আর কিছু কইল না। চুপ কইরা সেইখানে কিছুক্ষণ দাঁড়াইয়া রইল। তারপরে একটা শুকনা হাসি দিয়া চইলা যাইতে লাগল। সে ঘুরার সময় আমি দেখি তার চোখেমুখে রাগ আর ঘিন্না। সেই ঘিন্নার ঢেউ যেন আমার দিকে বয়ে আসতেছে। যেন সেই ঢেউ আমারে তলায় নিব। যেন আমারে গিল্লা খাইব। কিন্তু সে আমারে ঘিন্না করব কেন? আবার নতুন চাকরি, কেউ দেখলে ত বিপদে পইড়া যামু। এইসব ভাবতে ভাবতে পেছন থিকা তারে ডাক দিয়া কইলাম, শুনুন আমিতো এইখানে নতুন কাজ নিছি। বেশি শীত করলে আপনে আমার এই জ্যাকেটটা পইরা নেন। চাকরির লাইগা কিনছিলাম। গরম আছে। আর কোন সমস্যা না থাকলে চলেন সারারাইত দুইজনে বইসা গল্প করি। গল্প করবেন?
এই কথা শুনে বেশ্যাটা হাসি দিয়া কইলো, আইচ্ছা। আমি ভাবছিলাম সে রাগ কইরা চইলা যাইব। এইবার তার চোখেমুখে আর ঘিন্না নাই। আমার টুলটাতে সে আইসা বসলো। আর আমি দুইজনের লাইগা গরম গরম দুইকাপ চা আর এক প্যাক বিস্কুট আনতে গেলাম।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১২
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×