১) যেকোন একটা বায়বীয় মাপকাঠি তে সালমান শাহরে এদেশে নাম্বার ওয়ান হিরো ভাবা হয়। এইবার সেই ভাবনারে আরো শক্ত করল জাজ মাল্টিমিডিয়া। পোড়ামন টু সিনেমাতে দেখলাম সিয়ামরে দিয়ে বলাইতেছে, তুমি নাম্বার ওয়ান হিরো। যেহেতু ভক্ত হইবার লাইগা অত নিয়ম নীতি মানতে হয় না, সেই হিসেবে সালমানরে নাম্বার ওয়ান হিরো ভাবা ঠিক আছে। তার চেয়ে বেশী ঠিক আছে ভক্তরা দিল্লী-কলকাতা ছাইড়া কিছুদিন অন্তত ঢাকার হিরো নিয়া নাচাগানা করবে। যদিও সালমান শাহ তার জীবদ্দশাতে ইন্ডিয়ান হিরো গুলারে ফলো কইরাই চলতেন। রাজ্জাক, ফারুক, সোহেল রানা, আনোয়ারদের মত বাংলাদেশী হিরো হইতে পারেন নাই। এইটা একটা আফসোস থাইকা গেল।
২) শুধু যে সালমান করেছিল তা না, এইদেশের বেশিরভাগ সিনেমার হিরোগুলা শাকিব, শুভ, বাপ্পি আর যে নতুনরা আসার চেষ্টা করতেছে সবাই ইন্ডিয়ান নায়কদের ফলো করে। তাদের নিজস্বতা নাই। অবশ্য বাণিজ্যিক সিনেমা নামের এইগুলা সব ইন্ডিয়ান সিনেমারে ফলো করেই চলতেছে। এইগুলা দেশী কালচার বহন করে না, উলটা ইন্ডিয়ান কালচার দেখাইয়া আরাম পায়। আর নায়িকাগুলার কথা কী কমু, নিজেরে ঐশ্বরিয়া, দীপিকাদের দাসী বান্দি পরিচয় দিতেও যেন তারা গর্বিত হন।
এই ব্যাপারগুলা বুঝতে পারবেন যখন আপনি ইতালিয়ান, স্পেনিশ, ইরানি, তুর্কি, কোরিয়ান, চাইনিজ, রাশিয়ান, আর্জেন্টাইন এমনকি মালায়লাম ভাল সিনেমাগুলা দেখবেন। হলিউডের নব্বই দশকের সিনেমা দেখলেও বাংলাদেশী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির দাসী বান্দির মত ফলো করার ব্যাপারটা ধরতে পারবেন।