somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বানের পানির বুনো ঘেরান

৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বন্যার পানির একটা বুনো ঘেরান আছে। এই ঘেরান আমি প্রথম পাইছিলাম ১৯৯৮ সালে তারপরে পাইছি ২০০৪ সালে। আটানব্বই সালে রাহিমের জন্ম। সে হইবার কয়েক মাসের মাথায় শুরু হইল ইতিহাসের সবথিকা ভয়ানক বন্যা। দেশের মোট ৬৮ ভাগ এলাকা পানির নিচে তলায় গেছিল। সেই সময় আবার রাহিমের হইল নিউমোনিয়া। তাই তারে নিয়া আব্বার সাথে ভাইয়া আর আমি হাসপাতালে দৌড়াই।

চাইর সালের বন্যার অবস্থা আরো ভয়ানক। ঘরের ভিতর হাঁটু পানি। আমার তখন ১২ বছর। মনে আছে দাদী বাড়িতে আমরা চইলা গেছিলাম। আর ঘরের মাল পাহাড়া দিবার লাইগা আব্বা আর ছোট কাক্কা ঘরের ভিতর খাট উচা কইরা থাকতো। তাদের লাইগা টিফিন বাটিতে কইরা খানি দিয়া যাইবার দায়িত্ব আছিল আমার উপরে।

বন্যা শুরু হইবার সাথে সাথে দুশ্চিন্তায় আমার উপর থিকা আম্মার নজরদারী কমে গেছিল। আমি হইয়া গেছিলাম মুক্ত পাখির মতো। সেই সুযোগে সবুজবাগের রাস্তায় কলাগাছের ভেলাতে করে আমি ভাইসা বেড়াইতাম। ছিপ দিয়া বন্যার পানিতে পুঁটিমাছ ধরতাম। তখন বন্যার পানির বুনো ঘেরানটারে আমি টের পাই। পানির সাথে থাকতে থাকতে সেই ঘেরান এক সময় চিরস্থায়ীভাবে আমার মনে গেঁথে যায়। ঘেরানটার প্রতি ভাল লাগা তৈরি হয়। আজও কোথাও ভারি বর্ষা হয়ে পানি জমে গেলে মনে হয় কোথা থেকে বুনো ঘেরান বেড়িয়ে পড়বে। বানের জলে সবকিছু তলিয়ে যাবে। আর আমি কলাগাছের ভেলায় করে ভেসে বেড়াবো।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:২৯
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৩

ফেসবুকে বাঙালিদের মধ্যে ইদানিং নতুন এক ফতোয়া চালু হয়েছে, এবং তা হচ্ছে "দাওয়াতের নিয়্যত ছাড়া কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।"
সমস্যা হচ্ছে বাঙালি ফতোয়া শুনেই লাফাতে শুরু করে, এবং কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×