Muradul Islam এর পুরোনো কৌতুক পড়ে শেষ করলাম। পুরোনো কৌতুক নিয়ে একটা ইন্টারেস্টিং অভিজ্ঞতা আছে। আগেই বলতাম কিন্তু ভাবলাম আগে পড়ে তারপর বলব।
এইবার ঢাকার বইমেলাতে গেছিলাম একেবারে শেষ দিনে বিকালে। সেইদিন আবার গানপিয়নের শো ছিল জাহাঙ্গীরনগরে। জাহাঙ্গীরনগর থেকে তারা অলরেডি বাস পাঠিয়ে দিয়েছিল গানপিয়ন সহ আর দুইটা ব্যান্ডদলরে নিয়ে যাবার জন্য। বইমেলা দেখার জন্য হাতে ছিল আধাঘণ্টার মত। এইদিকে মুরাদুলের প্রবন্ধ পড়ে তখন মুগ্ধ হইয়া আছি আবার জানতাম বইমেলাতে তার থ্রিলার উপন্যাস পুরোনো কৌতুক এসেছে। তাই গৌতমরে কইলাম একপিস কিনে নে পড়ে দেখি। যেই আধাঘণ্টা হাতে ছিল তার সবটা সময় শুধু পুরোনো কৌতুক খুঁজতেই লেগে গেছিল সেদিন। ফেসবুক থেকে স্টলের নাম আর নাম্বার দেখে তিনজনে তিনদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে গিয়ে শেষপর্যন্ত এই বই বের করছিলাম। এমনকি বই পেয়ে মেলাতে আর দাঁড়াতেও পারিনি। গানপিয়নের সাথে জাহাঙ্গীরনগর চলে গেছিলাম।
সেই পুরোনো কৌতুক পড়ে একটু আগে শেষ করলাম। এঞ্জয় করে পড়েছি। থ্রিলিং কাজ করেছে। মুরাদুলের প্রবন্ধের মত তার উপন্যাসটিও সাবলিল লেগেছে। এমনিতে বেশ সিনেমা দেখা হয় তাই পড়ার সময় মনে হচ্ছিল যেন কোন সিনেমা দেখছি। দৃশ্যগুলো স্পষ্ট ভাসছিল চোখে। তবে শেষ পর্যন্ত আসল খুনিকে নিয়ে খটমট লেগেছে। বেশকিছু প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। এবং উত্তর যেহেতু লেখক নিজেই দিতে চাননি তাই আর খুঁজতে গেলাম না। তিনি যেখানে তার কবিতা থামাতে চাইলেন, ব্যাপারটাকে সুখপাঠ্য হিসেবে নিয়ে সেখানে থেমে গেলাম।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ১০:৫৪