১) অনেকেই ঘুমাইতে পছন্দ করেন। অনেকে করেন না। যারা ঘুমাইতে পছন্দ করেন তাদের দৃশ্যমান ব্যাপারের প্রতি আগ্রহ কমে যেতে থাকে অথবা নেই, তাই। আবার যারা অত ঘুমাইতে পছন্দ করেন না তাদের দৃশ্যমান জগতের উপর বেশ আগ্রহ থাকে। বেঁচে থাকাকালীন এক মুহূর্তকেও তারা মিস করতে চায় না। ঠিক এই কারণেই শিশুরা ঘুমাইতে চায় না। দৃশ্যমান জগতের প্রতি তখন তারা এতটাই মুগ্ধ হইয়া থাকে যে একটা ঘুটঘুটে অন্ধকার অদৃশ্য অবস্থা ঘুমকে তারা চিরস্থির, অসাড়, অদরকারি এবং অনাগ্রহী ব্যাপার হিসেবে দেখে।
২) আমরা যেইটা স্বপ্নে দেখি সেইটা আমাদের জেগে থাকাকালীন সাময়িক ভাবনার দৃশ্য। যেমন, কখনো আমাদের কোন আত্মীয় বিশেষ করে পরিবারের মা অথবা বাবা মারা গেলে তার কিছুদিনের ভেতর আমরা স্বপ্নে দেখি মা এসে বলছেন, বাবা ভাল মতন চলিস। তোর ছোটরে দেইখা রাখিস। তার সকল দায়িত্ব এখন তোর। এই বলে মা কোথায় যেন চলে যান।
আবার কয়দিন ধরে বাসায় ভাইয়ার বিয়ে নিয়ে আলাপ আলোচনা চলতেছে। সেদিন স্বপ্নে দেখি আব্বা-আম্মা মিঠাই নিয়ে পাত্রীর বাড়িতে বসে আছে। আর বাড়ির বাইরে উত্তেজনা সহকারে পায়চারি করা হচ্ছে। ভাবলাম নিশ্চয়ই ভাইয়া কত টেনশনে আছে। দেখি ভাইয়া, রাহিম, শশী, রিহানও ঘরের ভিতরে বসে আছে। আমি খালি নাই। আর বাইরে পায়চারি করতেছে আমার মত দেখতে একজন। শরমে স্বপ্নই ভাইঙ্গা গেল।
তো কথা হইল, স্বপ্ন আসলে এমন একটা মানসিক ব্যাপার যেইটা আমাদের সাময়িক উত্তেজনার ফলে তৈয়ার হয়। এর সাথে জাগ্রতকালীন ভাবনার মিল আছে আবার অমিলও আছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৪৪